লম্বা চুল দেখতে যত ভাললাগে ততটাই সমস্যা একে মানেজ করা, আর কলকাতার গরমে চুল খোলা রাখাও হয়ে ওঠে বড় সমস্যার। পুজোতে তাই চাই নতুন হেয়ার স্টাইল। যাতে চুল ভালও থাকবে আর সঙ্গে চুলের বাহারে হয়ে উঠতে পারবেন অপরূপা।
যাদের চুল সোজা এবং সিল্কি, তাদের চুলে বেশ মানাবে এই কেশবাহার। প্রথমে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিতে হবে, সামনের অংশের চুল পাফ করে ক্লিপের সাহায্যে আটকে নিন। পাফ করা চুলের গুছিকে পিছনে একটি রাবর ব্যান্ড দিয়ে সিকিওর করে নিন, এরপর ওই সিকিওর করা চুলের বাকি অংশ রাবার ব্যান্ড দিয়ে ১.৫ ইঞ্চি ছাড়া ছাড়া বেঁধে নিন নিচ পর্যন্ত।
বেঁধে নেওয়া চুলের মাঝের অংশ হাতের সাহায্যে টেনে আলগা করে দিন। বাকি খোলা চুলের মাঝে বাঁধা অংশের ওই চুল দেখতে অপূর্ব লাগবে ষষ্টির পুজোর সকালগুলিতে।
ঘন চুল যাদের এই স্টাইলটি বিশেষ ভাবে তাদের জন্য। প্রথমে চুল সাইড পারটিং করে নিয়ে একদিকে চুল নিয়ে আসতে হবে। এবার কপালের পাশের অংশের চুলের ছোট ছোট গুছি করে ফ্রেঞ্চ ব্রেইড করা শুরু করতে হবে, এভাবে সম্পূর্ণ চুলে একভাবে বিনুনি করে শেষে রাবার ব্যান্ড দিয়ে আটকে দিতে হবে।
শেষে হাতের সাহায্যে বিনুনি আলগা করে, হেয়ার স্প্রে দিয়ে পুরো চুল সেট করে নিলেই রেডি হয়ে যাবে সপ্তমির মারমেড স্টাইল ফ্রেঞ্চ ব্রেইড।
ফিজি চুলের সমস্যা যাদের, তাদের জন্য এই স্টাইলটি পারফেক্ট। সব চুলকে একসাথে মাথার উপরে নিয়ে এসে একটি পলিটেল করতে হবে। তারপর একটি মোটা হেয়ার ব্যান্ড চুলের ঠিক ডগার অংশে লাগিয়ে রোল করে গোড়ার দিকে নিয়ে আসতে হবে।
বেরিয়ে থাকা চুলগুলিকে ক্লিপের সাহায্যে লাগিয়ে সমগ্র চুলকে সিকিওর করে নিলেই রেডি হয়ে যাবে এই নতুন ধরনের অষ্টমী সকালের খোঁপা। সঙ্গে চাইলে সাইডে লাগিয়ে নিতে পারেন কিছু হেয়ার আক্সেসারিস-ও।
অষ্টমীর বা নবমীর সন্ধ্যের জন্য দরকার শাড়ির সঙ্গে মানানসই খোঁপা। চুল মাঝখান থেকে দুভাগ করে নিয়ে বেঁধে ফেলুন গোড়ার অংশ। তারপর বাঁধা চুলে দুটি বিনুনি করে টুইস্ট করার পর জড়িয়ে নিন খোঁপার আকারে, ক্লিপ দিয়ে সিকিওর করুন। সাইডে লাগান হেয়ার আক্সেসারিস।
সব্যসাচী ব্রাইডাল লুক আনতে পাতাকাটা চুলের অংশে ব্যবহার করতে পারেন হেয়ার জেল। শাড়ি আর ঘন কাজলের সঙ্গে জমে যাবে এই লুক।
পাতলা চুল সব মেয়েদের বড় সমস্যা, এই সমস্যার সমধান রইল দশমীর সন্ধ্যের এই স্টাইলটিতে। সাইডের কিছু চুল বাদ রেখে বাকি সমস্ত চুলকে বেঁধে ফেলুন। সাইডের চুলগুলিকে টুইস্ট করে ব্যান্ড দিয়ে সিকিওর করুন।
মাঝের বাঁধা চুলের বাঁধা অংশর মধ্যে একটি ফাঁক করে চুলগুলিকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিন, ততক্ষণ টুইস্ট করে ঢোকাতে থাকুন যতক্ষণ না গোড়া অবধি চুল বাঁধা সম্ভব হচ্ছে। সাইডের চুলগুলির টুইস্ট করা অংশ একটু আলগা করে বাঁধা চুলের চারপাশে জড়িয়ে দিন। চাইলে সামনের দিকের চুলের অংশ টেনে আলগা করে একটু ফ্লাফি লুক দিতেই পারেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…
View Comments
Vedio হলে বেশি ভালোভাবে বোঝা যেত।