আজও বিয়ে বললেই শাঁখা-পলার কথা আমাদের সবার আগে মনে আসে। যতই গয়না পরুক না কেন, বিয়ের কনের আসল গয়না কিন্তু এখনও ধরা হয় এই শাঁখা-পলাকে। আজকের দিনে সারা বছর ধরে হাতে অনেক মেয়েই হয়তো শাঁখা-পলা পরেন না। কিন্তু ভাল কোনও অনুষ্ঠানে, পবিত্র দিনগুলিতে শাঁখা-পলা পরার চল কিন্তু আজও আছে।
মোটামুটি দুই রকমের নিয়ম মেনে চলা হয় এই শাঁখা-পলা পরার ক্ষেত্রে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিয়ের আগের দিন কোনও শাঁখার দোকানে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে পছন্দ করে শাঁখা সেই দোকানের বিক্রেতা, যাকে বলা হয় শাঁখারি, তাঁর মাধ্যমে পরানো হয় কনেকে। শাঁখারিকে দিয়ে শাঁখা আর পলা পরানো মঙ্গলজনক ধরা হয়।
আরেকটি নিয়ম মানা হয় বিয়ের দিন সকালে বা ভোরে। এক্ষেত্রে বিয়ের দিন ভোরে একটা অনুষ্ঠান হয়, যার নাম দধি-মঙ্গল। এই অনুষ্ঠানে কনে স্নান করে নতুন শাড়ি পরে আসে।
নতুন কেনা শাঁখা-পলা আগে থেকে হলুদ বাটা জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। সাত জন এয়ো স্ত্রী, মানে যারা সধবা, তাঁরা একসঙ্গে কনের হাতে এই শাঁখা-পলা পরিয়ে দেন। অনেক সময়ে পাঁচ জন এয়ো স্ত্রী কনেকে নিয়ে শাঁখার দোকানে যান বা শাঁখারি বাড়িতে আসেন। বিয়ের কনের শাঁখা এক দামে কিনতে হয় মানে দাম-দর করতে নেই। আর বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ী থেকেও কনে শাঁখা-পলা বাঁধানো আর নোয়া বা লোহা বাঁধানো পেয়ে থাকে।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শাঁখা-পলা পরাকে আমরা অনেকেই কুসংস্কার, বাজে নিয়ম বলে থাকি। মেয়েদের মধ্যে এই প্রবণতা একটু বেশি। শাঁখা আর পলা এটা নির্দেশ করে যে একটা মেয়ে বিবাহিত। বিয়ের প্রতীক হিসেবে সে সেটি বহন করে।
কিন্তু একটি বিবাহিত পুরুষ তো সেই একই কাজ করেন না। তিনি তো শাঁখা আর পলা পরেন না। আজকের সমান সমান জায়গা চাওয়া জগতে মেয়েরা এটি মেনে নেবেন কেন! কিন্তু তাও বড় অংশের মানুষের মধ্যে শাঁখা আর পলা পরার রীতি বহুল প্রচলিত। তার কিছু কারণ বা পূর্বসূত্র আছে।
মাছ আমাদের প্রধান খাদ্য। মাছ ছাড়া বাঙালি চলতেই পারে না। তাই মাছ ধরা আমাদের অনেক দিনের প্রাচীন জীবিকা। বলা হয়, এই শাঁখা আর পলা বিয়েতে পরার ব্যাপারটা নাকি আমরা মাঝিদের প্রাচীন জীবন থেকে পেয়েছি।
যেহেতু মাঝিদের তেমন আর্থিক সামর্থ্য ছিল না, তাই তাঁরা বিয়েতে কনেকে এই রঙিন শাঁখা আর পলা দিতেন। আর আমরা তো জানিই, আমরা বাঙালিরা এই অনার্যদেরই উত্তরসূরি।
সেখান থেকে আজ শাঁখা আর পলা আমাদের মধ্যে বিয়ের আর হিন্দু বিবাহিত রমণীর প্রধান অঙ্গ হয়ে চলে এসেছে। ভাল করে ভেবে দেখুন, মাঝি বা সমুদ্রে যাদের যাতায়াত, তাঁদের কাছে শঙ্খের তৈরি শাঁখা আর প্রবালের তৈরি পলা বেশি সহজলভ্য।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে শাঁখা বা সাদা রঙের শঙ্খ হল চন্দ্রের প্রতীক। আর পলা বা লাল রঙের প্রবাল হল মঙ্গল গ্রহের প্রতীক। চন্দ্র আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে আর মঙ্গল আমাদের এনার্জি বা শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে। শাঁখা আর পলা পরানোর মাধ্যমে তাই ধরা হয় বিবাহিত জীবনে একজন মেয়ের মন আর শারীরিক শক্তি বা এনার্জি এই দুই দিক ব্যাল্যান্স করে চলার আগাম শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
