মা দুর্গা ও বাচ্চা পার্টি পুজোর প্যান্ডেলে বিরাজমান হবার আগে পার্লারে জাস্ট একটু রেডি হচ্ছিলেন। ওই সামান্য মেকভার আর কি! কিন্তু এই বিষয়টির জন্য বিপাকে পড়তে হল সালোঁর মালিককে। এটুকু পড়ে ভাবছেন তো কি হাবিজাবি লিখছি? হাবিজাবি না মশাই ‘হাবিব’! নাম তো সুনাহি হোগা? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন জাভেদ হাবিব। নামী হেয়ার স্টাইলিস্ট। নিজের সালোঁর বিজ্ঞাপন নিয়ে গোঁড়া হিন্দুদের রোষের মুখে পড়েছেন।
জাস্ট কয়েকদিন আগেই জাভেদ হাবিব তাঁর সালোঁর বিজ্ঞাপনে, মা দুর্গাকে সপরিবারে হাজির করেছেন পুজোর স্পেশাল কেয়ার নিতে। আরে বাবা সত্যি সত্যি না। বিজ্ঞাপনের ইলাস্ট্রেশনে মা দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্ত্তিক, গণেশ তাদের বাহনসহ পার্লারে বসে রয়েছেন দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে জাভেদ হাবিবকে। নেট দুনিয়া জুড়ে বলা হয়েছে এই বিজ্ঞাপন ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করেছে।
তবে এক্ষেত্রে বলার বিষয় হল যে এই বিজ্ঞাপন কাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করলো? বাঙালী বা বাংলায় তো এই নিয়ে কোন রোষ মানুষের মনে জাগেনি। বরং পুজোর নানা থিম থেকে পুজো প্যান্ডেলের হোডিং এ দুর্গাকে সাবেকিয়ানার বদলে স্টাইলিশ রূপে দেখানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা বাঙালীরা নিজেরাই এগিয়ে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আদৌ কি কোন সমস্যা আছে নাকি সবই ধর্মের নামে রাজনীতি? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। নাকি মুসলমান হেয়ার স্টাইলিস্ট তাঁর বিজ্ঞাপনে হিন্দুর দেবীকে খামকা টেনে এনেছেন এটা মূল সমস্যা? সত্যিটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সত্যিটা বলা বড় কঠিন। বললে আবার রোষের মুখে পড়তে যদি হয়!
বাঙালীর ঘরের মেয়ে দুর্গা। সারাবছর আমরা অপেক্ষা করে থাকি মায়ের আগমনের জন্য। তাই নানা ভাবে আমরা তার আগনমকে আমাদের রোজকারের জীবনের সাথে কল্পনা করে নি। সে সকালের চা খাওয়ার টেবিল হোক বা পার্লার।
জাভেদ হাবিবের বিজ্ঞাপনে বাংলায় কোন অসন্তোষ দেখা যায় নি। আমরা দিব্বি যাচ্ছি তাঁর পার্লারে, পুজোর শেষ টাচআপ দিতে। কিন্তু হায়দ্রাবাদ ও দেশের অন্যান্য জায়গায় এই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর হয়ে গেল হাবিবের কয়েকটি পার্লার। সত্যি এসব নিন্দনীয়।
খারাপ লাগাটা কোথায় জানেন? যখন একজন শিল্পীকে বারবার বলতে হয় তিনি একজন ‘শিল্পী’, না হিন্দু না মুসলমান। জাভেদ হাবিব এই অসন্তোষ এড়াতে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন- ‘আমার একটাই ধর্ম ৷ আমি একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট ৷ আমার হাতিয়ার কাঁচি ৷ এর মধ্যে আর কোনও ধর্ম নেই ৷ এই বিজ্ঞাপনের ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না ৷ তবুও আমি পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইছি৷ ’
এবার আপনারা ভাবুন ধর্ম আগে না মানুষ? মানুষকে যদি ধর্মের নামে বিচার করা হয় তাহলে সেই দিন আর বাকি নেই যখন আমাদের মত সাধারণ মানুষকেও তার পরিচয় শুধু ধর্ম দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।
জাভেদ হাবিব তাঁর নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউণ্টে এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। দেখুন কি বলছেন তিনি।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…