সোশিওলজি বা সমাজ বিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে মানব সমাজ এবং মানুষের আচার আচরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।এটি একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র যেখানে মানব সমাজের উত্থান,পতন এবং সমাজের নানা দিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।নৃতত্ত্ব,প্রত্নতত্ত্ব,ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান,অর্থনীতি,অপরাধ বিজ্ঞান,পরিবেশ বিজ্ঞান,ভাষাবিজ্ঞান ইত্যাদি সমস্ত কিছু কিন্তু এই সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত।অর্থাৎ মূলত মানব সমাজ এবং তার সাথে জড়িত যাবতীয় কিছুর সম্পর্কে পড়াশোনা হলো সমাজবিজ্ঞান বা সোশিওলজি।তাই এই বিষয় কিন্তু অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং এবং এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলে কিন্তু চাকরির ক্ষেত্র অনেক বেশি প্রসারিত হয়ে যায়।তাই যারা এই সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তারা কোথায় কোথায় এই সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন বা আমাদের দেশে সোশিওলজি নিয়ে হায়ার স্টাডির কি কি ইনস্টিটিউট আছে তার বিস্তারিত বর্ণনা থাকছে আজকের লেখায়।
সোশিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে বা +১০ এ সোশাল সাইন্স সাবজেক্ট থাকা প্রয়োজন।এছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা ইকোনমিক্স থাকলেও কিন্তু সোশিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করা যেতে পারে।উচ্চমাধ্যমিকের পর আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো কলেজ আছে যেখানে এই বিষয়টিতে বি,এ এবং তারপর এম.এ করা যেতে পারে এবং এর পর যথাক্রমে এম.ফিল এবং পি.এইচ.ডি করা যায় এবং পরবর্তীকালে কিন্তু আরও গবেষণা করতে চাইলে তারও সুযোগ আছে।এছাড়া আপনি ডিস্টেন্সেও বি.এ বা এম.এ করতে পারবেন।
সোশিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে কলকাতায় অনেকগুলি ভালো কলেজ আছে যেখানে এই বিষয়ে পড়াশোনা হয়,যেমন আশুতোষ কলেজ, লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ,সেন্ট জেভিয়ার্স,বাসন্তী দেবী কলেজ।এখানে কিন্তু ৩ বছরের বি.এ কোর্স পড়ানো হয়।এছাড়া কলকাতার বাইরে কিন্তু অনেক ভালো ইনস্টিটিউশনস আছে যেখানে সোশিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।যেমন দিল্লী ইউনিভার্সিটি,জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি, গুয়াহাটি ইউনিভার্সিটি,উৎকল মহাবিদ্যালয় ভুবনেশ্বর,মহাত্মা গান্ধী স্কুল অফ এডুকেশন কোট্টায়াম,ইউনিভার্সিটি অফ কেরালা ত্রিবান্দম,নালন্দা ওপেন ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।এখানেও কিন্তু ৩ বছরের বি.এ কোর্স পড়ানো হয়।
কলকাতায় ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি,প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি,যাদবপুর ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটিতে কিন্তু এম.এ পড়া যেতে পারে।এছাড়া নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকেও কিন্তু বি.এ এবং এম.এ দুটোই করা যেতে পারে।এছাড়া কলকাতার বাইরে যেসব জায়গায় এম. এ করা যেতে পারে তা হলো দিল্লী ইউনিভার্সিটি,জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি, গুয়াহাটি ইউনিভার্সিটি,ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি হায়েদ্রাবাদ,Isabella Thoburn কলেজ লখনৌ,গভর্মেন্ট কলেজ অফ উইমেন mandya কর্নাটক,সেন্ট ফিলোমিনাস কলেজ মাইসোর,পদ্মভূষণ বসন্তদাদা পাটিল কলেজ মহারাষ্ট্র ইত্যাদি।
কলকাতায় ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটিতে এবং প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে এম.ফিল এবং পি.এইচ.ডি দুটোই করা যায়।এছাড়া আমাদের দেশে আরো অনেকগুলি কলেজ বা ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে এই দুটি আপনি করতে পারবেন।সেগুলি হলো দিল্লী ইউনিভার্সিটি,জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি,গুয়াহাটি ইউনিভার্সিটি,ক্রাইস্ট ইউনিভার্সিটি বেঙ্গালুরু,ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি হায়দ্রাবাদ,ইউনিভারসিটি অফ কেরালা, ভারাঠিয়ার ইউনিভার্সিটি কোয়েম্বাটুর ইত্যাদি।
এই সমস্ত ইনস্টিটিউটগুলি অত্যন্ত ভালো এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য।এছাড়া এই বিষয় সম্পর্কে আরো বেশি ভালো করে জানতে চাইলে কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন কলেজের ওয়েবসাইটে গিয়ে জানতে হবে।কারণ সেখানেই আপনি সমস্ত বিষয়ে ভালো করে জানতে পারবেন।আমাদের দেশের বাইরেও অনেক ভালো ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে কিন্তু আপনি পড়াশোনা করেতে পারেন এই বিষয়ে তবে তার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।তবেই আপনি সেখানে পড়ার সুযোগ পাবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…