কি আজ আবার ঝগড়া হয়েছে! কথা বলে মনে হয়েছে মুড অফ! তাই আপনিও মুড অফ করে বসে আছেন? জানার চেষ্টা করেছেন কেন মুড অফ?
মাসের ওই কটা দিন তো মুড অফ থাকাই স্বাভাবিক। বুঝে পারছেন না তো কি করে সামলাবেন? ঘাবড়াবেন না। বেশীরভাগ মেয়েদের ক্ষেত্রেই পিরিয়ডের সময় হলেই পেট ব্যথা, মুড অফ, চুপচাপ বসে থাকা, অল্পেই মেজাজ হারানো—এসব নিত্য নৈমিত্তিক অভ্যেসের মতোই গা-সওয়া একটা ব্যাপার। আজকের এই লেখা মূলত আমাদের পুরুষ পাঠকদের জন্য, সঙ্গিনীর পিরিয়ড হলে যারা বুঝতে পারেন না কি করা উচিত, বা কেনই বা মেয়েদের এই সময় ঘন ঘন মুড অফ হয়। আসুন আজ জেনে পিরিয়ডের সময় একজন মেয়েকে কীভাবে সামলাবেন, কীভাবে তার খেয়াল রাখবেন, তার মুডকে ‘অন’ রাখবেন
পিরিয়ড হলে আসলে মেয়েদের শরীরে হরমোনের নানারকম পরিবর্তন হয়। মেয়েদের শরীরে একটা গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হল ইস্ট্রোজেন।
ইস্ট্রোজেন আমাদের মুডকে ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। পিরিয়ড শুরু হলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নেমে যায়। ফলে তখন মুড ঘন ঘন অফ হয়। মেজাজ ঠিক থাকে না। এছাড়া পেটে ব্যথা তো একটা সাধারণ সমস্যা। এসময় কোনো কাজও করতে ইচ্ছে করে না। অল্পেতেই মাথা গরম হয়ে যায়। রেগে গিয়ে আপনার পার্টনার, হতে পারে তিনি আপনার স্ত্রী বা খুব কাছের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী–হয়ত আপনাকে এমন কিছু কথাও শুনিয়ে দিলেন যা আপনার প্রাপ্য নয়। এছাড়া এসময় হরমোনের ওঠানামার কারণে মস্তিষ্কে সেরাটোনিনের মাত্রাও কমে যায় যার ফলে ডিপ্রেশন, মন খারাপ ও ইমোশনাল নানারকম সমস্যা হতে পারে। এতে অসহিষ্ণু হবেন না। বরং মেয়েটির প্রতি সহানুভূতিশীল হন। বোঝার চেষ্টা করুন যে সে কেন এরকম আচরণ করছে বা কোথায় তার কষ্ট হচ্ছে।
পিরিয়ডের সময় আপনার সঙ্গিনী হয়ত আপনাকে রেগে গিয়ে কোনো কথা বললেন। তাহলে আপনি পালটা রেগে যাবেন না। বরং তাকে সামলান। তাকে বুঝুন। সম্ভব যদি হয় তাহলে তার পিরিয়ডের দিন মনে রাখুন। ওই কটা দিন তার কাছে কাছে থাকুন। কাজের চাপের মাঝে তাকে যতটা সম্ভব সঙ্গ দিন। আপনি যদি অফিস যান, তাহলে সেখান থেকে কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে ফোন করে খবর নিন। তবে বারবার জিজ্ঞেস করবেন না পেট ব্যথা হচ্ছে কিনা। কারণ পেট ব্যথা এইসময়ের একটা কমন সমস্যা। বারবার তাই এটা জিজ্ঞেস করলে মেয়েদের ইরিটেশন আরও বেড়ে যায়। বরং ওই নিয়ে কথাই বলবেন না। অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলুন। আপনার সঙ্গিনীকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। এসময় মেয়েদের খেতে ইচ্ছেই করে না। তাই আপনি চেষ্টা করুন তার পছন্দের খাবার এনে তাকে খাওয়াতে।
আপনার বান্ধবীর বা সঙ্গিনীর প্রিয় স্ন্যাক্স বা অন্য কোনো খাবার তার হাতের কাছে মজুত রাখুন, যাতে তিনি সেটা চাইলেই পান। চকোলেট আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে দেয়, ঘুমে সাহায্য করে। আর চকোলেট খেতে তো সব মেয়েই ভালবাসে। তাই তার পছন্দের চকোলেট এনে রাখুন। শরীরের খেয়াল রাখুন। তবেই তো আপনি আরও বেশী করে ‘কেয়ারিং’ আর ‘লাভিং’ হয়ে উঠবেন! তবে এসময় অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো। পিরিয়ডের এই বাজে দিনগুলোয় আপনার সঙ্গিনী আপনার সঙ্গ পেতে চাইবেনই। তাই তাকে নিয়ে তার পছন্দের কোনো সিনেমা দেখাতে নিয়ে যান। তার প্রতি অ্যাটেনটিভ থাকুন, তিনি যা চাইছেন তা শোনার চেষ্টা করুন। আর পেট ব্যথা যদি করে তাহলে আপনার সঙ্গিনীর হাতের কাছে এগিয়ে দিন হট ওয়াটার ব্যাগ, না চাইতেই! দেখবেন তিনি হয়ত অবাকই হয়ে গেছেন। আর ভালো করে ম্যাসাজ করে দেওয়ারও কিন্তু কোনো বিকল্প হয় না।
আর এইসময় কিন্তু মেয়েদের মন মেজাজ যেহেতু ভালো থাকে না, পেট ব্যথা করে, তাই এই কটা দিন সেক্স করতেও তাদের অনীহা দেখা যায়। পিরিয়ডের সময় সেক্স করলে এমনিতে ক্ষতি কিছু না হলেও পেটে ব্যথা নিয়ে সেক্স করা সমস্যার।
তাছাড়া অতিরিক্ত রক্তপাতও হতে পারে। দেখা দিতে পারে নানারকম ইনফেকশন। তাই সঙ্গিনীকে জোর করবেন না একদম। আপনার ইচ্ছে হলেও সে যদি না বলে তাহলে মাথা ঠাণ্ডা করে তার সমস্যাটা বুঝুন। তাকে পালটা মেজাজ কিন্তু কখনও দেখাবেন না।
আর পিরিয়ড মানে তো মাসের ওই কটা দিনেরই ব্যাপার। একটু খেয়াল রাখুন। দেখবেন আপনার ‘কেয়ারনেস’ আপনার সঙ্গিনীকে চমকে দেবে!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…