আমাদের এই নিউ নর্মাল জীবনের সর্বক্ষণের সঙ্গী ফেস মাস্ক। মাস্ক ছাড়া আমরা বাইরে যেতেই পারব না। আর মাস্ক প্রতিনিয়ত পরার ফলে আমাদের মুখে র্যাশ, লাল ভাব ইত্যাদি হতেই থাকে। বর্তমান ডাক্তারি পরিভাষায় তো ‘মাস্কনে’ বলে টার্ম চালু হয়েই গিয়েছে।
তাহলে এখন কী করবেন! ভারতের বিউটি কুইন হিসেবে পরিচিত বিখ্যাত বিউটিশিয়ান শেহনাজ হুসেন আপনাদের জানাবেন কীভাবে আপনি এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। পড়ে নিন তিনি কি বলছেন।
সাধারণ ভাবে কী কী করতে হবে আমরা দেখলাম। এবার বিশেষ বিশেষ সমস্যা, যার মধ্যে অন্যতম র্যাশ, তা আটকাতে কী করা যায় দেখব।
১. গোলাপ জল আর চন্দনগুড়ো মিশিয়ে র্যাশ হওয়া জায়গায় লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে। এটা রোজ করতে পারেন।
২. যদি র্যাশ থেকে চুলকুনি হয় তাহলে এক মগ জলে একটু ভিনিগার নিয়ে সেটা ওই র্যাশের ওপরে দিয়ে দিন। এতে চুলকুনি অনেক কম হবে।
৩. নিমপাতা র্যাশের জন্য খুব ভালো। চার কাপ জলে অল্প আঁচে নিমপাতা এক ঘণ্টা ধরে ফোটান। সারা রাত রেখে দিন জলটা নিমপাতা সমেত। সকালে উঠে র্যাশ হওয়া জায়গায় অ্যাপ্লাই করুন। নিমপাতা গুলো পেস্ট করে ওই র্যাশের জায়গায় লাগাতে পারেন। এতে খুব তাড়াতাড়ি র্যাশ কমবে।
১. মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করার পর তেলহীন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
২. অ্যাকনের জন্য গ্রিন টি খুব ভালো। একটি গ্রিন টি ব্যাগ গরম জলে আধ ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে মুখে অ্যাকনে হওয়া জায়গায় লাগান। অনেক উপকার পাবেন।
৩. চন্দনও কিন্তু অ্যাকনে ভালো কমাতে পারে।
৪. আরেকটা কার্যকরী প্যাক আছে এই সমস্যার জন্য। দারচিনি পাউডার, মেথি পাউডার, লেবুর রস আর মধু দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। মুখের যে অংশ মাস্কের নিচে থাকে সেই অংশে কয়েক ঘণ্টা, বা সারারাতও রেখে দিতে পারেন। খুব ভালো ফল হয় এতে।
৫. টি ট্রি অয়েলের সাথে জল বা গোলাপ জল মিশিয়ে ওই অ্যাকনে হওয়া জায়গায় ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ভালো কাজ পাওয়া যায়।
১. ভারী মেকআপ একদম করা যাবে না। মুখ পরিষ্কার করতে হবে মাইল্ড ক্লিনসার দিয়ে আর তারপর গোলাপ জল তুলো দিয়ে ট্যাপ করতে হবে।
২. রোজ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন আর ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. গ্রিন টিও এক্ষেত্রে কাজ করে। গ্রিন টি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর বের করে তুলো ডুবিয়ে লাল হওয়া জায়গায় ব্যবহার করলে লালচে ভাব কমবে।
৪. টি ট্রি তেল আর নারকেল তেল ২ চামচ করে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই তেলের মিশ্রণ মুখে লাল হয় যে জায়গা বেশি সেখানে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর ভিজে তুলো দিয়ে তুলে ফেলুন।
আর সবশেষে বলার, রোজ ৮ গ্লাস জল আর ভালো ঘুম খুব দরকার শরীর আর স্কিন দুইই ভালো রাখার জন্য। মাস্ক আমাদের এখন অনেক দিন পরতে হবে আর সঙ্গে স্কিন ভালো রাখতে এই টিপস মানতেই হবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…