Most-Popular

রাগ কমানোর ৬টি ব্যায়াম

উফ কি রাগ রে বাবা!হাতের সামনে যা পেল ছুড়ে ফেলেই দিল।এরম একজন মানুষ আমাদের সবার বাড়িতেই আছে,যাদের রাগ থামাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।রেগে গেলে আর কোন হুঁশ থাকেই না।এদিকে আপনিও বুঝতে পারেন না কিভাবে এই রাগকে কন্ট্রোল করবেন।অনেক চেষ্টা করেও তেমন কোন লাভ হয় না।কিন্তু কিছু কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো নিয়মিত করলে,রাগ অনেকটাই কন্ট্রোলে আস্তে পারে।

জোরে শ্বাস নেওয়া

এটা খুব ভালো একটা ব্যায়াম রাগ কন্ট্রোল করার ক্ষেত্রে যখন রাগ হচ্ছে বা ক্রনিক রাগের জন্য,মানে যদি মাঝেই মাঝেই এরম প্রচণ্ড রাগ আসে।তাহলে ধীরে ধীরে নিজের মনকে কন্ট্রোল করার জন্য এই ব্যায়াম।এরজন্য একটা আরামদায়ক জায়গায় আগে বসুন ভালো করে।এমন কোনো জায়গায় বসবেন না,যাতে কোনোরকম অস্বস্তি না হয়।সোজা হয়ে বসুন বা শুয়েও পড়তে পারেন।এবার চোখটা বন্ধ করুন।একটা হাত রাখুন আপনার পেটে।এবার গভীরভাবে শ্বাস নিন।আস্তে আস্তে শ্বাস নিন আর শ্বাস ছাড়ুন।মনটা সেই সময় শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার দিকে দিন।মন থেকে সমস্ত চিন্তা সেই সময় দূরে সরিয়ে দিন।ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং সেই দিকেই মন দিন।এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট থাকুন।এটা রোজ করুন।দেখবেন রাগকে কত সহজে কন্ট্রোল করতে পারছেন।

বক্সিং

খুব রাগ হলে অন্যর সাথে মারপিট না করে,বক্সিং করুন।শুনতে অন্য রকম লাগলেও,সঙ্গে সঙ্গে রাগ কন্ট্রোলে আসে এতে।রাগ হলেই জিমে চলে যান। বক্সিং গ্লাভস পড়ে নিন।পড়ে পাঞ্চিং ব্যাগে মারুন যত খুশী।কিছুক্ষণের মধ্যেই রাগ কন্ট্রোলে আসবে।যারা বাড়িতে শরীরচর্চা করেন।তাদের বাড়িতেই নানারকম মেশিন থাকে।আর এই পাঞ্চিং ব্যাগও বাড়িতেই রাখতে পারেন।সঙ্গে বক্সিং গ্লাভস।রাগ হলেই এতে মারুন।এতে শরীরে মাসলও যেমন তৈরি হবে,রাগও কন্ট্রোলে আসবে।

হাঁটা

আপনার বাড়ির মানুষটির রাগ কন্ট্রোলে আনতে,তাকে নিয়ে প্রতিদিন হাঁটতে বেড়িয়ে পরুন।হাঁটা এমন একটা ব্যায়াম যাতে একসাথে শরীরের অনেক উপকার হয়।আর রাগ কন্ট্রোল করতে এর মত ভালো ব্যায়াম খুব কমই আছে।প্রতিদিন সকালে বা সকালে যদি সময় নাও হয়,তাহলে সন্ধ্যাবেলাও হাঁটতে পারেন।কি ভাবছেন!এতো কাজের মাঝে রোজ হাঁটার সময় কোথায়।তাহলে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন হাঁটুন।

টিমে যোগদান

কোনো খেলার টিমে যোগদান করুন বা নিজেই কিছু বন্ধুদের নিয়ে টিম তৈরি করুন।সবাই মিলে বিভিন্ন খেলা,যেমন ভলিবল,বাস্কেট বল,সকার,ক্রিকেট বা ফুটবল এইসব খেলুন।এই প্রতিটা খেলাতে যেমন শরীরচর্চা হয়,তেমনই নিজের মনকে এগুলো কন্ট্রোলে আনতে সাহায্য করে।সবাই একসাথে খেলার ফলে মন আনন্দে ভরে ওঠে।এইসব খেলা রোজ বা রোজ সম্ভব না হলেও সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করুন।বিভিন্ন স্টাডি থেকে দেখা গেছে,এগুলোর সাথে মনকে কন্ট্রোল করার বেশ গভীর সম্পর্ক রয়েছে।টিমে এই খেলাগুলো খেলার ফলে স্ট্রেস লেবেল অনেকটাই কমে।ব্রেন পসিটিভ ভাবে চিন্তা করতে শেখে।তাই রাগ অনেকটাই কন্ট্রোলে আসে।

