ঘরে করুন পেডিকিওর। খুব সহজ এটা করা। শুধু স্টেপ বাই স্টেপ মেনে এটা করতে হবে। একবার করলে আপনার পা হয়ে উঠবে সুন্দর, নরম।
পেডিকিওর শুরু করার প্রথম ধাপে নখের নেইলপলিশ তুলে ফেলুন। রিমুভার ব্যবহার করে ভালোমতো নেইলপলিশ পরিষ্কার করে নিন যাতে এক কণা আস্তরও লেগে না থাকে। নেইলপলিশ না থাকলেও পানিতে তুলা ভিজিয়ে নখ মুছে নিতে পারেন। তারপরে সাবধানে নখের তলার ময়লা পরিষ্কার করে নিন।
নেইলপলিশ তোলার পরে আগে পা ভিজিয়ে নিন। গামলায় কুসুম গরম পানি ঢেলে মাইল্ড শ্যাম্পু ও লবণ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। চাইলে লবণের পরিবর্তে বাথ সল্ট ব্যবহার করতে পারেন। মিশ্রণে পা ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে ভেজানোর ফলে পায়ের ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর হবে এবং নখ নরম হয়ে যাবে, তখন পছন্দমতো শেইপে নখ কাটতে সুবিধা পাবেন। একেবারে গোল করে পুরো নখ না কেটে চৌকো বা ওভাল শেপে অল্প নখ রেখে কেটে ফেলুন। তারপর শার্পেনার দিয়ে ঘষে সেট করে নিন।
নখ কাটার পরে গামলার মিশ্রণে আবারও পা জোড়া ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এতে পায়ের ডেড স্কিন সেলস নরম হয়ে যায় এবং তা সহজে পরিষ্কার করা যায়। পায়ের উপরিভাগ পরিষ্কার করতে লুফা ভিজিয়ে ফুট ক্লিনজার মাখিয়ে নিন। ভালোমতো ফেনা তৈরি হয়ে গেলে পায়ের পাতা থেকে গোড়ালি পর্যন্ত লুফা দিয়ে ঘষে নিন। লুফা ব্যবহার করতে না চাইলে ব্রাশে শ্যাম্পু লাগিয়েও পায়ের উপরের অংশ ঘষে নিতে পারেন।
এবার পায়ের তলার অংশ ঝামাপাথর দিয়ে ঘষে নিন। ভালো করে ঘষলে তলার অংশের ময়লা ও মরা চামড়া দূর হয়ে পায়ের তলা নরম ও কোমল হয়ে যাবে। এরপর গামলার মিশ্রণে আবার পা ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। তারপর স্বাভাবিক পানিতে পা ধুয়ে আলতো করে পা মুছে নিন।
মেনিকিওরে ঠিক যেভাবে কিউটিকলের যত্ন নিয়েছেন, ঠিক সেভাবে পেডিকিওরেও কিউটিকলের পরিচর্যা করবেন। কিউটিকল রিমুভার লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর পুশার দিয়ে পুশ করবেন, প্রয়োজনে ট্রিমার দিয়ে সাবধানে কিউটিকল কেটে ফেলবেন।
কিউটিকলের কাজ শেষ হলে এক টুকরা পাতিলেবু কেটে তাতে বেকিং সোডা লাগিয়ে নিন। এবার লেবুর টুকরাটা দিয়ে পায়ের নখ ও চামড়া ভালো করে ঘষে ৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
এবারে পায়ে স্ক্রাবিং করে নিন। বাজারের ফুট স্ক্রাবার ব্যবহার করতে না চাইলে ঘরে টকদই, চালের গুঁড়া, এবং কোকো পাউডার একসাথে মিশিয়ে স্ক্রাবার বানিয়ে নিন। পায়ের পাতার উপরের অংশ থেকে শুরু করে হাঁটুর আগ পর্যন্ত স্ক্রাব করুন ১০ মিনিট যাবৎ। স্ক্রাবিংয়ের কারণে পায়ের ডেড স্কিন সেলস খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হয়। এই স্টেপটি এড়িয়ে গেলে মৃত কোষ জমে পায়ে ফুট ক্যালাস পর্যন্ত হতে পারে।
স্ক্রাবিংয়ের পরে পা ধুয়ে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার বা ফুট লোশন ব্যবহার করুন।
হাতে-পায়ে চর্মরোগ বা র্যাশ থাকলে মেনিকিওর-পেডিকিওর না করাই ভালো। এছাড়া হাতে বা পায়ে আগে থেকে কড়া পড়ে থাকলে কড়া সারিয়ে তারপর মেনিকিওর-পেডিকিওর করবেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…