কোথাও বেরোনোর প্ল্যান করছেন, হঠাৎ আবিষ্কার করলেন বগলের লোমের অস্তিত্ব। ঘরোয়া ভাবে আন্ডারআর্ম হেয়ার তোলার অনেক উপায় আপনার জানা আছে, কিন্তু সেগুলো সময়সাপেক্ষ। আবার লোমগুলো না তুললেই নয়। এরকম পরিস্থিতিতে চাই চটজলদি সমাধান। এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন বগলের লোম মাত্র ২ মিনিটে কিভাবে দূর করবেন সে সম্পর্কে।
২ মিনিটে বগলের লোম দূর করার জন্য রেজর বা এপিলেটরের চাইতে সহজ আর কিছু নেই। এগুলো ওয়াক্সিং ও সুগারিংয়ের মতো ব্যথা দেয় না, খুব সহজে লোম তুলে ফেলে। তবে রেজরের চাইতে এপিলেটর ব্যবহার করা সুবিধাজনক। রেজর ব্যবহারে লোম পুনরায় তাড়াতাড়ি গজায়, কিন্তু এপিলেটর ব্যবহারে লোম পুনরায় গজাতে সময় নেয়।
গোসলের সময়ে বডি ওয়াশ বা শেভিং ক্রিম আন্ডারআর্মে লাগিয়ে নিন। এবার লোম যে ডিরেকশনে গজিয়েছে সেই ডিরেকশনে রেজর ব্যবহার করুন। যদি আপনার স্কিন সেনসিটিভ না হয়, তাহলে লোম বৃদ্ধির উল্টো ডিরেকশনে রেজর অ্যাপ্লাই করুন। এতে শেভিং তুলনামূলকভাবে বেশি ক্লিন হয়। এরপরে পানিতে ধুয়ে আলতো করে চেপে চেপে মুছে ফেলুন। তারপরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
প্রথমে উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করে নিবেন। এতে ত্বক নরম হবে, আর হেয়ার রিমুভালে যন্ত্রণা কম হবে। এরপরে এপিলেটরটি লোয়েস্ট মোডে সেট করে নিন। তারপর বগলে ৪৫ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে অ্যাপ্লাই করুন। লোম যে ডিরেকশনে উঠে সেই ডিরেকশনে অ্যাপ্লাই করবেন। লোম তোলা হয়ে গেলে ময়েশ্চারাইজিং ব্যবহার করুন জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য।
প্রাচীনকালে হলুদ বডি হেয়ার রিমুভালের কাজে লাগতো, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। এটি একইসাথে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম তুলে ফেলে কোনপ্রকার ইরিটেশন ছাড়াই। হলুদ ও কাঁচা দুধের পেস্ট ব্যবহারে তৎক্ষণাৎ লোম না-ও উঠতে পারে কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত।
উপকরণ দুটি মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপরে বগলের লোমের উপর লাগিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট রেখে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চিনি দিয়ে বগলের লোম দূর করার পদ্ধতিকে ইংরেজিতে বলা হয় সুগারিং। প্রাকৃতিকভাবে অল্প খরচে আন্ডারআর্ম হেয়ার দূর করার জন্য সুগারিং বেশ কার্যকরী। আবার এই পদ্ধতির কারণে লোম বৃদ্ধি অনেক দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকে। সুগারিং দুইভাবে করা যায় – স্ট্রিপ দিয়ে এবং স্ট্রিপ ছাড়া। এখানে দুটি পদ্ধতিই বর্ণনা করছি।
সসপ্যান গরম করে তাতে চিনি ও পানি একসাথে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি গলে যখন বাদামী ক্যারামেলের মতো হবে তখন লেবুর রস দিয়ে আবারও নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি যখন ঘন আঠালো হয়ে আসবে তখন চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন। এরপরে একটুখানি মিশ্রণ হাতে নিয়ে বগলে লাগান। তারপর স্প্যাটুলা দিয়ে সমান করে ছড়িয়ে নিন। এবারে ওয়াক্সের উপর স্ট্রিপ বসিয়ে ভালো করে চেপে দিন। তারপর লোম বৃদ্ধির উল্টো দিক দিয়ে হ্যাঁচকা টান মেরে স্ট্রিপ উঠিয়ে ফেলুন। একবারেই তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন। স্ট্রিপ তোলার পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমে যাবে।
প্রথমে আন্ডারআর্ম পরিষ্কার ও ঘামমুক্ত করে নিন। ঘাম শুকানোর জন্য পাউডার লাগিয়ে নিতে হবে। তবে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করা যাবে না। বেবি পাউডার, কর্ন স্টার্চ, অ্যারারুট পাউডার, চালের গুঁড়া, মেকআপের জন্য ব্যবহৃত সেটিং পাউডার ইত্যাদির মধ্য থেকে যেকোন একটি বগলে লাগিয়ে নিতে পারেন।
পাউডার ঝেড়ে ফেলে খানিকটা সুগার পেস্ট হাতে নিন। তারপরে বগলের চামড়া টান করে ধরে লোম বৃদ্ধির উল্টো দিকে পেস্টটা লাগিয়ে নিন। অর্থাৎ লোম যদি নিচের দিকে গ্রো করে, আপনাকে পেস্টটা নিচ থেকে উপরের দিকে লাগাতে হবে। হাত দিয়ে পেস্টটা ২-৩ বার টেনে টেনে লাগান। তারপর উপরের দিক থেকে হ্যাঁচকা টান মেরে পেস্টটা তুলে ফেলুন।
সব লোম এভাবে তুলে ফেলার পরে কাপড় ভিজিয়ে বগলটা মুছে নিন যাতে পেস্ট লেগে না থাকে। ভেজা কাপড়ের পরিবর্তে উইচ হ্যাজেল টোনার কাপড়ে লাগিয়ে বগল মুছে নিতে পারেন। এই টোনারটি একটি অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, যা ব্যবহারে বগলের লোমকূপ দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। সবশেষে বগলে ডিওডোরেন্টের পরিবর্তে খানিকটা বেবি পাউডার লাগিয়ে নিন। এটি সারাদিনের ঘাম শুকিয়ে নেবে কিন্তু স্কিনে কোনরকম ইরিটেশন তৈরি করবে না। ডিওডোরেন্টের কারণে আন্ডারআর্ম স্কিনে কালো ছোপ পড়তে পারে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…