স্কিপিং

মনে আছে ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে সেই স্কিপিং কম্পিটিশন?ছোট বেলার সেই দিনগুলো ফিরে এলে আবার কেমন হয়?খুব ভালো হবে তাই না।হ্যাঁ তাহলে সেটাই করুন।আবার সেই পুরনো স্কিপিং দড়িটা খুঁজে বের করুন।আর স্কিপিং শুরু করে দিন।এখন হয়তো সেই বন্ধুরা অনেক দূরে।কিন্তু আপনার মন শান্ত রাখতে,রাগকে কন্ট্রোলে রাখতে স্কিপিংই হবে আপনার রোজের বন্ধু।যখন ইচ্ছা,একটু সময় পেলেই স্কিপিং করে নিন।দেখবেন মন কেমন আনন্দিত থাকছে।এটা হার্টকে সঠিকভাবে পাম্পিং করতে সাহায্য করে।ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে,যেটা স্ট্রেস লেবেলকে,রাগকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।আর স্কিপিং করা পছন্দ না হলে,সেক্ষেত্রে জগিং,সাইকেল চালানো,দৌড়ানো এগুলোও করতে পারেন।

যোগাসন

মনকে কন্ট্রোল করতে যোগার উপকারিতা নিশ্চয়ই অনেকেই জানেন।নিজের মনকে শান্ত রাখতে দারুন উপকারি যোগাসন।নানারকম যোগাসন আছে।প্রত্যেকটা যোগাসনই সাহায্য করে মনকে কন্ট্রোলে রাখতে।প্রথমেই এরমই একটা যোগাসনের কথা বলেছি।কিন্তু আরও বিভিন্ন যোগাসন গুলো প্রতিদিন ট্রাই করুন।যোগাসন শরীর,মন,আত্মাকে পিউরিফাই করে।মন থেকে সমস্ত রাগ ধুয়ে যাবে।এটা সেলফ কনফিডেন্স বাড়ায়।নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়।আত্ম সচেতনতা বাড়ায়।সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে শেখায়।তার ফলে মন সবসময় সঠিক কাজে ব্যস্ত থাকে,রাগ আসে না।

তাহলে নিজের এই রাগ নিয়ে অকারণে নিজের প্রিয় মানুষগুলোর সাথে আর ঝগড়া নয়।বা আপনার প্রিয় মানুষটা যদি অকারণে রাগ দেখায় আপনার ওপর,তাহলে তার সাথে ঝগড়া করে কি লাভ।বরং তাকে সাহায্য করুন তার এই রাগকে কন্ট্রোলে আনতে।এই প্রতিটা ব্যায়াম আপনিও তার সাথে করতে লেগে পরুন আজ থেকেই।ব্যাস এতে শুধু শরীরই ভালো থাকবে না।একমাস পর দেখবেন আপনার প্রিয় মানুষটা আবার আপনার কাছে আগের মতই ধরা দিচ্ছে।

সুস্মিতা দাস ঘোষ

Recent Posts

মুখের রোমকূপ বা পোরস ঢাকার মেকাপ টিপস

আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…

2 বছর ago

থুঁতনির জেদি ব্ল্যাকহেডস তোলার ৬টি উপায়

পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…

2 বছর ago

মেয়েরা বিয়ের কথা শুনে লজ্জায় যে ১০টি জিনিস অজান্তেই করে

আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…

2 বছর ago

ঘরের দেওয়ালে নোনা ধরছে? দূর করুন ঘরোয়া কৌশলে

বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…

2 বছর ago

ময়েশ্চারাইজার কেন এত উপকারি ত্বকের যত্ন নিতে? ব্যবহারের সঠিক নিয়ম।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…

2 বছর ago

নারকেল তেল দিয়ে ত্বকের যত্ন! উজ্জ্বল, চকচকে ত্বকের গোপন রহস্য!

প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…

2 বছর ago