রান্না করতে গিয়ে নানা কারণে হাঁড়ি,কড়াই পুড়ে যায়। মাংস রান্না করতে গিয়ে পুড়ে গেলে অথবা তরকারি পুড়ে গেলে কড়াইতে দাগ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায় আর এই জেদি দাগ সহজে ওঠেনা।
তবে এমন কতগুলি ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলি ব্যবহার করে এই জেদি দাগ খুব সহজেই ওঠানো সম্ভব। বাসনপত্রের পোড়া জেদি দাগ কমকষ্টে তোলার ঘরোয়া ১৪টি উপায় নিয়েই আজ আমরা হাজির হয়েছি।
বাসনপত্রের পোড়ালাগা স্থানে এক বা দুই কাপ বেকিং সোডা ছড়িয়ে দিন। এরপর কিনারা পর্যন্ত পর্যাপ্ত জল দিয়ে ১৫ মিনিট ফুটতে দিন। প্রয়োজন মনে হলে ১ ঘণ্টা পর আবার ফুটিয়ে নিন। এরপর জল ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটা ফেলে দিন। দেখবেন জলের সাথে হাঁড়ি কড়াই এর পোড়া অংশগুলোও উঠে গেছে। দাগ খুব কড়া হলে বেকিং সোডার সাথে একটু নুন ফেলে ফোটাবেন তাহলে খুব সহজেই জেদি কড়া দাগ উঠে যাবে।
পোড়া হাঁড়ি কড়াইতে জলভর্তি করে আঁচে বসান, তারপর এরমধ্যে একটু লেবুর রস চিপে দিন। এবার মিনিট দুয়েকের জন্য অল্প আঁচে ফোটাতে থাকুন। জল ফোটানো হয়ে গেলেই দেখবেন কালো পোড়া অংশগুলো কেমন জলের সাথে ভেসে উঠে আসছে।
এরপর এই জল ফেলে দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন, প্রয়োজন মনে হলে একটা মাজুনি দিয়ে একটু মেজে নিলেই দেখবেন নতুনের মত চকচক করছে। অথবা, পোড়া জায়গায় লেবুর রস দিয়ে স্কচ বাইট দিয়ে ঘষতে থাকুন। এর ফলেও পোড়া দাগ উঠে যাবে।
পোড়া জায়গার মধ্যে ভিনিগার দিয়ে কড়াইতে অল্প আঁচে বসিয়ে দিন। এরপর গ্যাস থেকে নামিয়ে একটা ব্রাশ দিয়ে ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন আস্তে আস্তে পোড়া দাগ উঠে গেছে।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে টমেটোর মধ্যে যে এসিড থাকে তা পোড়া দাগ দূর করে থাকে। তাই হাঁড়ি কড়াই বা বাসনের পোড়া দাগ উঠাতে গেলে পোড়া অংশে পুরু করে টমেটোর সস লাগিয়ে দিন এরপর সারারাত ঐভাবেই বাসনটি রেখে দিন। পরেরদিন একটা মাজুনি দিয়ে হালকা করে ঘষলেই দেখবেন বাসনপত্রের পোড়া দাগ উধাও হয়ে গেছে।
বাসনপত্রের পোড়া দাগ তুলতে কোকোকোলা একটি কার্যকরী উপাদান। হাঁড়ি, কড়াই বা বাসনের পোড়া দাগ তুলতে গেলে পোড়া সেই পাত্রটি কোকাকোলা দিয়ে ভর্তি করুন এরপর কয়েক ঘণ্টার জন্য বাসনটি সেভাবেই রেখে দিন।
এরপর একটি ব্রাশ দিয়ে ভালো করে ঘষুন। ব্যস তাহলেই দেখবেন পোড়া অংশগুলি কেমন উঠে গিয়ে বাসনটি আবার আগের মতো সুন্দর হয়ে গেছে।
একটা বাটিতে অল্প জল দিয়ে খোলটা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর হাঁড়ি কড়াই এর পোড়া অংশে খোল ঘষতে থাকুন। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে পোড়া দাগ উঠে যাচ্ছে।
আগেকার দিনে মা- দিদিমারা ছাই আর লাল বালি মিশিয়ে বাসনপত্রের এইসব পোড়া দাগ সহজেই তুলে ফেলতেন।তবে এসবক্ষেত্রে লাল বালির বদলে সাদা বালি ব্যবহার করলে আরো সহজেই দাগ উঠে যায়।
