আগের পর্বে দুটি কেমিক্যালবিহীন ঘরোয়া ফেস প্যাকের কথা লিখেছিলাম। আজ আরও তিনটি ফেস প্যাক আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। শীতকালে ত্বকের শুষ্ক ভাবকে বিদায় জানান সহজেই।
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কেবলমাত্র আমরা পাকা পেঁপেতেই পেয়ে থাকি। তাছাড়া পেঁপেতে আছে “পাপাইন” নামক এক ধরনের এনজাইম, যা মুখের রোমকূপ-এ জমে থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে পাকা পেঁপে রুক্ষ্ণ ত্বক-কে প্রাণ উজ্জ্বল করে তোলে।
উপকরণ
১.পাকা পেপে পরিমাণ মতন
২. এক চামচ কাঁচা দুধ
৩.এক চামচ অলিভ অয়েল
৪.এক চামচ আমন্ড অয়েল
ব্যবহারবিধি
১. মিক্সচার ব্লেন্ডারে ভালো করে পাকা পেঁপেটিকে প্রথমে পেস্ট করে নিন।
২. এবার, একটি কাচের বাটিতে ওই পেস্ট-টির থেকে তিন চামচ নিয়ে, সঙ্গে কাঁচা দুধ,অলিভ অয়েল এবং আমন্ড অয়েল উপরিউক্ত পরিমাণমতো মেশান।
৩. মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে, খুব যত্ন নিয়ে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে, প্রলেপ আকারে আপনার মুখে লাগান।
৪. ঠিক দশ মিনিট পরে মুখটিতে, ক্লকওয়াইজ এবং এন্টি ক্লকওয়াইজ ভাবে, হাতের বুড়ো আঙ্গুলের সাহায্যে হালকা ম্যাসেজ করে, ঈষদুষ্ণ গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
৫. সপ্তাহে দুই দিন নিয়ম করে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন এবং দেখুন পাকা পেপের কামাল।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা লেবু হলো প্রাকৃতিক ব্লিচ। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই লেবুর খোসার ব্যবহার কিভাবে আপনার তৈলাক্ত ত্বককে সুন্দর এবং সতেজ রাখে?
উপকরণ
১. কমলালেবুর খোসা পরিমাণমত
২. নিম পাতা পরিমাণমত
৩. মধু এক চামচ
৪. মুলতানি মাটির গুঁড়ো এক চামচ
৫. হলুদের গুঁড়ো এক চা চামচ-এর অর্ধেক
ব্যবহারবিধি
১. প্রথমে পরিমাণ মতো কমলালেবুর খোসা নিয়ে, রোদ্দুরে ভালো করে শুকাতে নিন।
২. অতঃপর শুকনো খোসা গুলিকে মিক্সার ব্লেন্ডার-এর মাধ্যমে গুঁড়ো করে নিন।
৩. এবারে, পরিমাণ মতো নিম পাতা নিয়ে যত্ন সহকারে পেস্ট করে নিন।
৪. এখন, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো দু’চামচ, নিম পাতা পেস্ট এক চামচ, মধু এক চামচ এবং মুলতানি মাটির গুড়ো ও হলুদের গুঁড়ো উপরিক্ত পরিমাণ্, একটি কাচের বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ব্যাস, আপনার প্যাক তৈরি।
৫. এবারে আপনার মুখ ভালো করে হালকা গরম জলে ধুয়ে, কাচের বাটির প্যাক-টি, হাতের চার আঙ্গুলের সাহায্যে, প্রলেপ আকারে লাগিয়ে নিন।
৬. ঠিক দশ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৭. দশ মিনিট পরে আপনার মুখ,ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। দেখুন তো, মুখের কোন পরিবর্তন আপনি লক্ষ্য করছেন কিনা ?
৮. সপ্তাহে দুই দিন, অবশ্যই এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, রোদ, ধুলোবালি, ময়লা অথবা দুশ্চিন্তার কারণে মুখে, অনেক সময় ছোপ আকারের কালো দাগ দেখা যায়। বাজার চলতি কিছু ক্রিম বা লোশন দিয়ে-ও এগুলিকে সহজে দূর করা যায় না। কিন্তু এই দাগ দূরীকরণ এর জন্য আপনার ঘরেই রয়েছে তার উপাদান। চলুন দেখে নেই, কিভাবে চিরতরে নির্মূল করা যায় এই দাগ।
উপকরণ
১. একটি আলু
২. শসা একটি
৩. হারবাল চন্দন গুঁড়ো দুই চামচ
৪. গোলাপজল পরিমান মত
৫. EVION TABLET একটি
ব্যবহারবিধি
১. প্রথমে একটি আলু এবং একটি শসা নিয়ে ভালো করে কুচিয়ে নিন।
২. অতঃপর, এই কুচানো আলু এবং শসার টুকরো গুলিকে মিক্সচার ব্লেন্ডারে খুব সুন্দর ভাবে পেস্ট করে নিন।
৩.এখন একটি কাচের বাটিতে, একটি EVION TABLET কে ব্লেড দিয়ে কেটে, ভালোভাবে নিংড়ে নিন।
৪.বাটিতে নিংড়ানো ওই তরলের মধ্যে,দুই চামচ আলু এবং শসার পেস্ট, হারবাল চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপ জল দিয়ে খুব ভালোভাবে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
৫.মিশ্রণটি তৈরি হবার পরে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে,যত্ন সহকারে মুখে , প্রলেপ আকারে ঠিক ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
৬.সপ্তাহে তিন দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।
নিয়ম করে এই প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার মুখের কালো দাগ অথবা চোখের কোনার কালি, চিরতরে নির্মূল হবে, গ্যারান্টি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…