বিয়ের প্রস্তুতি মানেই বিরাট এক ঝামেলা। কেনাকাটা, প্ল্যানিং, নাচ-গান ইত্যাদির ভীড়ে পরিপূর্ণ স্কিন কেয়ার কারাটা খুব মুশকিল। শারীরিক ও মানসিক চাপে হবু কনের সুন্দর মুখশ্রী ম্লান হতে দেরি হয় না। তাই বিয়ের অন্তত ৩ মাস আগে থেকে স্কিন কেয়ার না করলে বিয়ের দিনের সাজটা বড্ড বেমানান লাগবে। কিন্তু যদি হাতে কয়েক মাস সময় না থাকে তখন?
এই জন্য দরকার কিছু প্রি-ব্রাইডাল DIY ফেস পলিশ প্যাক, যা থেকে পাওয়া যাবে ইনস্ট্যান্ট গ্লো। আপনি হবু কনে হোন বা কনের সখী, ইনস্ট্যান্ট ফেস পলিশ প্যাক ব্যবহারে পাবেন চটজলদি মন মাতানো সৌন্দর্য। আজকের আয়োজনে আপনাদের জন্য থাকছে কিছু হোমমেইড ফেস পলিশ প্যাকের রেসিপি।
বেসন – ২ টেবিল চামচ
লেবু – অর্ধেকটা
হলুদ গুঁড়া – আধা চা চামচ
টকদই – ১ চা চামচ
প্রথমে বেসন ও হলুদ গুঁড়া একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপরে এতে যোগ করুন টকদই ও লেবুর রস। সব মিলিয়ে একটি মিডিয়াম কনসিসটেন্সির ব্যাটার তৈরি করে নিন। খুব পাতলা বা ঘন হলে ব্যবহার করতে পারবেন না। মুখে প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিবেন, এরপরে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।
এই ফেস পলিশ প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বক ও কম্বিনেশন ত্বকের জন্য ভালো হবে। বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ততা শুষে নেয়। লেবু ও হলুদ ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে ত্বকের রং হালকা করে। টকদই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং রোদে পোড়া দাগ দূর করে।
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। প্যাকটি ঘন করার জন্য কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে পারেন। এরপরে প্যাকটি মুখে, ঘাড়ে, এবং গলায় সমান করে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে আসলে স্ক্রাব করে তুলে ধুয়ে ফেলুন। সবশেষে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ চালের গুঁড়া বলিরেখা ও কালচে দাগ কমায় এবং ইউভি রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে পরিচিত চালের গুঁড়া ত্বককে নরম, মসৃণ, ও উজ্জ্বল রাখে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের গভীরে পৌঁছে সান ট্যান ও দাগছোপ কমায়। সাথে ত্বককে করবে মসৃণ ও ব্রণমুক্ত। দুধ ও কেশর কালো দাগ ও পোড়া দাগ দূর করে ত্বককে করবে ময়েশ্চারাইজড এবং চকচকে ফর্সা।
পাকা পেঁপে – ২ ভাগ
লেবুর রস – ১ ভাগ
পাকা পেঁপে ভালো করে চটকে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপরে প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ধুয়ে ফেলুন।
গোলাপজল – কয়েক ফোঁটা
পেঁপে একদম মিহি করে চটকে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। তারপর যোগ করুন চন্দন গুঁড়া ও গোলাপজল। চন্দন ও গোলাপজলের পরিবর্তে ৮-১০ টি পুদিনা পাতা থেঁতলে মিশিয়ে নিতে পারেন। প্যাক বানানো হয়ে গেলে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
ত্বককে জেল্লাদার করতে পেঁপের জুড়ি নেই। এতে আছে পেপেইন নামক একটি উপাদান, যা পোরের ভিতরে ঢুকে স্কিনকে এক্সফোলিয়েট ও পরিষ্কার করে। সাথে যদি যোগ হয় প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট লেবু, তাহলে ত্বক উজ্জ্বল হবে আর পাবেন ইনস্ট্যান্ট গ্লো।
কলা চটকে মধু ও টকদই মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে ধুয়ে ফেলুন।
কলাতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, কালো দাগ দূর করে, বলিরেখা কমায়, এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে। মধু ব্রণ দূর করে, ব্ল্যাকহেডস নির্মূল করে, রোদে পোড়া ভাব কমায়, ত্বককে নরম রাখে। টকদই দাগছোপ কমিয়ে ত্বককে ফর্সা করে৷
ওটমিল ও চন্দন গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিন। সঠিকভাবে প্যাক বানানোর জন্য ওটমিল আগে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। তারপর গোলাপজল দিয়ে আরেকটু মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে সমান করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপরে নিচ থেকে উপরের দিকে আলতো করে ঘষে ঘষে প্যাকটা তুলে ফেলুন। সবশেষে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিবেন।
সমপরিমাণ গোলাপজল ও চন্দন গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে মুখে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
চন্দন ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে দেয় এবং ত্বকে আনে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত লুক। তাই যুগ যুগ ধরে চন্দন ব্রাইডাল স্কিন কেয়ারের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চন্দনের মতো ওটমিলও প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ ও পলিউশন সরাতে সাহায্য করে৷ চন্দন-গোলাপজলের ফেস পলিশ প্যাকটি ত্বক উজ্জ্বল করার সাথে সাথে ত্বকে গোলাপি আভা এনে দিবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…