পছন্দের স্ট্রিট ফুডের তালিকায় পাও ভাজি নেই! এটা হতেই পারে না। কিন্তু মন চাইলেও সবসময় কি আর খাওয়া যায়? হাজার হোক শরীরের দিকে নজর তো দিতেই হবে তাই না? কিন্তু তাই বলে খাবারের সাথে কম্প্রোমাইজ? তা কি চলে। চিন্তা কি বাড়িতেই তৈরি করে নিন পশ্চিম ভারতের এই বিখ্যাত সুস্বাদু রান্না। কি ভাবছেন, পাওভাজি তাও আবার বাড়িতে? সে আবার অনেক ঝামেলা। একদমই না। খুব সহজেই হয়ে যাবে এই জিভে জল আনা পদ। দেখুন।
পাও বা রুটি ৩ থেকে ৪টি, আলু ৫০০ গ্রাম, কড়াইশুঁটি এক কাপ মত সেদ্ধ, টম্যাটো বড় একটা, ধনেপাতা এককাপ, কাঁচা লঙ্কা ২টো, পেঁয়াজ বড় একটা, লেবুর রস ২চামচ, বাটার বা তেল ৩ থেকে ৪ চামচ, ক্যাপসিকাম কুঁচি একটা, নুন স্বাদ মত, চাইলে গাজর ও ফুলকপি কুঁচিও এককাপ করে দিতে পারেন।
পাও ভাজি মশলা এমনিতে যেকোনো বড় দোকানে পেয়ে যাবেন। না পেলে বানিয়ে নিন। সেক্ষেত্রে আদা ও রসুন বাটা ২চামচ করে, দারচিনি একটা, লবঙ্গ ৪ থেকে ৫টা, এলাচ একটা, তেচপাতা একটা, ধনে ও জিরে গুড়ো ২চামচ, গোলমরিচ গুড়ো ১চামচ, হলুদ ও লঙ্কা গুড়ো ১চামচ, মৌরি ১চামচ, নুন স্বাদ মত ও বিটনুন ১চামচ ।
প্রথমে আলু ও সবজি সেদ্ধ করে নিন। আলু ম্যাস করে নিন। অন্যান্য সবজিও হালকা ম্যাস করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে পাও ভাজি মশলার সমস্ত উপকরণ গুলো ব্লেণ্ড করে নিন। তারপর কড়ায় মাখন বা তেল দিন। এতে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। পেঁয়াজ বাদামি হলে, পাও ভাজি মশলাটা দিয়ে দিন। কষতে থাকুন। মশলা একটু কষিয়ে নিয়ে, এতে টম্যাটো ও ক্যাপসিকাপ কুঁচি দিন। নাড়তে থাকুন। তারপর ম্যাস করা সবজি ও আলুটা দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। আঁচ কম করে নাড়তে থাকুন। যেন তলায় ধরে না যায়। সবজিটা ঘন বা মাখো মাখো হয়ে গেলে, ওপরে লেবুর রস ও ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন। ব্যাস ভাজি রেডি।
দোকানে গোল গোল পাও বা বান রুটি পেয়ে যাবেন। এগুলো এবার একটু রেডি করতে হবে। কড়ায় একটু মাখন দিন। এবার পাও গুলো মাখনে একদম হালকা নেড়ে নিন। ব্যাস পাও রেডি। এবার পাও মাঝখান থেকে কেটে ভেতরে ভাজি দিয়ে বার্গারের মত পরিবেশন করতে পারেন। বা আলাদাও ভাজির সাথে গরম গরম খান পাওভাজি।
ব্যাস রেডি পাও ভাজি। দেখলেন তো কত সহজে হয়ে গেল পশ্চিম ভারতের এই বিখ্যাত রান্না? ব্যাস তাহলে আজ বিকেলের জলখাবারে বাড়িতেই পাও ভাজি তৈরি করে, বাড়ির সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে আর কতক্ষণ! টেস্টও বজায় থাকলো, আবার শরীরের খেয়াল রাখাও হল।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…