আবার শাঁখার মাধ্যমে মন আর পলার মাধ্যমে শরীর, এই দুই দিক একজন পুরুষকে উৎসর্গ করার প্রাচীন ধারনাও কিন্তু এর মধ্যে স্পষ্ট দেখা যায়। শাঁখা আর পলা তাই একজন মেয়েকে বিয়ের পর স্বামীর আনুগত্য মেনে চলার শিক্ষা দেয় বলেও অনেকে মনে করেন।
পুরুষদের ক্ষেত্রে সমাজ যেহেতু সেই শিক্ষা কোনও দিনই দেয়নি, তাঁরা অনায়াসে বহু বিবাহ করতে পারতেন, তাই আনুগত্যের প্রতীক এই শাঁখা আর পলা তাঁদের পরতে হয় না। বহুবিবাহ করার ফলে একজন নারীকে মন দেওয়ার কোনও বালাই পুরুষদের ছিল না। তাই শাঁখা আর পলা পরারও ব্যাপার আসে নি তাঁদের ক্ষেত্রে।
ভারতে প্রাচীন কালে আট রকমের বিবাহ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। আলোচনার সুবিধের জন্য সেগুলির নাম জানানো যেতেই পারে- ব্রাহ্ম, দৈব, অর্শ, প্রজাপাত্য, অসুর, গান্ধর্ব, রাক্ষস আর পৈশাচ। এর মধ্যে ‘রাক্ষস’ বিবাহ পদ্ধতির থেকে এই শাঁখা আর পলার উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন।
রাক্ষস বিবাহ পদ্ধতিতে একটি কন্যাকে বলপূর্বক হরন করে এনে বিবাহ করা হত। হয়তো কোনও রাজ্য জয়ের পর সেই রাজ্যের রাজকন্যাকে এইভাবে বিয়ে করা হত। এতে কন্যাটির মতের কোনও ব্যাপার ছিল না। এটা এক ধরণের ওই জয়ের স্বীকৃতি ধরণের। ধরা হয়, মেয়েটি যাতে পালিয়ে না যায়, তাই তার হাত লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত।
এই লোহার শিকলের থেকেই পরে পরিবর্তিত আর পরিমার্জিত রূপে শাঁখা, পলা আর নোয়া এসেছে। নোয়া তো স্পষ্টই লোহার থেকে আসা শব্দ। আমরা অনেকে কিন্তু সিঁদুরের ক্ষেত্রেও আজকের দিনে এইরকম একটি যুক্তিই দিয়ে থাকি। মেয়েটির মাথা চিঁরে তাঁকে নিজের অধীনে আনার প্রমাণ রাখা হত। সবই ওই একই দিক ধরে আসছে একে অন্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে।
শাঁখা আর পলা পরা, সঙ্গে বাম হাতে নোয়া, অনেকের মতে এর সঙ্গে বিজ্ঞানের যোগ আছে। লাল পলা রক্তকে নির্দেশ করে। যে জায়গায় শাঁখা আর পলা পরা হয় সেই জায়গা দিয়ে সেন্ট্রাল নার্ভ যায় হাতের মধ্যে।
বলা হয়, পলা আর শাঁখা এই জায়গায় রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে। এনার্জির প্রবাহ বজায় রেখে মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখে। আমাদের মাথাও নাকি অনেক বেশি ভাল কাজ করতে পারে। আর যেহেতু আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নার্ভ হাতের এই অংশের মধ্যে দিয়ে গেছে, যার যোগ সরাসরি আমাদের মস্তিষ্কের সঙ্গে, তাই ধরা হয় শাঁখা আর পলা আমাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখতেও খুব ভাল কাজে আসে।
আগেকার দিনে আমরা গোত্রে বিভক্ত ছিলাম। গোত্র বা কুল দুই রকম কথাই প্রচলিত ছিল। আর আমাদের বিবাহ হত এক গোত্র থেকে আরেক গোত্রে। নিজ গোত্রে বিয়ে করা পাপ বলে ধরা হত। আজও বিয়েতে কন্যা সম্প্রদান পদ্ধতির মাধ্যমে এই গোত্রান্তর প্রথা বেঁচে আছে।
মেয়েকে বিয়ের পর অন্য গোত্রে যখন দেওয়া হত। বলা হত, তখন মেয়েটি যে আর তার পিতৃ গোত্রে নেই। সে এখন অন্য গোত্রের চলে গেছে। আর সে যে এখন অন্য গোত্রে গেছে সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্যেই শাঁখা আর পলার ব্যবস্থা। আবার যে গোত্রে গেল সেই গোত্রের দিক থেকেও দেখা উচিত ব্যাপারটা। হঠাৎ একটা মেয়ে গোত্রে চলে এলে তার দিকে গোত্রের অন্য পুরুষরাও তাকাবে, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে। তাই নতুন আসা মেয়েটির গায়ে এমন চিহ্ন যোগ করা হোক, যাতে বোঝা যায় সে কারোর অধিকারভুক্ত। অন্য কেউ তার অধিকার আর পাবে না। এটা বোঝানোর জন্যেও শাঁখা আর পলা ব্যবহার করা হত।
