দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব, আর এই আলোর উৎসবে নিজেকে উজ্জ্বল দেখানোটা খুবই জরুরী। আর সেই জন্যই পকেট ফ্রেন্ডলি কিছু মেকআপ ব্যবহার করে ঘরে বলেই করে নিতে পারেন দীপাবলি মেকআপ।
আর সেই মেকআপ টিউটোরিয়াল নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। দেখে নিন চটজলদি সামান্য কয়েকটি উপকরণের সাহায্যে কীভাবে করে ফেলতে পারনে দীপাবলি স্পেশাল মেকআপ।
মেকআপ করার আগে যেটা প্রয়োজন, তা হল মেকআপের জন্য ত্বকটাকে খুব ভালো করে তৈরি করে নেওয়া দরকার। আর তার জন্য আপনারা যেটা করতে পারেন, সেটা হল সিরাম শিটমাস্ক অ্যাপ্লাই করুন। এই সিরাম সিট মাস্ক কিন্তু ত্বককে খুব সুন্দর করে মশ্চারাইজ করে। এবং মেকআপের ক্ষেত্রে কিন্তু একটা তফাত চোখে পড়ে। আপনারা আপনাদের ত্বক অনুসারে পছন্দসই শিটমাস্ক বেছে নিতে পারেন।
এরপর লাগাতে হবে ফাউন্ডেশন। একটা বেশ হাই কভারেজ লুক পেতে, আপনারা বেছে নিতে পারেন নায়কা স্কিনসিল্ড ফাউন্ডেশন। যেকোনও উৎসব অনুষ্ঠানে এই ফাউন্ডেশনটি অসাধারণ কাজ করে। কনসিলার যদি ব্যবহার করতে না চান, তাহলে এই ফাউন্ডেশনই যথেষ্ট। একটি বিউটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ফাউন্ডেশনটাকে চোখের নিচে, কপালে ভ্রূর উপরিভাগে অ্যাপ্লাই করে ফাউন্ডেশনটাকে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
মেকআপ করার সময় ভ্রূ যুগল কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। তাই এবার ভ্রূ-যুগলকে সাজানোর পালা। এর জন্য সুগারের ব্রো পেন্সিল নিয়ে তার সাহায্যে ভ্রূর ফাঁকা অংশগুলি ঢেকে দিন।
এবার হল আইশ্যাডোর পালা। যেহেতু দিওয়ালি লুক সেজন্য একটু বোল্ড শিমারি রঙ লাগান। এরজন্য পোশাকের সঙ্গে মানানসই একটা ডার্ক শিমারি রঙ বাছুন। চোখের ওপর শিমারি রঙটাকে ভালো করে অ্যাপ্লাই করে নেওয়ার পর একটা ফ্লাফি ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। যাতে শেষের অংশটা ভালো করে মিশে যায়। একইভাবে চোখের তলার অংশেও লাগিয়ে নিন। আর চোখের কোণার দিকে হালকা রঙের শ্যাডো লাগিয়ে নিন।
এবার কাজল। কাজলটাকে ওয়াটার লাইনে ভালো করে অ্যাপ্লাই করে নিন। একইভাবে আপার ওয়াটার লাইনেও এই কাজলটি অ্যাপ্লাই করে নিন। এতে করে চোখের পাতা আরও সুন্দর দেখাবে।
এবার চোখের পাতাকে আরও হাইলাইট করতে এবং একটা বোল্ড লুক পেতে অ্যাপ্লাই করে নিন মাস্কারা। চোখের ওপরের এবং নীচের পাতায় দু’কোট মাস্কারা লাগিয়ে নিন।
এবার ঠোঁটকে রঙিন করার পালা। আর এই লুকের সঙ্গে মানানসই হল ন্যুড লিপস্টিক। এক্ষেত্রে আপনারা সুগারের নাথিং এল্স ম্যাটারস লিপস্টিক (শেড ব্রাউনিং গ্লোরি) অ্যাপ্লাই করে নিন। বা আপনাদের কাছে থাকা যেকোনও ন্যুড শেডের লিপস্টিক লাগিয়ে নিন।
এবার আলাদা করে ব্লাশের প্রয়োজন পড়বে না, যদি আপনি এই লিপস্টিকই খানিকটা আঙুলে করে নিয়ে দুই গালে আলতো করে চেপে চেপে লাগিয়ে নেন।
মেকআপে হাইলাইটারের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। হাইলাইটার অ্যাপ্লাই করে ত্বকে একটা অন্যরকমের বদল চোখে পড়ে। এর জন্য আপনারা নায়কার গ্লো হাইলাইটারটা ব্যবহার করতে পারেন। এই হাইলাইটার কিন্তু অত্যন্ত পিগমেন্টেড তাই অল্প পরিমাণে নিলেই কাজ চলে যাবে।
সবশেষে কন্টোরিং। এবার এই কন্টোরিং বিষয়টা অনেকের কাছেই একটু ভয়ের বলে মনে হতে পারে। ভয় কারণ, সঠিকভাবে কন্টোর না করা হলে কিন্তু আপনার চেহারায় একটা ব্লান্ট লুক চলে আসতে পারে। এরজন্য কন্টোরিংটা একটু সাবধানে করা উচিত। তাই বলে এতটাও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে ল’রিয়েলের ইনফলিবেল কন্টোর। ব্রাশে করে সামান্য পরিমাণ নিয়ে দুই গাল এবং থুতনির দু’পাশেঅ্যাপ্লাই করে নিন।
এই লুকটি যেকোনও উৎসবের মরশুমে চটজলদি বানিয়ে নেওয়া যায় এবং এটি যেকোনও এথনিক পোশাকের সঙ্গে এটি ট্রাই করতে পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…