সামনেই পরীক্ষা, অথচ এখনই পড়ায় মন বসছে না? পরীক্ষার সময়ই যেন বেশী করে মন অন্যদিকে চলে যায়! পড়তে বসলেই মাথায় যত অন্য চিন্তা, আর ঘুম যেন তখন ছাড়তেই চায় না! উফ, কি জ্বালা রে বাবা! কি, আপনিও নিশ্চয়ই এই সমস্যায় পড়েন। আরে আপনি একা নন, এই সমস্যা হয় অনেকেরই। কিন্তু সামনে তো পরীক্ষা, পড়ায় মন তো দিতেই হবে। তাই আজ বলছি কিছু উপায় কীভাবে করবেন নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ। জেনে নিন।
পড়ার আগে মনকে তৈরি করা দরকার। পড়ার একটু আগে, কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কোন চ্যাপটার কতক্ষণ পড়বেন সব ঠিক করে নিন। পড়ার সব জিনিস নিজের হাতের কাছে এনে রাখুন। যাতে বার বার উঠতে না হয়। উঠতে হলে এতেই মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। জল ও প্রয়োজনে কিছু হালকা খাবারও এনে রাখুন। খিদে পেলে খেয়ে নেবেন। জলও খাবেন। কারণ পড়তে পড়তে গলা শুকিয়ে যায়। আর আপনি বার বার জল খেতে ওঠেন।
➡ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাঁচটি সরকারী পরীক্ষা ও তার প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন জানুন
পড়ার পাঁচ মিনিট আগে ফোন বন্ধ রাখুন। কারণ ফোন থেকে ভীষণভাবে মনঃসংযোগ নষ্ট হয়। তাই ফোন বন্ধ করে দিন। কিন্তু যদি একান্তই দরকার থাকে, তাহলে ফোন অন্য ঘরে রেখে আসুন। মোট কথা যে ঘরে পড়তে বসবেন, সেই ঘরে যেন ফোন না থাকে। আরে ভুরু কুঁচকোতে হবে না, ফোনের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলছি না। শুধু পড়ার সময়টুকু ফোনকে ভুলে থাকতে হবে।
ভালো রেজাল্ট করতে, শুধু পাঠ্য পুস্তকে আটকে থাকলে হবে না। চারিদিকে কোথায় কী ঘটছে সেটা নজরে রাখুন। এছাড়াও পড়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম মাঝে মাঝে ব্যবহার করুন। এখন ইন্টারনেট পড়াশোনা শেখার খুব ভালো মাধ্যম। ইন্টারনেটকে কাজে লাগান। সেখানে অনেক নতুন নতুন পয়েন্ট পাবেন। ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন যা বিষয় তার ওপর। এতে বেশী মনে থাকবে।কারন ব্রেন অডিও ভিজুয়াল মাধ্যমকে বেশী মনে রাখতে পারে। আর সহজে বুঝে নিতে পারে। আর শুধু পাঠ্য পুস্তক থেকে কখনোই শিক্ষা নেওয়া যায় না। সমাজ ও জীবন থেকেও শিক্ষা নিতে হয়।
যে বিষয়টা পড়ছেন সেটা আগে বুঝে নেওয়া খুব দরকার। আগে একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে বুঝে নিন যেটা পরছেন সেটার মূলকথা কী। আসলে কি বোঝাতে চেয়েছে। আসলে এখান থেকে কী পড়তে হবে। কী জেনে রাখতে হবে। মূল বিষয়টা মাথায় ঢুকে গেলেই পড়া মনে থাকবে। আর পড়াতে মনও বসবে। আর বিষয়টা না বুঝে শুধু আগে মুখস্ত করতে আরম্ভ করে দিলে, কিন্তু মন একদমই বসবে না। কিছু মাথায়ও ঢুকবে না। ফলে খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যাবেন। তাই আগে বুঝে নিন ভালো করে।
যে বিষয়গুলো আপনি পড়ছেন, সেগুলো যদি অন্য কাউকে পড়াতে পারেন তাহলে খুব ভালো। এটা খুব ভালো একটা উপায় পড়ায় মন বসানোর। অন্য কাউকে পড়াতে পড়াতে দেখবেন, নিজেরও কেমন রিভিশন হয়ে যাচ্ছে। আর পড়া গুলো কেমন মনে থাকছে।
পড়ায় মন বসানোর জন্য আগে একটা সঠিক জায়গা বেছে নেওয়া খুবই দরকার। নিশ্চয়ই এমন কোন জায়গায় পড়তে বসবেন না, যেখানে খুব কোলাহল, বা গান বাজছে। একটা শান্ত নিরিবিলি জায়গা ছাড়া কিন্তু পড়ায় মন বসানো যায় না। তাই আগে জায়গাটা ঠিক করে নিন। কোথায় পড়তে বসলে ভালো ভাবে পড়তে পারবেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পড়ায় মন বসানোর জন্য, একটা টাইম টেবিল তো অবশ্যই দরকার। কোনদিন কোন বিষয়টা পড়বেন। ক’টা চ্যাপটার পড়বেন। মাঝে কতক্ষণ ব্রেক। সকাল থেকে রাত অবধি একটা রুটিন করে নিন। পরীক্ষার আগের ক’দিন এই রুটিন অনুযায়ী পড়ুন। অবশ্যই মাঝে ব্রেক নেবেন। ব্রেকে আপনার ইচ্ছামত কাজ করুন। তাহলে মন ভালো থাকবে। আর মন ভালো থাকলে তবেই পড়ায় মন বসবে। আর মাঝে ভালো করে খাওয়াদাওয়া করুন। এবং অবশ্যই রেস্ট। ভালো করে না ঘুমলে কিন্তু পড়ার সময় ঘুম পাবেই।
তাহলে এবার থেকে পড়ার আগে এই সব পয়েন্টগুলো মাথায় রাখুন। আর আনন্দের সাথে পড়ুন। তাহলেই মন বসবে। যখন পড়তে ইচ্ছা করবে না, তখন জোর করে পড়ার দরকার নেই। এতে একটুও মন বসবে না। তাই মনকে আনন্দিত রাখা খুব দরকার। তাহলে এগুলো মাথায় রাখো আর পড়তে থাক। মন বসবেই। আর হ্যাঁ পরীক্ষার জন্য বেস্ট অফ লাক।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…