বাসে আছেন, বা রাস্তায়? হঠাৎ জোরে টয়লেট পেয়ে গেছে? অথচ এখন টয়লেটে জলদি যাওয়ার কোনো উপায়ই নেই। থাকতে হবে হয়তো আরও ৩-৪ ঘণ্টা। কিংবা আপনার কি রাস্তায় বেরোলেই টয়লেট পায় আর আপনার সঙ্গের লোকজনকে টয়লেট খোঁজার জন্য ব্যতিব্যস্ত করে ফেলেন? তা আপনার আর দোষ কী বলুন?
রাস্তায় টয়লেট পাওয়ার যে কি জ্বালা, তা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন। কিন্তু অনেকসময় কন্ট্রোল করতে চেয়েও পারা যায় না! তখনই হয়ে যায় সমস্যা। তবে আর চাপ নেই বন্ধুরা। এবার জোরসে টয়লেট পেলেও কীভাবে তাকে কন্ট্রোল করবেন, তার সুন্দর টিপস নিয়ে হাজির আমরা। দেখুন।
আপনার কি খুব বেশী জল খাওয়ার অভ্যেস আছে নাকি? নাকি খানিকক্ষণ ছাড়া ছাড়া জল না খেলেই ভেতরটা কেমন আনচান করে? জল খেলেই জানেনই তো, টয়লেট পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। তাই এবার থেকে রাস্তায় বেরোলে যতদূর সম্ভব জল কম খান। জানি প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবে। কিন্তু তাও জোর করে নিজেকে জল খাওয়া থেকে আটকান। দেখবেন ওরকম ঘন ঘন টয়লেটও আর পাচ্ছে না। আর শুধু জল না। কোল্ড ড্রিঙ্কস বা অন্যান্য কোনো পানীয়ও কিন্তু একদম খাবেন না।
অনেকেরই রাস্তায় বা বাসে একটু কেত নিয়ে পায়ের ওপর পা তুলে বসার অভ্যেস আছে। কিন্তু আপনার যদি জোরে টয়লেট পেয়ে যায়, তাহলে তাকে চাপবার জন্য পা ক্রস করে বসা কিন্তু খুব বাজে ব্যাপার। কেননা তলপেটের ওপর আপনি যদি আপনার থাই তুলে রাখেন, তাহলে আপনার ইউরিন ব্লাডারে চাপ পড়ে। আর ব্লাডারে চাপ পড়া মানে তো বুঝতেই পারছেন। তাই এমনি নর্মালভাবেই বসুন। এমনকি ঝুঁকে তলপেটের ওপর চাপ দিয়েও কিন্তু একদম বসবেন না।
রাস্তায় বেরিয়েছেন, আর জিনসটাও কষে বেল্ট দিয়ে এক্কেবারে টাইট করে পরেছেন। আর এর মধ্যেই পেয়ে গেছে টয়লেট, তাই তো? প্যান্ট টাইট করে পরলে এমনিতেই কিন্তু তলপেটে খুব চাপ পড়ে। তার মধ্যে যদি টয়লেট পেয়ে যায়, তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই টয়লেট যদি খুব পেয়ে গিয়ে থাকে, আর যাওয়ার যদি কোনো উপায় না থাকে, তাহলে বেল্টটা নাহয় খানিক আলগা করে ফেলুন। দেখবেন খানিক আরাম পাচ্ছেন।
খুব টয়লেট পেয়েছে। অথচ আপনার পেটের ভেতর থেকে গুড়গুড়িয়ে উঠছে হাসি। আর আপনি হাসতেও পারছেন না, কারণ কে না জানে, ওই অবস্থায় হেসে ফেলা মানে পুরো লজ্জার একশেষ। তাই টয়লেট খুব পেয়ে গেলে হাসি থেকে শত হাত দূরে থাকুন। কয়েক ঘণ্টা নাহয় রামগরুড়ের ছানাই হয়ে যান। আর বেশী নড়াচড়া, কাশি থেকেও দূরে থাকতে চেষ্টা করুন। কারণ এসব করতে গিয়ে তলপেটে চাপ পরলে আপনারই বিপদ।
টয়লেট জোরে যদি পায়, আর আপনি যদি পেট হালকা না করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সারাক্ষণ আপনার মনে কিন্তু ওটাই চলতে থাকে। এটা থামান। টয়লেট নিয়ে বেশী চিন্তা বা টেনশন একদম করবেন না। রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করুন। গান শুনুন। বা বাসে থাকলে জানলা দিয়ে বাইরে দেখুন। মোটকথা মন অন্যদিকে ঘোরান, খানিক জোর করেই। আর জলের কথা একদম চিন্তা করবেন না। ওতে আরও টয়লেট পেয়ে যায়।
তাহলে এবার বাসে বা রাস্তাঘাটে যদি আপনার টয়লেট পেয়েও যায়, আপনি কিন্তু চাপলেস থাকুন। আপনি বেকার টেনশন করলে তো আর তাড়াতাড়ি টয়লেটে যেতে পারবেন না! তাই রিল্যাক্সড থাকুন। দেখবেন টয়লেট যে পেয়েছিল, সেকথা আর মনেও থাকছে না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…