সৌন্দর্য খুবই আপেক্ষিক একটি বিষয়, সৌন্দর্য নির্ভর করে দেখার চোখের ওপর। কিন্তু অভিনেত্রী রাইমা সেনের সৌন্দর্যের কথা যদি বলেন, তাহলে তা কিন্তু বর্ণনার অতীত।
বাংলা-হিন্দি মিলিয়ে চোখের বালি, হনিমুন ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড, দ্য জাপানিস ওয়াইফ-এর মতো ছবিতে দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রাইমা। বলিউড এবং টলিউড দীর্ঘদিন ধরে সমানভাবে বিচরণ করছেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। কিন্তু আজও তাঁর চেহারার জৌলুস একইরকম।
জানেন কী তাঁর সৌন্দর্যের রহস্য। তবে যার দিদিমা বাংলা ছায়াছবি জগতের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন এবং মা মুনমুন সেন, সেই রাইমা সেনের সৌন্দর্যের রহস্য নিয়ে আর আলাদা করে কিছু বলার নেই। তবে জানেন কি, কীভাবে নিজের যত্ন নেন রাইমা।
রাইমা সেনের স্কিন কেয়ার টিপস
রাইমার একাধিক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় যে, তিনি বাহ্যিক সৌন্দর্যের থেকেও আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যে বেশি বিশ্বাস করেন।
সেই কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠেই জোয়ান ভেজানো এক গ্লাস জল বা কখনও কখনও সেলারির (শাকবিশেষ) জল পান করেন। এটি হজমের জন্য খুবই সহায়ক একটি উপকরণ।
এরপর স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট-এর জন্য ত্বকে অ্যালোভেরা জেল এবং গোলাপ জল অ্যাপ্লাই করেন।
ত্বক পরিষ্কার করার জন্য জুঁইফুলের সুগন্ধযুক্ত একটি ক্লিনজার ব্যবহার করেন।
এরপর সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে নিয়ম করে ত্বকে অ্যাপ্লাই করেন সানস্ক্রিন।
শুধু তাই নয়। ত্বকের যত্ন নিতে সপ্তাহে অন্তত একদিন করে বেসন এবং হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন।
প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিন
নিজের ত্বকের যত্ন নিতে আরও অনেক রকমের কসরত করেন নায়িকা।
সারাবছরই ত্বকের যত্ন নিতে বোরোলিন ব্যবহার করেন কিংবদন্তী সুচিত্রা সেনের নাতনি। তিনি বহুবার এও জানিয়েছেন যে, তাঁর এই পুরনো অভ্যেসের কথা শুনে আজও অনেকে হাসেন, তবে যাই হোক না কেন এর সঙ্গ তিনি ছাড়তে পারবেন না।
এছাড়াও স্কিনের টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং-এর দিকেও বিশেষ নজর দেন রাইমা। রাইমার ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণে তিনি এক দিন পর পর মুখে ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন।
মেকআপ করার পাশাপাশি মেকআপ তোলার ওপরেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। আর সেইকারণেই মেকআপ তোলার জন্য মেকআপ ওয়াইপস এবং টোনার ব্যবহার করেন।
তবে জানেন কি, রাইমাও কিন্তু মা-দিদিমার আমলের শুদ্ধ নারকেল তেলকেই সুস্থ ত্বকের গোপন রহস্য বলে মনে করেন। আর সেই কারণেই এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেলের মিশিয়ে একটি ফেস মাস্ক তিনি ব্যবহার করেন, যা তাঁর ত্বককে পরিষ্কার রাখতে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
আর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করা মাস্ট।
রাইমা বিশেষ খেয়াল রাখেন কি কি বিষয়ে?
কোন প্রোডাক্টটি ব্যবহার করবেন সেটা কীভাবে ঠিক করেন নায়িকা? এবিষয়ে রাইমা জানান যে, তাঁর জন্য প্রোডাক্ট বেছে দেন তাঁর মা। তাঁর কথায়, তাঁর মা-ই বলে দেন কোন প্রোডাক্টটি তাঁর জন্য ভালো, কোনটি তাঁকে স্যুট করবে ইত্যাদি।
রাইমা আরও জানান যে, খাওয়া-দাওয়াও কিন্তু আপনার সৌন্দর্যকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। আর সেইকারণেই রাইমা স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের ওপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেন।
দিনে কমপক্ষে চার লিটার জল পান করেন। বেছে বেছে সেইসব খাবারই খান যাতে ত্বকের ওপর তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
রাইমার মতে, পছন্দের সব খাবারই খাওয়া উচিত, তবে অবশ্যই তা হতে হবে পরিমিত। কোনও কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
আর রাতের খাবার সবসময় হালকা খাওয়া উচিত। রাতের খাবার বেশি রাত করে না খাওয়ারই পরামর্শ দেন তিনি।
পাশাপাশি নিয়মিত সময় করে যোগব্যায়ামও করেন। প্রপার এক্সসারসাইজ রুটিন ফলো করে চলেন।
প্রশিক্ষকের নির্দেশ মেনে নানারকমের ব্যায়াম অভ্যাস করেন। আর এই কারণেই তাঁর ত্বক এবং চুল এত সুন্দর বলে মনে করেন তিনি।