সরষের বীজ থেকে আমরা সরষের তেল পেয়ে থাকি। স্বাস্থ্যের জন্য সরষের তেল খুবই উপকারী। ভারতের বেশীর ভাগ অঞ্চলে সরষের তেল দিয়ে রান্না করা হয়। সরষের তেল স্বাদে যেমন অসাধারণ আবার এই তেলটি ত্বকে দিলেও আমরা নানা রকমের উপকার পেয়ে থাকি । কি সেই উপকারগুলি? তাহলে আজ সরষে তেলের মালিশের কিছু উপকারের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
সরষের তেল আমাদের চুলের গোড়াকে শক্ত করে তোলে। এরফলে চুল কম পরে এবং আরো নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। তাই চুলে তেল মালিশ করা খুবই উপকারী।
খুব ক্লান্তি ভরা দিনের পর আমাদের প্রচন্ড মাথা ধরে যায়। এই সময় সরষের তেলের মালিশ মাথায় করলে আমাদের সারাদিনের দুশ্চিন্তা, চাপ, মাথাব্যাথা ইত্যাদি দূর হয়। তাই টেনশনে ভরা সারা দিনের পর সরষের তেল খুবই উপকারী।
সরষের তেল খুবই শক্তিশালী স্টিমুলেন্ট আর সেই গুণের জন্য সরষের তেলের মালিশ আমাদের রক্তের চলাচলকে বাড়ায়। মালিশ করার সময় আমরা দেখে থাকি যে চামড়ার কিছু জায়গা লাল হয়ে গেছে। আসলে মালিশের সময়ের চাপের ফলে রক্তের চলাচল বেড়ে ওঠে তাই ওই জায়গাগুলি লাল হয়ে যায়। আর লাল হয়ে ওঠা মানেই রক্তের চলাচল বেড়ে ওঠে।
আরথারাইটিসের ব্যাথার জন্য সরষের তেল মালিশ খুবই কার্যকরী। আরথারাইটিসের ফলে অনেক সময় হাঁটু ফুলে যায় এবং তীব্র ব্যাথা অনুভব হয়ে থাকে। সরষের তেলের মালিশ কিন্তু আমাদের হাঁটুর জয়েন্টের ব্যাথা কমায় এবং আমাদের আবার সাধারণ ভাবে চলে বেড়াতে সাহায্য করে।
সরষের তেলে অনেক পরিমানে ভিটামিন ই থাকে। সরষের তেলের মালিশ করলে বা খাবারে ব্যবহার করলেও আমাদের ত্বক এবং শরীরে অত্যন্ত জরুরি ভিটামিন ইপৌঁছায়। এরফলে আমাদের শরীর এবং ত্বকের পুষ্টি হয় এবং আমাদের ত্বক নরম এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
আমাদের অনেকেরই চর্ম রোগের সমস্যা হয়ে থাকে। র্যাশের সমস্যার সমাধান করার উপায় আমরা প্রায়শই খুঁজে থাকি। সরষের তেলের মালিশের ফলে আপনি কিন্তু খুব কম খরচাতেই এই অসুবিধার সমাধান করতে পারেন। চর্ম রোগের উপর সরষের তেল লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিতে হবে। ফাঙ্গাল ইনফেকশন না সেরে ওঠা অবধি সরষের তেল নিয়মিত লাগানো দরকার। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ফলস্বরুপ দেখতে পারি যে র্যাশ অনেকটাই সেরে উঠেছে।
সরষের তেল আমাদের গায়ের এবং মুখের রঙকে হালকা করে তোলে। নিয়মিত তেল মালিশ আমাদের মুখের ডার্ক স্পট, ওয়াইট স্পট ইত্যাদি কমায়।
দাঁতে সরষের তেলের সাথে রক সল্ট মিশিয়ে সেইটা মালিশ করলে আমাদের দাঁতের রোগ দূরেতো থাকেই তার সাথে আমাদের দাঁতও মজবুত হয়ে ওঠে।
বাঙালী মানেই সর্ষে ইলিশ। কিন্তু তা বলে সরষের তেলের মালিশ কিন্তু তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু আজ সরষের তেলের মালিশের এত গুনাগুন জানার পর বুঝতেই পারছি যে সরষের তেলের মালিশ আমাদের শরীরের জন্য কতটাই উপকারী। অনেকের সরষের তেলের ঝাঁঝ এবং গন্ধ সহ্য হয় না। সরষের তেলের সাথে নারকেল তেল মেশালে সেই গন্ধটা অনেকটাই কমে যাবে এবং এই ভাবে আমরা সরষের তেলের গুনাগুন খুব সহজেই সাক্ষী হতে পারি। সরষের তেল আমাদের চুল এবং ত্বকের খুবই উন্নতি করে তাই সরষের তেলের মালিশ আমাদের জন্য খুবই কার্যকরী।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…