কাঁচা পেঁয়াজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাই আছে। সে আপনারা অনেকেই জানেন। কিন্তু কথায় বলে না কোন জিনিসই খুব বেশী ভালো না। এক্ষেত্রেও তাই কারণ, এই উপকারিতার পাশাপাশি কিছু কিছু অপকারিতাও আছে পেঁয়াজের। সেই জন্যই প্রেগন্যান্ট অবস্থায়, অনেকসময় কাঁচা পেঁয়াজ খেতে বারণ করা হয়। কিন্তু কেন বারণ করা হয়? প্রেগন্যান্ট অবস্থায় কী কী সমস্যা হতে পারে কাঁচা পেঁয়াজ থেকে। দেখুন।
অনেকেরই কাঁচা পেঁয়াজে অ্যালার্জি থাকে। পেঁয়াজ খাওয়ার পর স্কিনে অ্যালার্জি দেখা যায়। চুলকোয়, লাল হয়ে যায়, চোখও লাল হয়ে যায়, চুলকোয় বা ফুলে যায়। যেটা আপনার বেবির জন্যও ভালো নয়। আপনার বেবিরও ক্ষতি হতেই পারে। আবার অনেকসময় আপনার হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু আপনার বেবির সমস্যা হতেই পারে কাঁচা পেঁয়াজ থেকে। তাই এইসময়টা কাঁচা পেঁয়াজ থেকে একটু দূরে থাকাই ভালো। তাই যদি আপনার পেঁয়াজে অ্যালার্জি থাকে তাহলে, এইসময় পেঁয়াজ না খাওয়াই শ্রেয়। তবে এই অ্যালার্জি হয় ব্যক্তি বিশেষে। সবার এটা হয় না।
ব্লাড প্রেশার অনেকটা কমিয়ে দেয় কাঁচা পেঁয়াজ। তাই প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যদি ব্লাড প্রেশার কম থাকে তাহলে কাঁচা পেঁয়াজ একদম নয়। এতে তৎক্ষণাৎ ব্লাড প্রেশার অনেকটা কমে যাবে। অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভবনা প্রবল। প্রেশার স্বাভাবিক থাকলেও কাঁচা পেঁয়াজ খুব বেশী খাওয়া উচিত নয় এই অবস্থায়। এতে ব্লাড প্রেশার লেভেল স্বাভাবিক থেকে কমে যেতে পারে।
➡ ব্লাড প্রেশার কমবে যে সবজি খেলে।
খুব বেশী পেঁয়াজ খেলে সেটা হজম নাই হতে পারে এইসময়। কারণ পেঁয়াজ খুব বেশী সহজ পাচ্য নয়। এবং পেঁয়াজে থাকা ফ্রুকটোজ এর কারণ। আর ফ্রুকটোজ একদমই সহজ পাচ্য নয়। তাই বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা হতেই পারে পেঁয়াজ থেকে। তাই এইসময় কাঁচা পেঁয়াজ খেতে বারণ করা হয়। আর যদি হজম সংক্রান্ত সমস্যা আগে থেকেই থাকে, তাহলে তো একদমই কাঁচা পেঁয়াজ বেশী খাওয়া চলবে না। এতে গলা জ্বালা বিশেষতঃ বুক জ্বালা হয়। এছাড়াও গ্যাস থেকে বুকে ব্যথাও হতে পারে। তাই এইসময় কাঁচা পেঁয়াজ যত কম খাওয়া যায় ততই শ্রেয়।
পেঁয়াজে অনেক পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যাকে বলে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। পটাশিয়াম অবশ্যই দরকার শরীর ভালো রাখতে। কিন্তু কোনো কিছুই পরিমাণের অতিরিক্ত হয়ে গেলে ভালো না। এক্ষেত্রেও তাই। এই খুব বেশী পটাশিয়াম শরীরের ব্লাড প্রেশার লেভেল অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। আর এই অবস্থায় ব্লাড প্রেশার কমে গেলে সেটা তো অবশ্যই খারাপ আপনি এবং আপনার বাচ্ছা দু’জনের জন্যই।
প্রেগন্যান্ট অবস্থায় অনেকসময়ই কোনোরকম উগ্র গন্ধ অনেকেরই সহ্য হয় না। কাঁচা পেঁয়াজ-রসুনের উগ্র গন্ধ এমনিতেই তেমন সহ্য হয় না। এ থেকে বমিও হতে পারে। এছাড়াও পেঁয়াজে আছে প্রচুর ডায়েটারি ফাইবার। ফাইবার অবশ্যই ভালো। কিন্তু খুব বেশী ফাইবার একদমই ভালো না। খুব বেশী ফাইবার হজম করা একটু কঠিন। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এসব সমস্যা হতে পারে।
তাহলে এবার বুঝতে পারছেন তো কেন কাঁচা পেঁয়াজ খেতে বারণ করা হয়। তবে একদম বন্ধ করতে বলছি না। যদি একান্তই খেতে ইচ্ছা হয় তাহলে একদম অল্প পরিমাণে খাবেন। একদম অল্প পরিমাণে তেমন কোনো ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…