দিনে এক প্যাকেট সিগারেট না খেলেই নয়! বাড়িতে সকলে অনেক বারণ করেছেন, তাও আপনি ছাড়েননি। সবচেয়ে বড় কথা, সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ওই ভয়ানক ছবি দেখে আপনি যখন নিজে থেকে ছাড়তে চান সিগারেট, তখন আপনি আর ছাড়তে পারছেন না। সিগারেট খেলে ফুসফুসের ক্ষতি হয়, আপনার ওরাল ক্যানসার হতে পারে, এই সবই আপনি জানেন।
কিন্তু শুধুমাত্র ব্যাপারটা হল একটু কষ্ট করে আপনাকে সিগারেট খাওয়া ছাড়তে হবে। আর এই নিয়ে একদমই ভাববেন না। আপনি যতটা না কষ্ট করবেন, আপনার শরীর তাঁর থেকে বেশি সহায়তা করবে আপনাকে এই সিগারেট ছাড়তে। আসুন দেখে নিই আপনি সিগারেট ছাড়লে মাত্র দু সপ্তাহের মধ্যে কী কী উপকার পেতে শুরু করবেন।
একটা কথা কিন্তু আমাদের মানতেই হবে। আমাদের শরীর আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু এবং এমন বন্ধু যাকে আমরা যা সইয়ে নিই তাই সয়ে নেয়।
একটা আশ্চর্য মেশিন বলতে পারেন। আপনি আপনার শেষ সিগারেট খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর থেকেই কিন্তু আপনাকে ক্ষতিকর দিক থেকে সরাতে শুরু করে আপনার শরীর। আসুন দেখে নিই কীভাবে শরীর এটা করে।
যখন আপনি সিগারেট খাচ্ছেন, আপনার রক্তচাপ বেড়ে যায়। কিন্তু সিগারেট নেভার ২০ মিনিটের মধ্যেই আপনার রক্তচাপ আবার তার আগের জায়গায় চলে আসে।
ঠিক একই ভাবে আপনার হাতের তালু আর পায়ের পাতার তাপও কিন্তু বেড়ে যায় সিগারেট খাওয়ার সময়ে। আর ঠিক ২০ মিনিট পর থেকে সেই তাপ শরীর কমিয়ে আনতে থাকে।
আমরা সবাই জানি সিগারেটে নিকোটিন থাকে। সিগারেট খেলে সেই নিকোটিন রক্তে গিয়ে মেশে। কিন্তু শেষ সিগারেট খাওয়ার ৮ ঘণ্টা পরেই কিন্তু ওই নিকোটিনের মাত্রা নেমে যায় প্রায় ৯৩.৭%।
সিগারেট খেলে রক্তে মিশছে যথেষ্ট পরিমাণে কার্বন মনোক্সাইড। কিন্তু জানেন কী, শেষ সিগারেট খাওয়ার ঠিক ১২ ঘণ্টা পরেই আপনার রক্তে সেই কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা অনেক কমে যায়।
এর পাশেই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও আবার তার আগের সাধারণ অবস্থায় ফিরে আসে।
আপনি সিগারেট ছেড়েছেন দু দিন হয়ে গেছে। সিগারেট দীর্ঘ দিন ধরে খেলে এবং তাও চেইন স্মোকারের মতো, আপনার নার্ভের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
আর তার জন্য আপনি যেমন ঠিক মতো কোনও জিনিসের গন্ধ নিতে পারেন না, তেমনই কোনও খাবারের স্বাদও ভালো করে পান না। আপনার সব সময়ে সিগারেটের তামাকের গন্ধটাই নাকে আসে বেশি করে।
কিন্তু আপনি যখন সিগারেট ছেড়ে দু দিন কাটালেন, আপনার শরীর তখন এই পরিবর্তনের সঙ্গে, অর্থাৎ সিগারেটহীন শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। আপনি এবার খাবারের স্বাদ আগের থেকে ভালো করে পেতে শুরু করবেন।
আপনি নিশ্চিন্তে ধরে নিন যে আপনার শরীর এখন নিকোটিন মুক্ত হয়ে গেছে। আর বাকী যা আছে তাও আপনার ইউরিনের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে।
অনেক দিন ধরে সিগারেট খেলে আপনার মধ্যে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। আপনি তাড়াতাড়ি সিঁড়ি চড়তেও পারেন না। কিন্তু সিগারেট ছাড়াও ১০ দিনের মধ্যেই আপনি এই সমস্যাগুলি থেকে অনেকটা বেরিয়ে আসতে পারবেন। শ্বাসকষ্ট যেমন কমবে, তেমনই আপনি আলাদা এনার্জি পেতেও শুরু করবেন।
সিগারেট খেলে সরাসরি এবং তাড়াতাড়ি যদি কিছু ক্ষতি হয় সেটি হল দাঁত আর মাড়ি। সবচেয়ে বেশি হয় ওরাল ক্যানসার। কিন্তু সিগারেট ছাড়ার দশ দিনের মধ্যে আপনার মাড়ির মধ্যে রক্ত সঞ্চালন আবার সাধারণ হতে শুরু করবে। অক্সিজেনের প্রবাহ ভালো হবে। আর আপনার দাঁতও আবার সুন্দর হতে শুরু করবে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। কিন্তু আপনার সিগারেট ছাড়ার দু সপ্তাহের পর থেকে হার্ট আবার তাঁর আগের অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করে। এবং এর ফলেই হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে যায়। এই দু সপ্তাহ পর থেকে আপনার হার্ট আস্তে আস্তে প্রত্যেক দিন নিজের আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…