শাঁখা আর পলা পরানোর মাধ্যমে আবার মেয়েটিকে ধির-স্থির, লক্ষ্মীমন্ত হওয়ার শিক্ষাও নাকি দেওয়া হয়। দেখুন, শাঁখা আর পলা এমন জিনিস দিয়ে তৈরি যা একটু ধাক্কা লাগলেই ভেঙে যাবে। তাই শাঁখা-পলা পরে আস্তে ধীরে চলতে হবে।
অনেক যত্ন নিতে হবে চলাফেরা করার মধ্যে। তাই বলা হয় শাঁখা আর পলা আসলে এই স্থিরতা, যত্ন, দায়িত্বপালন এই সবের একটা প্রতীক হিসেবে মেয়েদের সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয় বিয়ের সময়ে।
মূলত ভারতের সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে শাঁখা আর পলার কারখানা বেশি থাকে। শঙ্খের কাজ সেখানেই বেশি হয়। যেহেতু পূর্ব ভারতে শাঁখা আর পলার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, তাই পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা আর অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু জায়গায় এই শাঁখার কাজ করা হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মেদিনীপুরে, মূলত দিঘার দিকে বেশ ভাল শাঁখার কাজ হয়। আগে তো হাতেই তৈরি হত শাঁখা আর পলা।
এখনও যে হয় না তা নয়। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহার করার দিকেই ঝোঁক এখন বেশি। শাঁখা আর পলা তৈরি হয়ে তারপর চলে আসে শাঁখার দোকানে। কলকাতার সাপেক্ষে বলা যায়, বাগবাজারে বেশ বড় মার্কেট আছে এই শাঁখার দোকানের। পরপর অনেক শাঁখার দোকান আছে সেখানে। বউবাজারের দিকে শাঁখারিপট্টি বলে জায়গাও আছে। এখান থেকে অনেকে শাঁখা কেনেন। তারপর সোনার দোকানে দিয়ে বাঁধিয়ে নেন।
আবার অনেকে সোনার দোকান থেকেই সরাসরি শাঁখা বাঁধানো আর পলা বাঁধানো কিনে নেন। অনলাইনেও আজকাল সুন্দর সুন্দর শাঁখা আর পলার সেট পাওয়া যায় যা সবসময়ে পরার জন্য বেশ ভাল আর আরামদায়ক।
শাঁখা পরার কারণ বা কোন কোন জায়গা থেকে আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে এই শাঁখা আর পলা পরার প্রথা এসেছে তা যে আলোচনা করলাম, সেটা পরলেই বোঝা যায় আজকের শিক্ষিত মেয়েদের পক্ষে এই কারণ মেনে নেওয়া খুব একটা যুক্তিসঙ্গত নয়। প্রাচীন গোত্র প্রথাই হোক বা জোর করে বিয়ে করা, সব ক্ষেত্রেই শাঁখা আর পলা মেয়েদের স্বাধীন চিন্তার বিপরীতেই দাঁড়িয়ে আছে বলে অনেকে মনে করেন। আর আনুগত্যের প্রসঙ্গ তো আজকের দিনে অবান্তর।
একজন স্বাধীন সাবালক শিক্ষিত মেয়ে, যে নিজে উপার্জন করে, তার কেন কারোর প্রতি ‘আনুগত্য’ বজায় রাখতে হবে সেটাই ভেবে দেখার। যদি ভালোবাসার প্রতীক হত তাহলে ভেবে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান যুগে অনেক মেয়েই একে একটা বিয়ের ‘স্ট্যাম্প’ হিসেবে দেখেন। যেন মেয়েদের অলক্ষ্যে বলে দেওয়া শাঁখা আর পলা পরানোর মাধ্যমে যে বেশি বাইরের লোকের সঙ্গে মিশবে না, তুমি বিবাহিত।
অনেক সময়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে জোর করা হয় শাঁখা আর পলা পরার জন্য। এটা যেন এক ধরণের নিশ্চয়তা দেয় তাঁদের। এই শাঁখা আর পলা দেখলে সহজে কোনও ‘পরপুরুষ’ সেই মেয়ের কাছে আসবে না মনে করা হয়। আজকের মেয়েদের কাছে এই ধারণা খুবই অপমানজনক। তাই এক অংশের মেয়েদের মধ্যে আজ শাঁখা আর পলা নিয়ে প্রশ্ন তো কিছু দেখা দিয়েইছে।
