চুলের সমস্যায় আমরা কম বেশি সবাই জর্জরিত। বর্তমান সময়ে বাইরের পলিউশান আমাদের চুল পড়ে যাওয়ার জন্য বেশি দায়ী। তাছাড়া চুলের জন্য ব্যবহিত শ্যাম্পুতে থাকা কেমিক্যালতো আছেই। কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের ফলে চুল বেশি মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। চুলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করুন রিঠা। সুন্দর চুলের মালকিন যদি হতে চান তাহলে সপ্তাহে একদিন রিঠা ব্যবহার করুন চুলের যত্ন নিতে।
রিঠা একধরনের ফল। সাধারণত সব মুদির দোকানে পেয়ে যাবেন। না হলে অবশ্যই দশকর্মার দোকানে পাবেন। এই রিঠার বৈজ্ঞানিক নাম স্পিনডুস এমারজিনাতুস। এর ব্যবহার সাধারণত হয়ে থাকে সাবান হিসেবে। চুলের জন্য একে একপ্রকারের প্রাকৃতিক শ্যাম্পু বললে খুব একটা ভুল হবে না। ভারতবর্ষে প্রাচীন সময় থেকে রিঠাকে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নানাভাবে ব্যবহার করা হয়ে এসেছে। বিশেষ করে চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে রিঠার নাম সারা বিশ্ব জানে।
রিঠা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক গুনাগুণ সম্পন্ন একটি উপাদান। এতে কোন প্রকারের কেমিক্যাল নেই। শ্যাম্পুতে থাকা সোডিয়েম লরেথ সালফেট ও সিলিকনের মত ক্ষতিকারক উপাদান রিঠাতে থাকে না। এই উপাদানগুলি থাকার ফলে বাজার চলতি ভালো কোম্পানির শ্যাম্পু ব্যবহার করলেও চুল পড়া কমে না। বরং চুল বেশি করে উঠে যায়। কিন্তু রিঠা ব্যবহারের ফলে চুলের কোন প্রকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাছাড়া চুল পড়া বন্ধ হয়। নতুন চুল গজায়। খুসকি হয় না। উকুন থাকলে মাথায় তা মরে যায়।
রিঠার ভিতরে একধরণের বীজ থাকে। সেই বীজ প্রথমে বের করে নিন। ফেলে দিন। এবার একটি পাত্রে সামান্য জল নিয়ে রিঠা ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। পরের দিন সকালে একটি বড় পাত্রে ঠাণ্ডা জল নিয়ে তা হালকা ফুটিয়ে নিন। এবার তাতে সারা রাত ভেজানো রিঠা ও জল দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এবার ঠাণ্ডা হলে শ্যাম্পুর মত ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডা জলে মাথা ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একবার করে যদি রিঠা শ্যাম্পু রূপে ব্যবহার করেন তাহলে চুলের সমস্যা থাকবেনা বলা যায়। তবে নিয়ম করে ব্যবহার করলে নিয়মিত তবে ফলাফল পাওয়া যাবে। চুলের পরিমান অনুযায়ী রিঠা ব্যবহার করা উচিত। শ্যাম্পু করার সময় ৫ মিনিট ভালো করে মাথা ম্যসাজ করুন।
১. রিঠাতে থাকা উপাদান সমূহ চুলের ডগা ফাটা বন্ধ করে দেয়। আমাদের মাথার স্কিন জাতীয় যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়।
২. চুল প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে পরিষ্কার হওয়ার ফলে চুলের ঘনত্ব বাড়ে। চুল পড়া কমে যায়। উকুনের সমস্যা থাকলে তা সহজে কোন সাইড এফেক্ট ছাড়া সমাধান হয়ে যায়।
রিঠা দিয়ে শ্যাম্পু করলে কণ্ডিশনার লাগানোর প্রয়োজন থাকে না। ফলে চুল বেশি ভালো ও মজবুত থাকে।
মাথায় একজিমার সমস্যা থাকলে সহজে দূর হয়ে যায় রিঠা ব্যবহারের ফলে।
নিয়মিত ব্যবহার করলে যাদের চুল অতিরিক্ত মাথায় কোঁকড়ানো তা সোজা হয়ে যায়।
চুল নরম ও মসৃণ করে রিঠা।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…