বাসনপত্রের পোড়া জায়গায় একটু ডিশওয়াশার পাউডার ছিটিয়ে দিন তারপর সেই বাসনপত্র বা কড়াইটি গরম জল দিয়ে ভর্তি করে ফেলুন এরপর জল ঠান্ডা হয়ে এলে ব্রাশ দিয়ে ঘষুন।
হাঁড়ি কড়াই এর পোড়া দাগ তুলতে পেঁয়াজ একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। প্রথমে একটি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ নিন। তারপর এটি কুচি কুচি করে কাটুন। এবার পোড়া হাঁড়ি বা কড়াইটি জল ভর্তি করে গ্যাসে বসিয়ে দিন। এক মিনিট বা আধ মিনিট ধরে জলটা ফুটিয়ে নিন, তারপর গ্যাসটি বন্ধ করে দিন। এরপর ৩০ মিনিট ওই অবস্থায় রেখে দিন, দাগ বেশি কড়া হলে একঘন্টা রাখতে পারেন। এরপর একটি তারের ছোবড়াতে ভিম জেল দিয়ে হালকা হাতে ঘষলেই পোড়া দাগ মুহূর্তের মধ্যে উঠে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পোড়া বাসনটি প্রথমে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর পোড়া জায়গায় ভালো করে টুথপেস্ট লাগিয়ে দিন। এই অবস্থায় বাসনটি ঘন্টা দুয়েক রেখে দিন। এরপর একটা চামচ নিয়ে পোড়া অংশটা হালকা একটু ঘষলেই দেখবেন চামড়ার মতো উঠে আসছে। এরপর মাজুনি দিয়ে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই দেখবেন পোড়া বাসন
একদম নতুনের মত চকচক করছে ।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে বাসনপত্রের পোড়া দাগ তুলতে নুন ভীষণভাবে কার্যকরী। পোড়া হাঁড়ি বা কড়াইটি জলভর্তি করে গ্যাসে বসিয়ে দিন। এরপর এর মধ্যে একটু নুন দিয়ে দিন। এই অবস্থায় দুই থেকে তিন মিনিট নুন জল ফুটতে দিন। তারপর গ্যাস বন্ধ করে একটা মাজুনিতে ভিমবার নিয়ে হালকা হাতে ঘষুন। মুহূর্তের মধ্যেই হাঁড়ি,কড়াই,বাসনপত্রের পোড়া দাগ উঠে চকচক করতে থাকবে।
বাসনপত্রের পোড়া দাগ তুলতে একটা কড়াইয়ের মধ্যে জলভর্তি করে নিয়ে তার মধ্যে লেবু, নুন,বেকিং সোডা ও ভিম লিকুইড দিয়ে দিন এরপর জলটা ফুটিয়ে নিন। তারপর ওই জলের মধ্যে পোড়া বাসনটি স্যাড়াশির সাহায্যে চুবিয়ে নিন। তারপর বাসনটি অন্য কোন জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন ও ঠান্ডা হয়ে গেলে হালকা হাতে মাজুনি দিয়ে মেজে নিলেই দেখবেন বাসন কেমন চকচক করছে।
কোন হাঁড়ি কড়াই পুড়ে গেলে সেটা আঁচে বসিয়ে দিন তারপর গরম অবস্থায় একটা সাঁড়াশি দিয়ে ধরুন।এরপর সাঁড়াশি দিয়ে ধরে থাকা অবস্থায় চামচ দিয়ে ওই হাঁড়ি কড়াই এর পোড়া অংশগুলি একটু ঘষলেই দেখবেন খুব সহজেই পোড়া অংশগুলি উঠে আসছে।
এখনকার দিনের মেয়েরা কেউই গোবরে হাত দেননা। কিন্তু আগেকার দিনের মা দিদিমারা হাঁড়ি কড়াই এর পোড়া দাগ তুলতে গোবর আর মাটিই নিতেন আবার ক্রমাগত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করার ফলে হাত খসখসে হয়ে যায় কিন্তু গোবর দিয়ে বাসন মাজলে হাত নরম থাকে, অনেক ভালো থাকে।গোবরের সাথে মাটি মিশিয়ে বা সরাসরি গোবর দিয়ে বাসনপত্র মাজলে পোড়া দাগ সহজেই উঠে যায়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…