আমাদের সৌন্দর্যের সবচেয়ে বড় দিক হল মুখের সৌন্দর্য। আর মুখ সুন্দর থাকবে তখনই যখন মুখে কোনও দাগ থাকবে না। কিন্তু আমাদের তো নানা কারণে মুখে অনেক রকমের দাগ হয়ে থাকে। তা সে চসমা পড়া থেকে হোক কী ছুলির বা ব্রণর দাগ হোক। আর তাঁর সঙ্গে আছে আবার চোখের নীচে কালির সমস্যা। আপনি হয়তো ভাবেন যে এগুলো তো এমন দাগ যা দূর হবেই না কখনও। কিন্তু সেই চিন্তা এখন বাদ দিন। আমরা আজ নিয়ে এসেছি এমন সমাধান যা সহজেই এই সব দাগ দূর করে দেবে।
অনেক দিন ধরে চশমা পড়লে একটা দাগ তৈরি হয় চোখের পাশে। হাল্কা গর্তের মতোও তৈরি হয়। আর এটা একদমই দেখতে ভালো লাগে না। আজ তাই এর থেকে মুক্তির দুটি ঘরোয়া উপার আপনাদের জানিয়ে দেব।
গ্রিন টি খেয়ে আপনি নিশ্চয়ই অনেক উপকার পেয়েছেন। কিন্তু গ্রিন টির ব্যাগটি ফেলে দিয়ে মোটেই কাজের কাজ করেন না। এবার থেকে আপনার চশমার দাগ তুলতে ব্যবহার করুন গ্রিন টি ব্যাগ। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের নিচের ক্ষতিগ্রস্থ চামড়া দূর করে।
উপকরণঃ ব্যবহার করে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ
পদ্ধতিঃ ব্যাগ দুটি ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর তা চোখের ওই দাগের নিচে রেখে দিন দশ মিনিট। এবার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এক দিন অন্তর অন্তর এটা করুন। দেখবেন খুব সুন্দর ফল পাবেন।
পাতিলেবু কিন্তু মুখের যে কোনও দাগ সহজেই তুলে দেয়। লেবুর রসে আছে অনেক ভিটামিন সি আর সাইট্রিক অ্যাসিড। আর এটাই দাগ সহজে তুলে দেয়।
উপকরণঃ ৩ চামচ পাতিলেবুর রস, তুলো
পদ্ধতিঃ পাতিলেবুর রসে তুলো ভিজিয়ে নিন। এবার তা আপনার চোখের দাগের উপর রাখুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনি সপ্তাহে চারদিন করতে পারেন। দেখবেন এতে সহজেই দাগ চলে যাবে।
নানা কারণে চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। হরমোনের সমস্যা থেকে শুরু করে মানসিক চাপ, চিন্তা সবই তো আছে। তাই কালো দাগ দূর করতে হলে আগে এগুলো বন্ধ করুন। আর যে দাগ হয়েছে তা তোলার পদ্ধতি তো বলছিই।
টম্যাটো চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাই টম্যাটো ব্যবহার করে দেখতেই পারেন।
উপকরণঃ ২ চামচ টম্যাটোর রস, ১ চামচ লেবুর রস।
পদ্ধতিঃ দুটো উপকরণ মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। আর এটি দিনে দুবার করার চেষ্টা করুন ভালো ফল পেতে।
এটিও কালো দাগ তুলতে খুব উপকার দেয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে ফল পাবেনই।
উপকরণঃ অর্ধেকটি আলু থেকে রস বের করে নিন। আর শসার রস মেশান তাসান। ওই রসে তুলোর বল ভিজিয়ে রাখুন।
পদ্ধতিঃ এবার চোখের নিচের কালো দাগের উপর রাখুন ওই রসে ডোবানো তুলোর বল। তারপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এক দিন অন্তর অন্তর করতে পারেন।
ত্বকে মেলানিন বৃদ্ধি পেলে মুখের ত্বকের রঙ লাল, বাদামি হয়ে যায়। একেই সাধারণ ভাবে ছুলি বলা হয়। চিকিৎসা এর জন্য অবশ্যই আছে। কিন্তু আপনি কিছু ঘরোয়া উপায়ও ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর রসের মধ্যে ত্বকের দাগ দূর করার শক্তি আছে। তাই ছুলির দাগের ক্ষেত্রে লেবু ব্যবহার করুন।
উপকরণঃ অর্ধেক লেবু, কিছু চিনি
পদ্ধতিঃ লেবু অর্ধেক কেটে তাঁর উপর চিনি ছিটিয়ে নিন। এবার এটি কয়েক মিনিট ছুলির দাগ হওয়া জায়গায় ম্যাসাজ করুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটা করুন।
পেঁয়াজের মধ্যে আছে এক্সফলিয়েট করার উপাদান, যার জন্য ছুলির দাগ সহজেই চলে যায়।
উপকরণঃ একটি পেঁয়াজ
পদ্ধতিঃ একটি পেঁয়াজ কেটে নিয়ে ছুলির দাগের উপর ঘষুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। যতদিন না দাগ ফ্যাকাশে হচ্ছে ততদিন এটি ব্যবহার করুন।
ব্রণ এমন একটা সমস্যা যেটা শুধু নিজেই সমস্যার সৃষ্টি করে না, দাগও তৈরি করে। আর এই দাগ সহজে দূরও হয় না। কিন্তু ঘরোয়া উপায়েই এই দাগ দূর করা যায় খুব সহজে।
অ্যালোভেরায় আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই যে কোনও দাগ তুলে দিতে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী।
উপকরণঃ পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল।
পদ্ধতিঃ রোজ রাতে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ব্রণের দাগের উপর লাগান। তারপর রেখে দিন। সকালে উঠে ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহার করলে দাগ অনেকটাই হাল্কা হয়ে যাবে।
ত্বকের দাগ দূর করতে বেকিং সোডা খুব উপকারী। এতে আছে এক্সফলিয়েট করার উপাদান। তাই বেকিং সোডা ব্যবহার করুন।
উপকরণঃ দুই চামচ বেকিং সোডা
পদ্ধতিঃ একটি বাটিতে দুই চামচ বেকিং সোডা নিয়ে তার সঙ্গে জল মিশিয়ে একটা ঘন পেষ্ট তৈরি করুন। এবার ওই পেষ্ট সরাসরি আপনি ব্রণের দাগের উপর লাগান। ৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা রোজ অন্তত এক বার করুন। দেখবেন কত উপকার পাবেন।
এবার আপনি যে কোনও দাগ থেকে মুক্তি পান খুব সহজেই। আর উপকার পাওয়ার পর দাশবাসকে জানাতে ভুলবেন না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…