যখনই আমি আমার মা-দিদিমাকে শাড়ির প্লিট করতে দেখতাম, তখনই আমি ভাবতাম এ তো খুবই সহজ, আমি বড়জোর ১০ সেকেন্ডে এটা করে ফেলতে পারব। তবে এখন যখন আমি শাড়ি পড়তে যাই তখন মনে হয় যে এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ। আপনারাও নিশ্চয় এই সমস্যর সম্মুখীন হয়েছেন। তবে আপনাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছি আমরা।
এই প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি ভিডিও রয়েছে, যা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন মাত্র কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করলে মাত্র ২ মিনিটেই নিখুঁত প্লিট বানাতে পারবেন।
এই পদ্ধতিতে শাড়ির পারফেক্ট প্লিট আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন বড় ক্লিপের সাহায্যে। শাড়ির প্লিট আমরা তৈরি করি শাড়ির শেষ অংশে অর্থাৎ শাড়ির আঁচলে। আর সেকাজ করার সময় প্লিট অনেকসময়ে নড়ে যায়, যার ফলে প্লিট অসমান হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বড় সাইজের ক্লিপ খুব ভালো কাজে দিতে পারে। এরজন্য আপনি এই ভিডিওটি চালিয়ে দেখুন- বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
এখন আপনারা নিশ্চয় মনে করছেন যে, শাড়ির প্লিট তৈরি করার ক্ষেত্রে ইস্ত্রির আবার কেন প্রয়োজন? কিন্তু জানেন কি, ইস্ত্রির সাহায্যে আপনি আপনার সিল্কের শাড়িতেও সুন্দর প্লিট বানাতে পারেন। এর জন্যসবার প্রথমে আপনি পেটিকোট এবং হিল জুতো পরে নিন, যাতে শাড়ির লেন্থটা বুঝতে সুবিধা হয়। এরপর আপনি আপনার শাড়ি পরতে শুরু করুন।
এক রাউন্ড শাড়ি কভার করার পর, আপনার আঁচলের প্লিট হাতের সাহায্যে বানিয়ে নিন। তবে এক্ষেত্রে কোনও ছিদ্র করার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি আপনাকে পরে আরও একবার করতে হতে পারে। এটি কেবল আপনার আঁচলে দৈর্ঘ্যকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য।
আঁচলের প্লিট তৈরি করে নেওয়ার পর শাড়িটি পিছনের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিন এবং আপনার সুবিধা মতো দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করে নিন। এরপর আপনার আঁচলের প্লিটস যেখানে শেষ হচ্ছে সেখানে একটি সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। এবার শাড়ির যেখান থেকে আপনি আপনার প্লিট বানাতে চান, সেখানে একটি সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। এরপর শাড়ির বাকি অংশ একসঙ্গে করে নিয়ে শেষে আরও একটি পিন লাগিয়ে নিন। এরপর শাড়িটি খুলে নিয়ে শাড়ির আঁচলের অংশটি একটি বড় টেবিলের ওপর বিছিয়ে দিন। এরপর আঁচলের প্লিট বানান এবং সুবিধামতো প্রশস্ত রেখে এবার সেফটিপিনের চিহ্ন ধরে আঁচল ইস্ত্রি করে নিন। এইভাবে আপনি আপনার শাড়িটি আগে থেকেউ প্রস্তুত রাখতে পারেন, যাতে শাড়ি পরার সময় আপনার অসুবিধা না হয়।
এবার এই ভিডিওটি ক্লিক করুন এবং দেখে নিন ধাপে ধাপে পদ্ধতিগুলি।
এই পদ্ধতিতে আপনি সুতির শাড়িতেও খুব সহজেই প্লিট বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য প্রথমে শাড়ি পরা শুরু করুন। প্রথম প্যাঁচটি দেওয়ার পর আঁচলের প্লিট ফেলা শুরু করুন। প্রাথমিকভাবে এই প্লিট তৈরি করা হয়ে গেলেই একটি সেফটি পিন দিয়ে তা আটকে রাখুন। এরপর কিছুক্ষণের জন্য আঁচলটি আপনার কাঁধে আটকে আঁচলটি কতটা দীর্ঘ রাখবেন মেপে নিন।
এরপর আঁচলের ভেতরের অংশটি টেনে নিয়ে বাইরের দিকে নিয়ে আসুন এবং ডান দিকটি একটি সেফটিপিন দিয়ে মার্ক করে নিন। এরপর মাঝখানের অংশ অর্থাৎ কুচির অংশেও প্লিট বানিয়ে নিন। মোটামোটি আধ সেন্টিমিটার মতো চওড়া রেখে প্লিট তৈরি করুন এবং পিন করে নিন। এবার আপনার শাড়িটি খুলে ফেলুন এবং একটি ঝুলিয়ে রাখা হ্যাঙারে একটি ক্লিপের সাহায্যে আটকে নিন। এবার হ্যাঙারে আটকানো অবস্থায় আপনি আপনার প্লিটগুলিকে ভালো করে অ্যারেঞ্জ করে নিতে পারেন। এপার প্লিট ঠিক করে নেওয়ার পর মাঝখানে একটি পিন লাগান এবং নীচের দিকটি ঠিক করে নেওয়ার পর সেখানেও একটি সেফটিপিন লাগিয়ে নিতে পারেন।
বোঝার সুবিধার জন্য দেখে নিতে পারেন এই ভিডিওটি।
অনুবাদিকাঃ ইন্দ্রাণী মুখার্জ্জী
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…