সবই ঠিক আছে খালি হাইটটা শর্ট। সেই, আর সেই জন্যই কনফিডেন্সের অভাবে ভোগেন অনেকে। এখন লম্বা হওয়ার জন্য নানারকম ওষুধ, এমনকি সার্জারিও আছে। কিন্তু এগুলোর কোনোটাই যে খুব একটা নিরাপদ নয়, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। লম্বা দেখানোর জন্য, এতো ঝামেলা কেন করবেন! জাস্ট নিজের স্টাইলে করুন কয়েকটা পরিবর্তন। তাহলে অন্যর চোখে লম্বা হয়ে উঠবেন আপনি। বাইরের কেউ আদৌ দেখে বুঝবে না, আপনার আসল হাইট। দেখুন কী কী পরিবর্তন আনতে হবে নিজের স্টাইলে।
যাদের হাইট একটু শর্ট তারা যদি, শর্ট হাইটের জামা পরেন তাহলে আরও শর্ট দেখাবে। তাই পরুন একটু লম্বা ঝুলের জামা, ম্যাক্সি ড্রেস, লং কুর্তি ইত্যাদি। এছাড়াও শাড়ি পরলে একটু লম্বা লাগে দেখতে। এগুলো নীচের দিকে অনেকটা ঝুলে থাকে, তাই লম্বা লাগে দেখতে। এর সাথে পোশাকে যদি লম্বা ডিজাইন থাকে তাহলেও লম্বা লাগে। যেমন স্ট্রাইপ থাকলে লম্বা দেখতে লাগে অনেকটা। এটা অন্যর চোখে অপটিক্যাল ইলিউশন তৈরি করে। তার ফলে লম্বা দেখায়। তাই আড়াআড়ি ডিজাইনের চাইতে লম্বা ডিজাইন বা লম্বা স্ট্রিপ দেওয়া জামা পরুন। লম্বা লাগবে। এছাড়াও ঢিলেঢালা পোশাকের বদলে, একটু ফিটিং পোশাক পরুন। এতেও কিছু কিছুটা লম্বা লাগবে এবং ওয়েস্টার্ন পোশাক পরলে, সাথে জ্যাকেট পরে নিন। আর চেষ্টা করুন একটু গাঢ় রঙের পোশাক পরতে। ব্যাস আপনার আসল হাইট বোঝে কার সাধ্য।
এমন প্যান্ট পরবেন না, যাতে পায়ের নীচে অনেকগুলো কুঁচি পড়ে। তাতে আরও বেশী বেঁটে লাগে। তাই বড় প্যান্ট পরার দরকার নেই। সঠিক মাপের প্যান্ট পরুন। যাতে পায়ের নীচে কাপড় বেশী না থাকে। কুঁচি না পড়ে। পোশাকের হাতার ক্ষেত্রে বলব রেগুলার স্লিভ পরুন। ফুল স্লিভে যদি কাফ বা ব্যান্ড মত থাকে তা বাঁধার দরকার নেই। বা ওগুলো যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও হাতা যেন খুব বেশী টাইট না হয়। এতে আপনার হাত মোটা লাগবে। হাতা একটু ঢিলে থাকলে আপনাকে একটু লম্বা দেখাতে সাহায্য করবে।
হাইট শর্ট হলে হাই হিল পরার প্রবণতা থাকে। কিন্তু এতে সমস্যা বেশী হয়। কারণ এতে প্রথমত, অতিরিক্ত হিল পরলে যেমন শরীরের ক্ষতি হয়, বিশেষ করে গোড়ালি ও হাঁটুর ক্ষতি হয়। এছাড়াও হিল পরলে, অন্যর চোখ আগে আপনার জুতোর দিকে যাবে। আর পায়ে হাই হিল চোখে পরলে, আপনার শর্ট হাইট অন্যর চোখে আরও বেশী করে ধরা পড়বে। তাই অল্প হিল দেওয়া জুতো পরুন। ফ্ল্যাট হিল যুক্ত জুতো পরুন। এছাড়াও মোটা প্যাড দেওয়া জুতো পরুন। বা জুতোর ভেতর মোটা প্যাড দিয়ে পরুন।
➡ লম্বা মেয়েদের কিরকম জুতো পরা উচিত।
শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে, মোটা লাগে। আর বেশী মোটা লাগলে, একটু বেঁটেও লাগে। বিশেষত পেটে, হাতে মেদ জমলে। কারণ দৈর্ঘ্যের চেয়ে প্রস্থ বেশী হলে শর্ট তো লাগবেই। তাই স্লিম থাকার চেষ্টা করুন। একটু রোগা শরীর লম্বা দেখায়। রোগাদের তাই লম্বা লাগে দেখতে।
রাস্তায় হাঁটার সময় সোজা ভাবে পিঠ সোজা করে হাঁটুন। কুঁজো হয়ে সামনে দিকে ঝুকে হাঁটলে, আরই শর্ট লাগবে দেখতে। তাই সোজা হয়ে কনফিডেন্টলি হাঁটুন। আপনি তো একা শর্ট হাইট নন। আপনার পাশে হেঁটে যাওয়া কত মানুষই তো শর্ট হাইট। আপনার থেকেও আরও শর্ট হাইট। তারা যখন কনফিডেন্টলি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে পারছে, আপনিও পারবেন। এতে আপনার জীবনে ও রোজের কাজে কোনটাতেই প্রভাব পড়বে না। উল্টে আপনার ব্যক্তিত্ত্বে এইসব বিষয়গুলো কারুর চোখেই পড়বে না। তাই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক রাখুন।
শর্ট হাইটের জন্য আর মন খারাপ নয়, এই টিপসগুলো প্রতিটা মনে রাখুন। ব্যাস তাহলেই আপনাকে লম্বা লাগবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…