চলার পথে হাঁটতে হাঁটতে আপনার খুব খিদে পেল। সঙ্গে যে মানুষটি আছে, তাকিয়ে দেখলেন খিদেয় তারও পেট জ্বলছে। কিন্তু বিকেলে কারই বা এতো খিদে পায় যে চলে যাবেন সোজা রেস্তরাঁয়। বিকেলে হাল্কা কিছু খাওয়ার জন্য তাই ভরসা একমাত্র ক্যাফের। আর ক্যাফে মানেই খুব যে একটা টাকা লাগে তা কিন্তু নয়। তাই কম খরচে নিজের পেট ভরাতে আর সঙ্গের মানুষের মন ভরাতে ক্যাফেই প্রধান ভরসা।
এবার কলকাতা শহরে এতো ক্যাফে রয়েছে। কোনটায় যাবেন আপনি সেটাও তো ভাবতে হবে। আজ তাই আপনার সব সমস্যার সমাধান ঘটিয়ে আপনাকে বলে দেব এমন ৬টি ক্যাফের কথা যেখানে আপনাকে যেতেই হবে।
যাদবপুরের দিকে কোনও জায়গায় ঘুরতে গেছেন? হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে খিদে পাবে খানিক তা তো স্বাভাবিক। কিন্তু খাবেন কোথায়? চোখ বুজে চলে যান ব্লু মাগে। এটি মূলত ক্যাফে, তাই কফি, কন্টিনেন্টাল, ইটালিয়ান, নানা রকম স্যালাড এগুলো আপনি খেতে পারেন।
আর এখানে আছে বাইরে বসার জায়গা যেখানে গাছ দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো। তাই গরমকালে এখানে গিয়ে খুব আরাম পাবেন।
সকাল ১১টা থেকে রাত ১০.১৫ পর্যন্ত খোলা থাকে এটি।
এখানে আপনি পিৎজা খেতে পারেন। এদের স্যান্ডউইচ খুব সুন্দর হয় খেতে। ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর আছে নানা রকমের সেক, যেমন ওরিও সেক, কেটবেরি সেক আরও অনেক রকম।
কত টাকাঃ
দুজনের জন্য খরচ হবে মোটামুটি ৭০০ টাকা মতো।
ঠিকানাঃ
১/১২১, যোধপুর পার্ক, কলকাতা।
কলকাতায় আরেকটি বিখ্যাত ক্যাফে হল এই দাগআউট। আপনি এখানে গিয়ে অবাক হবেন এর বসার জায়গা দেখে। সোফার মধ্যে আরাম করে বসে আড্ডা মারার মজাই আলাদা আর এই মজাই পাবেন এখানে। সঙ্গে পাবেন হুক্কা। যদি আপনি হুক্কা খেতে চান আর খানিক মউজ জমাতে চান তাহলে এখানে অবশ্যই যান। অনেক রাত পর্যন্ত এটি খোলা থাকে।
পিৎজা, পাস্তা এই সব তো পাবেনই। এছাড়া ব্রাউনি, মকটেল, হট চকোলেট সবই পাবেন। আর বললামই, সঙ্গে পাবেন হুক্কা।
কত টাকাঃ
দুজনের জন্য লাগবে মোটামুটি ১০০০ টাকা মতো।
ঠিকানাঃ
দুই জায়গায় আছে এই ক্যাফে। একটি সাদার্ন অ্যাভেনিউতে ( ১১১, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, কালী বাড়ির কাছে) আর আরেকটি ভবানীপুরে (৩১, শরত বোস রোড, ভবানীপুর, কলকাতা)।
গড়িয়াহাটে কিছু কিনতে গেছেন। আর বান্ধবীর পেয়েছে দারুণ খিদে। বা ধরুন গোলপার্কে লেকে গেছেন প্রেম করতে। সেখান থেকে বেরিয়েও খিদে পেতে পারে। তখন যদি ভাবতে বসেন কোথায় যাবেন, তাহলে কিন্তু গার্ল ফ্রেন্ডের বকা খাওয়া সুনিশ্চিত। না না, বকা আপনাকে খেতে দেব না।
ইমপ্রেস করার জন্য নিয়ে যান দ্য হুইস্টলিং ক্যেটলে, গোলপার্কে। খুবই মনোরম পরিবেশ, হাল্কা রোমান্টিক আলোয় আপনাদের প্রেমটা আবার জমে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে লাইভ পারফরম্যান্স হয় গানের। তাড়াতাড়ি যান, সন্ধেটা জমে যাবে।
