যে পোকা কামড়ালে আমাদের সবচেয়ে বেশি জ্বালা করে সেটি হল বোলতা। বোলতা দেখলেই যেন আমাদের ভয় হয়। বোলতার হুলের জ্বালা আর ফুলে যাওয়া যারা একবার এতে ভুগেছেন তাঁরাই জানেন। কিন্তু আমরা কি জানি যে বোলতা কামড়ালে কি কি করা উচিত? ঠিক কি কি করলে কিছু সময়ের মধ্যেই জ্বালা কমে যাবে আর ফোলা ভাব অনেকটা কমে যাবে! সবাই কিন্তু খুব একটা জানি না। সবার আগে হুল বের করতে হবে এটা তো জানি। কিন্তু তারপর?
সবার আগে হুল বের করে বরফ কুচি দিন। এতে জ্বালা ভাব অনেকটা কমে আরাম লাগবে। আর ওই জায়গাটা খানিক গরম হয়ে থাকে। বরফ দিলে ওই গরম ভাব কমে যাবে। বরফ ফোলা ভাব কমিয়ে আনতেও সাহায্য করবে। তবে সরাসরি বরফ দেবেন না। একটি কাপড়ের মধ্য বরফ নিয়ে দেবেন।
মধুর মধ্যে থাকা ইনফ্লেমেটরি উপাদান বোলতা কামড়ালে যে ব্যথা হয় তা কমিয়ে আনবে। শুধু দু’ ফোঁটা মধু সরাসরি ওই জায়গায় দিয়ে দিন। রেখে দিন খানিক সময়ের জন্য। আস্তে আস্তে ফোলা ভাবও কমে যাবে।
আজকাল আমাদের অনেকের বাড়িতেই অ্যালোভেরা গাছ থাকে। বোলতা কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে একটি পাতা ভেঙে রস ওই জায়গায় লাগিয়ে দিন। এতে ইনফেকশনের ভয় থাকবে না। আর অ্যালোভেরা যেহেতু ঠাণ্ডা তাই জ্বালা ভাব কমিয়ে আনবে। তবে গাছ থেকে রস নিয়ে দেওয়াই ভাল। দোকানের অ্যালোভেরা জেল থাকলে ভাব ব্র্যান্ড হলে তবেই ব্যবহার করুন।
শুধু বোলতা নয়, যে কোনও পোকা কামড়ালে সেই জ্বালা থেকে সহজে মুক্তি দেয় এই বেকিং সোডা। শুধু অল্প জলে মিশিয়ে একটা সমুদ পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ওই জায়গায় লাগিয়ে রাখুন দশ মিনিট। ব্যথা, ফোলা সব কমে যাবে দশ মিনিটের মধ্যেই।
তুলসী নিয়ে নতুন করে তো কিছুই বলার নেই। তুলসীর মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান আর অ্যান্টি সেপটিক উপাদান সহজেই বোলতার বিষ নষ্ট করে। সঙ্গে জ্বালা আর ফোলা দুইই কম করে। শুধু একটু তুলসী অল্প থেঁতো করে ওই জায়গায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। একটা ঠাণ্ডা আরামদায়ক ভাব অনুভব করবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এই ক্ষেত্রে খুব কাজের। একটি পরিষ্কার কাপড়ের টুকরোতে কয়েক ফোঁটা ভিনিগার নিন। তারপর ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে নিন। ব্যথা না কমলে খানিক সময় পর আবার দিয়ে রাখুন। এতে ফোলা ভাবও অনেকটা কমে যাবে।
হাতের কাছে থাকা এই উপাদান আমরা সহজে ব্যবহার করি না। কিন্তু বোলতা কামড়ালে পেঁয়াজের রস খুব ভাল কাজ দেয়। অল্প থেঁতো করে ওই জায়গায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে নিন। ইনফেকশন হওয়ার কোনও ভয় আর থাকবে না। খানিক সময়ের মধ্যেই ব্যথাও কমে আসবে।
শুধু রূপচর্চায় নয়, এই ক্ষেত্রেও অসাধারণ কাজ দেবে। কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে নিন। ইনফেকশনের আর কোনও ভয় থাকবে না। সঙ্গে সঙ্গে একটা ঠাণ্ডা ভাব অনুভব করবেন। ফোলা কমে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
এই ক্রিম ওষুধের দোকান থেকে একটা কিনে রাখুন। খুব কাজে লাগে এই ক্ষেত্রে। ব্যথার জায়গায় লাগিয়ে রেখে দিন। এর মধ্যে একটা ঠাণ্ডা ভাব আছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গার গরম ভাব কমিয়ে আনবে। সঙ্গে দেবে ইনফেকশনের ভয় থেকে মুক্তি। আর ফোলা ভাব কমে যাবে তাড়াতাড়ি।
কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা অন্যান্টি সেপটিক আর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদানের কথা আমরা সবাই জানি। অল্প কাঁচা হলুদ বেটে ওই জায়গায় লাগিয়ে রেখে দিন। অনেকটা আরাম পাবেন। ফোলা ভাব কমানোর জন্য দু থেকে তিন বার দিতে পারেন।
মনে রাখবেন, যদি এক দিন পরেও ব্যথা না কমে, যদি জ্বর আসে তাহলে ডাক্তারের কাছে অবশ্যই যেতে হবে। ফেলে রাখা চলবে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…