সরষের তেল ছাড়া বাঙালীর মাছ ভাত একদমই অপূর্ণ।সে হোক ইলিশ ভাপা বা বেগুন ভাজা।এ তো গেল খাবার কথা,কিন্তু নিজের স্কিন ও চুলকে ভালো রাখতে কি কখনও সরষের তেলকে কাজে লাগিয়েছেন?ভাবছেন এতো কিছু থাকতে শেষে সরষের তেল রূপচর্চায়?হ্যাঁ,কারণ আপনার রূপকে ধরে রাখতে সরষের তেলের আছে আজানা এমন কিছু গুণ,যা ভাবাই যায় না।চুল থকে শুরু করে স্কিন,এককথায় সরষের তেল হল ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।দেখুন।
সরষের তেল খুব ভালো সানস্ক্রিনের কাজ করে।কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যেটা সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর দিক থেকে স্কিনকে বাঁচায়।তাই রোদে সরষের তেল ভালো করে মেখে গেলে,একইরকম কাজ করবে যেমনটা আপনার সানস্ক্রিন করবে।আবার যদি রোদের কারণে ট্যান পড়ে যায়,তাহলেও সেটা তুলতে সরষের তেলের জুড়ি মেলা ভার।
উপকরণ
৩ চামচ সরষের তেল,৩ চামচ নারকেল তেল।
পদ্ধতি
ট্যান তুলতে সরষের তেলের সাথে একটু নারকেল তেল মিশিয়ে স্কিনে সার্কুলার মোশনে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।তারপর আরও ৫মিনিট এটা রেখে দিন।জাস্ট কয়েকদিন ব্যবহার করলেই ট্যান থেকে মুক্তি।
সবসময় চাই নরম ঠোঁট?তাহলে অবশ্যই কাজে লাগান সরষের তেল।যদি ঠোঁট খুব ফাটে তাহলেও সরষের তেল ব্যবহার করুন।
উপকরণ
কয়েক ফোঁটা সরষের তেল।
পদ্ধতি
রোজ রাতে সরষের তেল হালকা ম্যাসাজ করে সারারাত রেখে দিন।পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।তারপর দেখুন সারাদিন ঠোঁট কেমন নরম থাকে।
ডার্ক স্পট সরিয়ে ফেলতে সরষের তেল জাস্ট অসাধারণ কাজ করে।
উপকরণ
৪ চামচ সরষের তেল,২ চামচ বেসন,১ চামচ চন্দন পাউডার ও কয়েক ফোঁটা মধু।
পদ্ধতি
সবকটি উপকরণ মিশিয়ে নিন।এবার এই মিশ্রণটা মুখে লাগিয়ে হালকা একটু ম্যাসাজ করুন ও তারপর কিছুক্ষণ রেখে দিন।শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে নিন।এটা সপ্তাহে দুদিন করে দেখুন।ডার্ক স্পট উধাউ।
স্কিন টোন ব্রাইট করতে চান?তাহলেও আছে সরষের তেল।অবাক লাগছে?সত্যি সরষের তেল আপনার স্কিনে এনে দিতে পারে একটা সাইনি লুক।
উপকরণ
৩ চামচ সরষের তেল আর নারকেল তেল।
পদ্ধতি
সরষের তেলের সাথে একটু নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন।এবার এটা মুখে ম্যাসাজ করুন।এটা যদি রোজ করেন,তাহলে স্কিন টোন শুধু লাইট ব্রাইট হবে না,স্কিন থাকবে ময়েশ্চারাইজড আর হাইড্রেটেড।তাহলে স্কিনে একটা হেলদি সাইন আনতে কাজে লাগিয়েই দেখুন না সরষের তেলকে।
সরষের তেলে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল,অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা সব ধরণের স্কিন ইনফেকশন থেকে স্কিনকে রক্ষা করে।এছাড়াও কোনো স্কিন ইনফেকশন থাকলে,সেটাও কমাতে সাহায্য করে।যেমন চুলকানি, স্কিন র্যাশ বা অন্যান্য সমস্যা।
এখন খুব অল্প বয়সেই চুল পেকে যায় বা চুলের প্রাকৃতিক রঙ নষ্ট হয়ে যায়।কিন্তু আপনি যদি চুলে সরষের তেল ব্যবহার করেন,তাহলে কথা দিচ্ছি চুল থাকবে কুচকুচে কালো।কারণ সরষের তেল চুলের প্রাকৃতিক রঙকে ধরে রাখে।তার ফলে চুল পাকা তো দূর,চুল লালও হয় না।তাই অনেক বয়স পর্যন্ত চুলকে যদি কালো রাখতে চান,তাহলে অবশ্যই সরষের তেল ব্যবহার করুন।
শুধু কি কালো চুল,তার সাথে চুলকে ঘনও করে তোলে।কারণ সরষের তেলে আছে প্রচুর ভিটামিন,মিনারেল,আয়রন,ফ্যাটি অ্যাসিড ও বিটা ক্যারোটিন যা চুলের গ্রোথ বাড়ায়।স্ক্যাল্পকে ভেতর থেকে নারিশ করে।চুল ঘন করতে জাস্ট অসাধারণ কাজ করে।
চুল পড়া কমাতে সরষের তেল ব্যবহার করেই দেখুন।
উপকরণ
৩ চামচ সরষের তেল,১ চামচ অলিভ তেল,২ চামচ নারকেল তেল।
পদ্ধতি
সরষের তেলের সাথে একটু অলিভ তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।সপ্তাহে অন্তত দুদিন করুন।একমাস পর তফাৎটা চোখে পড়বে।এটা প্রাকৃতিক হেয়ার ভারটিলাইজারের কাজ করে।
সরষের তেল শুধু যে চুলকে হেলদি করে তোলে তাই নয়,স্ক্যাল্পে যদি কোনো ইনফেকশন থাকে সেটাও রোধ করে।খুশকি ছাড়াও অন্যান্য স্ক্যাল্প ইনফেকশন রোধ করে।স্ক্যাল্পকে পরিষ্কার ইনফেকশন মুক্ত রাখে।
তাহলে দেখলেন তো সরষের তেলের জাদু?এবার আর দেরি না করে আজ থেকেই রূপচর্চায় কাজে লাগান,জাস্ট একটু সরষের তেল।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…