পিৎজা, পাস্তার পাশাপাশি আপনি খুব ভালো চা পাবেন। এছাড়া পাবেন স্যান্ডউইচ, সেক, পর্ক প্ল্যাটার। তাই জমিয়ে খান এখানে গিয়ে।
কত টাকাঃ
দুজনের জন্য লাগবে মোটামুটি ৬০০ টাকা।
ঠিকানাঃ
২৩/৩, গড়িয়াহাট রোড, গোলপার্ক, মৌচাক মিষ্টির দোকানের সামনে।
দুজনে একসঙ্গে টালিগঞ্জের কোনও হলে গেছেন সিনেমা দেখতে? বা বন্ধুরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য দেখা করলেন মহানায়ক উত্তমকুমারে। দু ক্ষেত্রেই কিন্তু গল্প করার পাশাপাশি খাবারের খুবই দরকার। কোথায় যাবেন? ওই তো দ্য চায়েওয়ালায়। কম দামে ওই চত্বরে এর থেকে ভালো ডেস্টিনেসন কিন্তু পাওয়া যাবে না।
খুব ভালো চা পাওয়া যায়। এছাড়া বার্গার, পাস্তা, স্যান্ডউইচ, স্যালাড এই সবও পাওয়া যায়।
কত টাকাঃ
দুজনের জন্য ৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে।
ঠিকানাঃ
৬/১/২, গ্রাহাম’স ল্যান্ড, এন.এস.সি বোস রোড, টালিগঞ্জ, কলকাতা।
আপনি কী পিৎজা খেতে খুব ভালোবাসেন? এতো জায়গায় খেয়েছেন, তাও মন ভরেনি? তাহলে এই জায়গায় আপনাকে আসতেই হবে। ফ্যাব্রিকা মূলত পিৎজার জন্যই বিখ্যাত। অন্যান্য অনেক কিছুও আপনি পাবেন এখানে।
আপনি এখানে গেলে মুগ্ধ হবেন এর ডেকোরেশন দেখে। মাথার উপরে খুব সুন্দর করে সাজানো থাকে। দেখলে আপনি মনে করতেই পারেন আপনি খোদ ইটালির কোনও ক্যাফেতে বসে আছেন। নিয়ন আলোয় প্রেম আর হাওয়া, দুটোই এখানে জমে যাবে।
নানা রকম পিৎজা যে পাওয়া যায় তা তো বললামই। সবচেয়ে মজার কথা হল, আপনি এখানে নিজের মতো করে পিৎজার ফ্ল্যাভার ঠিক করতে পারেন। আপনার পছন্দ মতো অ্যাড-অন যোগ করে মনের মতো পিৎজা বানাতে পারেন।
কত টাকাঃ
৮০০ টাকার মধ্যে দুজনের হয়ে যাবে।
ঠিকানাঃ
৮এ, অ্যালেনবি পার্ক, এলগিন, কলকাতা।
সল্টলেকে গিয়ে খাবার জায়গা পাচ্ছেন না? মনে মনে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এখানে যে জায়গায় যাবেন না কেন অনেক খরচ হয়ে যাবে! না না বন্ধু, তেমনটা মোটেই সত্যি নয়। চলে যান ক্যালকাটা ৬৪ এ। খুব যে একটা বড় জায়গা জুড়ে তা নয়, কিন্তু খুব সুন্দর। বাইরেও বসার জায়গা আছে। একটা সন্ধেবেলা গল্প করার জন্য কিন্তু এই ক্যাফে অনবদ্য।
কী কী পাওয়া যায়ঃ পাস্তা, পিৎজা, স্যান্ডউইচ, বার্গার, মকটেইল সবই পাবেন এখানে।
কত টাকাঃ
দুজনের জন্য ৬০০ টাকা মতো লাগবে।
ঠিকানাঃ
বি সি ২৫, সেক্টর ১, সল্টলেক।
এবার কিন্তু শুধু আর্টিকেল পড়ে বসে থাকলে হবে না। জোম্যাটো সার্চ করতে শুরু করুন, গুগুল ম্যাপে দেখুন আর আজই এর মধ্যে একটায় চলে যান। আর ভালো লাগবে দাশবাসকে জানাতে ভুলবেন না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…