হ্যাঁ, শাঁখা পলা বিয়ের সময়ে যারা পরেন, হয়তো কোনও প্রশ্ন না রেখেই মনে, তাঁরাও আজ আর সারাক্ষণ এই শাঁখা-পলা পরে থাকতে চান না। প্রথম কথা হল, কাজের মধ্যে থাকার সময়ে অসাবধানে ভেঙে যেতেই পারে।
বাসে ট্রামে ওঠা, ভিড়, নানান কাজ, সব মিলে খুবই সমস্যা হয় অনেকের এই শাঁখা আর পলা সামলাতে। আবার কর্পোরেট জগতে এইসব শাঁখা পলার মতো ধর্মীয় অনুষঙ্গ থাকা জিনিস অনেক সময়ে মেনে নেওয়াও হয় না। তাই শাঁখা আর পলা আজকাল নিয়মিত রোজ পরার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই কমে এসেছে। তার বদলে এখন শাঁখা আর পলা পরা হয় অনুষ্ঠানে, মাঝে মাঝে।
আর অনুষ্ঠানে যখন পরাই হয়, তখন কেন ডিজাইনার সুন্দর সুন্দর শাঁখা-পলা পরব না! এতে সাজের মধ্যে একটা আলাদা মাত্রা যোগ হবে। তার সঙ্গে নিয়মটাও রক্ষা হবে। তাই ফ্যাশন বা স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসেবেই আজকের নারী শাঁখা আর পলা পরে থাকেন।
তাত্ত্বিক কচকচানি, নানা যুক্তি-প্রতিযুক্তি অনেক হল। এবার কিছু কাজের জিনিস দেখাই। বেশ কিছু লেটেস্ট ডিজাইনার শাঁখা আর পলার কালেকশন আপনাদের সামনে হাজির করব। পছন্দ হতে বাধ্য।
[amazon box=”B084SBB8J6″ title=”গোল্ড প্লেটেড শাঁখা” description=”এটা মোটামুটি হাল্কা আর ভারীর মাঝামাঝি” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B07DMK2YND” title=”ফ্যান্সি শাঁখা-পলা” description=”একইসঙ্গে শাঁখা আর পলা” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B07NQKWRHJ” title=”শাঁখা উইথ স্টোন” description=”সকালে পরার জন্য এই স্টোনের কাজ করা” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B0844FL33K” title=”জিল ফ্যাশন গোল্ড প্লেটেড শাঁখা” description=”ট্র্যাডিশনাল টাচ” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B0849L61JR” title=”পার্মার সিটি গোল্ড শাঁখা” description=”হাল্কা ডিজাইনের শাঁখা” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B08FZG6H5D” title=”জিল ফ্যাশন গোল্ড প্লেটেড পলা” description=”হাল্কার ওপর সবসময়ে পরার জন্য খুব ভাল” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B084SNWBVQ” title=”গোল্ড প্লেটেড পলা” description=”অনুষ্ঠানে পরে যেতেই পারেন” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B07GLVWXGC” title=”ডিজাইনার মেরুন পলা” description=”এই পলা ট্রেন্ডি আর এলিগ্যান্ট দুইই একসঙ্গে” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B0849M2CC3″ title=”পার্মার সিটি গোল্ড পলা” description=”খুব সুন্দর ডিজাইন” button_text=”কিনুন”]
[amazon box=”B07GL28GMB” title=”লিফ শেপ পলা” description=”বেশ ভাল পাতার ডিজাইন” button_text=”কিনুন”]
এই কয়েকটি ডিজাইনের মধ্যে কয়েকটা আপনাদের পছন্দ হবে এটা আমাদের স্থির বিশ্বাস। দেখুন সবসময়ে তো সোনার জিনিস পরে সব জায়গায় যাওয়া যায় না। আবার আপনি হয়তো সবসময়ে সোনার বাঁধানো শাঁখা আর পলা পরতে চাইছেন না। সেক্ষেত্রে এই ডিজাইনার শাঁখা আর পলা বেশ কাজের।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Best vlo laglo pore. Thanks