বিভিন্ন ধরনের গয়না পড়া নারীদের একটি ঐতিহ্য। আর মা ঠাকুমার আমল থেকে এই ঐতিহ্য ভালোবাসায় পরিনত হয়েছে। কোন উৎসব অনুষ্ঠান হোক বা বিয়েতে মেয়েকে গয়নায় ভরিয়ে দেওয়া, যেকোনো কিছুতেই গয়না চাই চাই। কারণ এই গয়না হল নারীর পরিচয়। এরকমই একটি গয়না হল নূপুর। যেটি বাঙালি মেয়েদের মধ্যে পড়ার প্রচলন বেশি। তবে এখন দু পায়ে নূপুর পড়ার থেকে এক পায়ে নূপুর পড়ার ফ্যাশন এসেছে। তবে বাঙালি মেয়েরা বেশিরভাগই রুপোর নূপুর ব্যবহার করে। সোনার নূপুর প্রায় ব্যবহার করেন না বললেই চলে। কিন্তু কখনও ভেবেছেন কেন পায়ে সোনার নূপুর ব্যবহার করা হয় না? তার কি কোন বিশেষ কারণ আছে? আসুন জেনে নি।
পায়ে সোনার নূপুর না পড়ার পিছনে কিছু ধার্মিক আর কিছু বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। ভারত হল বিভিন্ন ধার্মিক মানুষের মিলন ক্ষেত্র। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করেন এখানে। যেখানে তারা ধর্মকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেন। হিন্দু ধর্মে বেশিরভাগ মানুষই বিশেষত মা ঠাকুমারা ধর্মকে অত্যন্ত মেনে চলেন। তাই মনে করা হয় যে, সোনা অত্যন্ত আকাঙ্খিত একটি বস্তু। হিন্দু ধর্মে এই সোনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সোনা ভবিষ্যতের সম্পদ হিসাবেও প্রতিটি হিন্দু ঘরে গচ্ছিত থাকে। তাই এত মূল্যবান ও দামি বস্তু সেটি পায়ে ঠিক শোভা পায় না।
এছাড়াও সোনা ভগবানকে পরানো হয়। সোনা হল লক্ষ্মীর প্রতীক। লক্ষ্মী রুপে তাকে পূজা করা হয়। তাই এর একটি একটি আলাদা ধার্মিক মাহাত্ম্য আছে। তাই একে পায়ে পড়া ঠিক নয় বলে অনেকেই মনে করেন। তাই বেশিরভাগ সময়ে রুপোর নূপুরই পড়তে দেখা যায় বাঙালি মেয়েদের।
এই ধার্মিক কারণগুলি ছাড়াও কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে যেমন, সোনা একটু গরম ধাতু। সোনার গয়নাও একটু গরম হয়। যেটি পায়ে তাপ উৎপন্ন করে। যার ফলে শরীর গরম হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। তাই সোনার গয়না পায়ে পড়তে বারন করা হয়।
রুপোর নূপুর পড়ার কিছু কারণ যেমন, যদি কোমর ব্যাথা, হাঁটু ব্যাথা এসব সমস্যায় ভোগেন তাহলে রুপোর নূপুর এই সব বাথা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে সাহায্য করে। রুপোর নূপুরে এমন কিছু উপাদান থাকে যা এই ধরনের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।
যদি পায়ের পাতা, গোড়ালি খুব ফোলা ধরনের হয়। তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে রুপো। এই গয়নাটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। তার ফলে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও রুপোর নূপুর শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। এবং বিভিন্ন গায়নোলোজিক্যাল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। যেমন অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা, হরমনের অসামঞ্জস্যতা জনিত নানান সমস্যা। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে রুপো।
এই সকল কারনের জন্যই সোনার বদলে রুপোর নূপুর ব্যবহার করা হয়। রুপোর নূপুর দেখতেও ভালো লাগে আবার নানারকম উপকারও পাওয়া যায়। তাই বেশিরভাগ সময় রুপোর নূপুর ব্যবহার করা হয়।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…