পা ভালো রাখতে, পা ফাটা থেকে দূরে থাকতে অনেকতো ফুট স্পা করলেন। কিন্তু পা ফাটা তো বার বার ফিরেই আসছে তাই না? তাই এবার এমন কিছু করুন ,যা সত্যি ভেতর থেকে পা কে করে তুলবে নরম কোমল। সহজেই পা ফাটা সারিয়ে তুলবে। করাও খুব সহজ। জাস্ট এক রাতেই পা ফাটা থেকে মুক্তি। তাই এবার বাড়িতে বসেই পায়ের যত্ন নিন।
পা ভালো রাখতে শুধু ভেসলিন ব্যবহার করছেন? তার সঙ্গে যোগ করুন একটু লেবুর রস। ব্যাস সারাদিন এই পা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবেনা।
ঊপকরনঃ
৪ থেকে ৫ ফোঁটা লেবুর রস, ১চামচ ভেসলিন, ও একটু গরম জল
পদ্ধতিঃ
প্রথমে কিছুটা গরম জল নিয়ে তাতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ১চামচ মত ভেসলিন নিয়ে, তাতে ৫ ফোঁটা লেবুর রস দিন। জল থেকে পা তুলে এই মিশ্রণটা গোড়ালিতে লাগান। এবং সঙ্গে সেখানে পা এর অন্যান্য জেয়গায় যেখানে পা ফাটার সম্ভবনা রয়েছে সেখানে লাগান। এটা লাগিয়ে উলের মজা পরে সারারাত রাখুন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটা রোজই করতে পারেন পা নরম রাখার জন্য।
ত্বককে নরম কোমল রাখতে মধুর বিকল্প নেই। শুধু কোমল নয়, পায়ের পাতাকে ফর্সা করতেও সাহায্য করবে।
উপকরনঃ
হাফ কাপ মধু ও একটু গরমজল
পদ্ধতিঃ
পরিমাণ মত গরমজলে হাফ কাপ মধু ফেলে মিশিয়ে নিন। তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রেখে পা হালকা ঘষুন। তারপর পা সরিয়ে নিন। এটিও রোজ রাতে করতে পারেন। দেখবেন পা কেমন নরম কোমল থাকছে।
নারকেল তেল নিশ্চয়ই আছে বাড়িতে? তাহলে চিন্তা কি, পায়ের যত্নে ব্যবহার করুন নারকেল তেল।
উপকরনঃ
২চামচ নারকেল তেল ও পাতলা সুতির মোজা
পদ্ধতিঃ
জাস্ট নারকেল তেল হালকা হাতে পায়ে মালিশ করুন। তারপর পাতলা সুতির মোজা পরে শুয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। পায়ের অবস্থা খুব খারাপ হলে এটি টানা একসপ্তাহ করুন। নারকেল তেল পায়ের মরা কোশ সরিয়ে পাকে হাইড্রেড করে তোলে।
পা ফাটা থেকে মুক্ত থাকতে আরেকটি খুব উপকারি উপাদান হল অলিভ তেল।
উপকরনঃ
১চামচ অলিভ তেল
পদ্ধতিঃ
অলিভতেল পা ফাটার জেয়গা সহ গোটা পায়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। তারপর পায়ে পাতলা সুতির মোজা পরে নিন। এক ঘণ্টা পর পা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করুন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিশ্চয়ই রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করেছেন? এবার পা ভালো রাখার জন্যও ব্যবহার করুন।
উপকরনঃ
৩ থেকে ৪টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
পদ্ধতিঃ
ক্যাপসুল ফাটিয়ে তেলটা বের করে, সেটি পায়ে মাখুন। পায়ের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় হালকা ম্যাসাজ করুন ২মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দুদিন করুন। পা ভালো থাকবে।
গ্লিসারিন আমরা জানি স্কিনকে নরম কোমল রাখে। আর গোলাপজলে আছে ভিটামিন এ,বি-৩,ডি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পায়ের ত্বকে পুষ্টি যোগায়। এবং পায়ের ত্বককে হেলদি ও গ্লোয়িং করে তোলে।
উপকরনঃ
২চামচ গোলাপজল ও ২চামচ গ্লিসারিন।
পদ্ধতিঃ
জাস্ট রাতে শুতে যাবার আগে, এই দুটো উপকরনের মিশ্রণ তৈরি করুন। হালকা হাতে একটু ম্যাসাজ করে নিন। তারপর শুয়ে পড়ুন। সকালে স্নানের সঙ্গেই পা ধুয়ে যাবে। সপ্তাহে তিনদিন করুন।
ছুটির দিনে ব্যবহার করুন কলা ও অ্যাভোকাডো ফুট মাস্ক। অ্যাভোকাডো আছে বিভিন্ন রকমের এসেনসিয়াল অয়েল আর কলায় আছে ভিটামিনস। এই দুটো উপকরনই পা কে সুন্দর কোমল রাখতে সাহায্য করবে।
উপকরনঃ
১টা কলা, ১টা অ্যাভোকাডো
পদ্ধতিঃ
দুটো জিনিস ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানান। ঘন পেস্ট হলে সেটি পায়ে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০মিনিট। তারপর হালকা গরমজলে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন পা কেমন সুন্দর থাকবে।
তাহলে এখন পা ফাটা নিয়ে নো চিন্তা! অফিস থেকে ফিরে রাতে এক একদিন এক একটা উপকরন ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝে একদিন ফাঁক দেবেন। আর ছুটির দিনে করুন ফুট মাস্কটি। ব্যাস সারাবছরই পা থাকবে সুন্দর।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…