উইকিপিডিয়া বলছে তাঁর বয়স এখন ৪৫। কিন্তু কে বলবে বলুন তো তিনি এই বয়স পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন! এখনও পর্যন্ত তিনি বাংলা টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রির অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী। ১৯৯০ সালে মিস কলকাতা খেতাব জেতার পর থেকে তাঁর যে জয়যাত্রা শুরু হল তাঁর রেশ এখনও সমান ভাবে জারি আছে দিদি নম্বর ওয়ান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
আশা করি আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কার কথা বলছি! হ্যাঁ, আমি বলছি রচনা ব্যানার্জীর কথা। এখনও বয়সের ছাপ যেন তাঁকে ছুঁতেই পারেনি। কিন্তু এর রহস্য কী? আপনাদেরও যাদের ওই কাছাকাছি বয়স, তাঁদের নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে এর পিছনে কোন রহস্য রয়েছে! তাহলে আর দেরী না করে আজকের এই আর্টিকেল পড়ে ফেলুন। তারপর বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখানো আপনার বাঁ হাতের খেল হবে।
বয়স বাড়ার অন্যতম লক্ষণ হল মোটা হয়ে যাওয়া। খুব কম মানুষ আপনি দেখতে পারবেন যারা বেশি বয়সেও নিজেকে ছিপছিপে রাখতে পেরেছেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটা হয়ে যান বলেই তো ধীরে ধীরে অনেক রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে। আর শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে দেখতেও তো খুবই খারাপ লাগে। রচনা ব্যানার্জী তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করে নিজের শরীরের বাঁধুনি ধরে রেখেছেন। রোজ নিয়ম করে তিনি জিমে যান, আর জিমে যেতে না পারলে বাড়িতেই করে নেন খানিক এক্সারসাইজ। তাই তো ৪৫ বছর বয়সেও এমন তন্বী তিনি।
অভিনেত্রী বলে কথা, ব্যস্ততা তো তুঙ্গে। তা বলে আপনারা কী ভাবেন, উনি ঠিক মতো খাবার সময় পান না? মোটেই তা নয়। বরং সময় মেনে অন্তত দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার খান তিনি। আর প্রত্যেক বারই খান নির্দিষ্ট পরিমাণে। সময় মেনে ঠিক সময়ে ঘুমোতেও যান। বেশি রাত করে জেগে থাকা, নৈব নৈব চ। তাই ডার্ক সার্কেল, চোখের নিচে ফোলা ভাব এসব সমস্যা ওনার ধারেকাছে ঠিক ঘেঁষে না।
আপনারা হয়তো বললে বিশ্বাস করবেন না, রচনা ব্যানার্জী কিন্তু নিজের রূপচর্চার জন্য ঘরোয়া উপায়ের উপরই বেশি আস্থা রাখেন। কারণ তাঁর মতে ঘরে নিজের হাতে তৈরি করা জিনিস যেমন শুদ্ধ, তেমনই তাতে কোনও ক্ষতিকারক পদার্থ থাকার ভয়ও থাকে না। আর ঘরে যে খুব বেশি কিছু তিনি করেন তাও নয়। কাঁচা হলুদ, মধু আর দইয়ের একটা মিশ্রণ করে মুখে মাখলেন বা তার পর হয়তো অ্যালোভেরার জেল মুখে খানিক মেখে রাখলেন। এমনই সাধারণ আর হাতের কাছে পাওয়া জিনিসই ব্যবহার করে তিনি আজও সুন্দর আছেন।
ত্বকের মতো চুলের যত্নেও ঘরের প্রতিই তাঁর ভরসা। একটি হেয়ার প্যাক তিনি নিজে বাড়িতে বানিয়ে নেন যা তাঁর কাছে খুবই কাজের বলে মনে হয়। সেটি হল কলার হেয়ার প্যাক। একটি পাকা কলা নিয়ে তা চটকে তার মধ্যে খানিক মধু আর অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে চুলে মেখে রাখতে হবে অন্তত আধ ঘণ্টা। তারপর শ্যাম্পু করে ফেললেই ব্যাস, আপনার চুলের জেল্লা দেখে আপনি নিজেই চমকে যাবেন।
এটি কিন্তু উনি একবার দিদি নম্বর ওয়ান অনুষ্ঠান চলার সময়ে বলেছিলেন। আমাদের সুন্দর থাকার জন্য ভিতর থেকে ডি-টক্স হওয়া খুব দরকার। তার জন্য রোজ সকালে উনি একটি মিশ্রণ খেতে বলেছিলেন। আগের দিন রাতে একটি পাত্রে বেশ কিছু পরিমাণ আদা আর পাতিলেবু খোসা সমেত নিতে হবে। এবার সেটি ফোটাতে হবে ভালো করে। তারপর ঠাণ্ডা করে জল ছেঁকে আলাদা করে রাখতে হবে। রোজ সকালে ওই জল হাল্কা গরম করে খালিপেটে খেতে হবে। খেতে যে খুব ভালো হবে না বুঝতেই পারছেন, কিন্তু সুন্দর থাকতে এটুকু কষ্ট আপনাকে করতেই হবে। ওনার মতে এটিই ওনার সুন্দর থাকার প্রধান চাবিকাঠি।
আর নিশ্চয়ই কোনও রহস্য রইল না আপনাদের কাছে। রচনা ব্যানার্জীর মতো সুন্দর, ফিট কিন্তু আপনিও এখন থাকতে পারেন। বয়স তো শুধুমাত্র একটা সংখ্যা এটা এবার আপনিও বলবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…