দামী কাপড়ে আচমকা কোনও দাগ পড়ে গেলে আমাদের মাথায় হাত পড়ে যায়। বিশেষ করে রান্নার তেলের দাগ হলে তো কথাই নেই। আমরা ভাবি আর এই দাগ উঠবে না। কিন্তু এই সব দাগ তোলা খুবই সহজ। আর সময়ও এমন কিছু লাগে না। শুধু জানতে হবে কিছু পদ্ধতি।
সবার আগে একটা ন্যাপকিন বা পেপার টাওয়েল দিয়ে যতটা সম্ভব তেল শুষে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এবার একটি চামচের সাহায্যে বেবি পাউডার ওই তেলের ওপর দিন। খানিক পর দেখছেন তেল ওই পাউডার শুষে নিয়েছে। তেল পুরো পাউডার শুষে নিলে চামচ দিয়ে ওই পাউডার ঘষে তুলে নিন।
এবার একটু জলে ডিটারজেন্ট নিয়ে সেই জল ওই দাগের জায়গায় দিন। তারপর ঘষে ঘষে দাগ তোলার চেষ্টা করুন ব্রাশ দিয়ে। তারপর ভাল জল দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করে নিলেই দাগ একদম উঠে যাবে। আপনার কাছে বেবি পাউডার না থাকলে নুন দিয়েও এইভাবে দাগ তোলা যায়।
দ্বিতীয় উপায় হল সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে দাগ তুলে ফেলা। এক্ষেত্রে অবশ্যই মাইল্ড সাবান বা শ্যাম্পু হলে হবে না। একটু ক্ষার আছে বেশি এমন সাবান লাগবে। সাবান ব্যবহার করলে আগে একটা ব্রাশ দিয়ে খানিক সাবান তুলে নিন। তারপর ওই ব্রাশ দাগের জায়গায় ভাল করে ঘষুন।
আর শ্যাম্পু হলে আগে শ্যাম্পু দিন ওই দাগের ওপর। তারপর ব্রাশ দিয়ে ভাল করে ঘষে ঘষে দাগ তুলে ফেলুন। পরিষ্কার জলে ধুয়ে শুকিয়ে নিলেই দেখবেন তেলের দাগ আর নেই। ক্ষারের মধ্যে তেলের দাগ তুলে দেওয়ার ক্ষমতা বেশ ভাল আছে।
ভিনিগার কিন্তু একটা ন্যাচারাল ক্লিনিং উপাদান। দাগের ওপর ভিনিগার দিন আর ভাল করে জামা কেঁচে নিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিলেই আপনার দাগ গায়েব। ভিনিগার ব্যবহার করলে কিন্তু আর সাবান ব্যবহার করবেন না। এতে ভিনিগারের উপকারিতা কাজে আসবে না।
সামান্য একটু গরম জলই কিন্তু আপনার জামা থেকে তেলের জেদি দাগ তুলে ফেলতে পারে। গ্যাসে একটা পাত্র বসিয়ে তার মধ্যে জল দিন। জল যখন বেশ গরম হয়ে আসবে তখন জামা দিয়ে দিন ওই জলে। পুরো জামা দেওয়ার দরকার নেই। শুধু যে অংশে দাগ আছে সেই অংশটুকু গরম জলে চুবিয়ে রাখলেই হবে।
২০ মিনিট মতো গরম জলে চুবিয়ে রাখুন। তারপর জামা গরম থাকতে থাকতেই ঘরের তাপমাত্রায় রেখে একটু ঘষে ধুয়ে নিন। তারপর শুকিয়ে নিলেই দেখবেন তেলের দাগ আর নেই।
নেল পালিশ তোলার জন্য যে রিমুভার আপনি ব্যবহার করেন সেই রিমুভারই তেল তুলতে কাজে আসবে। আগে ওই তেলের দাগের ওপর রিমুভার স্প্রে করুন। খানিক অপেক্ষা করুন। এবার একটা ব্রাশ দিয়ে হাল্কা হাতে ঘষুন। তারপর পরিষ্কার জলে ধুয়ে শুকিয়ে নিন কাপড়।
তেলের দাগ একেবারে উঠে যাবে।নেল পালিশ তোলার জন্য যে রিমুভার আপনি ব্যবহার করেন সেই রিমুভারই তেল তুলতে কাজে আসবে। আগে ওই তেলের দাগের ওপর রিমুভার স্প্রে করুন। খানিক অপেক্ষা করুন। এবার একটা ব্রাশ দিয়ে হাল্কা হাতে ঘষুন। তারপর পরিষ্কার জলে ধুয়ে শুকিয়ে নিন কাপড়। তেলের দাগ একেবারে উঠে যাবে।
তেল বা তেলের দাগ তুলতে চকের ব্যবহার আশা করি আপনারা অনেকেই জানেন। তেলের দাগ যেখানে আছে তার ওপর খানিক চক গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। ১৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। তারপর ওই চকের গুঁড়োর ওপর অল্প অল্প জল স্প্রে করে ব্রাশ দিয়ে ঘষুন।
তারপর হাল্কা গরম জলে ধুয়ে নিন। দেখবেন দাগ অনেক হাল্কা হয়ে এসেছে। তবে চকের গুঁড়ো কিন্তু শুকনো অবস্থায় দেবেন কাপড়ে। আগেই কাপড় জলে চুবিয়ে নেবেন না।
আমরা যখন জামা কিনি তার ভিতর একটা পাতলা পিচবোর্ড থাকে। এটিও কিন্তু তেলের দাগ তুলতে খুব ভাল সাহায্য করে। জামা বা কাপড় জলে চোবানোর আগে এই কাজটি করুন। আগে যেখানে তেলের দাগ আছে তার নিচের দিক থেকে পিচবোর্ড ঢুকিয়ে দিন।
এতে করে জামার অন্য অংশে আর তেল ছড়িয়ে যাবে না। ২০ মিনিট মতো এভাবে ওই তেলের অংশের নিচে পিচবোর্ড রেখে পিচবোর্ডের ওপরে জামার যে অংশ, সেটা ভাল করে ধরে ব্রাশ দিয়ে ঘষুন। পিচবোর্ড কিন্তু এর মধ্যেই অনেকটা তেল শুষে নিয়েছে। এবার সহজেই দাগ উঠে যাবে।
এভাবে কিছু সহজ আর হাতের কাছে থাকা জিনিস ব্যবহার করলে সহজে জামা থেকে তেলের দাগ উঠে আসবে। আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…