ওজন কমাতে রাতে ডাল!শুনে নিশ্চয়ই আপনারা অবাক হচ্ছেন? আজ্ঞে হ্যাঁ,চটজলদি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে তো কত কিছুই অদল-বদল করলেন। সাত সকালে উঠে নিশ্চয়ই ব্যায়ামও করেন, ওজন কমবে ভেবে?
উঁহু, ওসব কষ্ট করে ব্যায়াম আর কঠিন ডায়েটের কথা এবার ভুলে যান। ওজন কমানোর সবথেকে সোজা উপায় আজ আপনার হাতের কাছে নিয়ে এসেছি আমরা। কী সেটা জানতে চান তো? তাহলে তো আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের পড়তেই হবে।
চমকাবেন না।ঠিকই শুনেছেন। রাত্তিরে ভাত খেয়ে যে লোকে মোটা হয়, এ নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়। আর রাতে ডাল খেয়ে মানুষ কিন্তু রোগাও হতে পারে। আর আমাদের যা ডায়েট, তাতে বুঝতেই পারছেন,রাতে কষ্ট করে ভাতকে তো আপনি বাদ দিতে পারেন। কিন্তু ডালকে বাদ দেওয়া সম্ভবই নয়। তাই ওটা আপনার ডায়েটে রোজই মাস্ট। আর রোজ রাতে ডাল খাওয়া মানেই কিন্তু ওজন কমার পথ পরিষ্কার। তাই দেখুন, রাতে আপনার ডায়েটে অটোম্যাটিক চয়েস হয়ে ডাল কিন্তু আপনার উপকারেই লাগে।
ওজন যদি কমাতে চান, তাহলে একটু অন্যান্য ডাল নাহয় বাদই দিন। কয়েকদিন আপনার রাতের মেনুতে অন্যান্য খাবারের সাথে রাখুন মুগের ডাল। একঘেয়ে লাগলেও একটু কষ্ট করে খান। একমাসে দেখবেন ভুঁড়ি কমছে।
এবার নিশ্চয়ই জানতে চান যে মুগের ডাল কেন খাবেন? আসলে মুগের ডালে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,বি,সি,ই আর ক্যালসিয়াম,আয়রন, পটাশিয়ামের মতো নানা মিনারেলস থাকে। তাই ফ্যাটি খাবার খাওয়ার অভ্যেস যদি থাকে, তাহলে সেটাকে এবার মুগের ডাল দিয়ে রিপ্লেস করুন। কারণ মুগের ডালে ফ্যাট একেবারেই নেই। বরং আছে প্রচুর প্রোটিন আর ফাইবার যা আপনার মাংসপেশির গঠনে সাহায্য করে, আর চর্বি কমিয়ে ওজন কমায়। আপনার ক্যালোরি ইনটেকের পরিমাণকেও কিন্তু কমাতে পারে মুগের ডাল। ফলে ওভার অল বডি ফ্যাটও কমে যেমন হাফ কাপ রান্না করা মুগের ডালে কিন্তু আপনি ১০৬ ক্যালোরি পেয়ে যাবেন। তাছাড়া মেটাবলিজম বাড়িয়ে মুগের ডাল তাড়াতাড়ি খাবার হজমে সাহায্য করে। ফলে ফ্যাট জমতে পারে না।
রাজমা,কাবলি ছোলা অবশ্য বাঙালী হেঁশেলে একটু কমই ঢোকে। কিন্তু এগুলোও সহজে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই জাতীয় ভারী ডাল আপনার পাচনতন্ত্রে হজম হতে একটু বেশী সময় নেয়। ফলে খাওয়ার অনেকক্ষণ পরেও পেট বেশ ভারী ভারী লাগে। অন্যকিছু সাথে সাথে খেতে ইচ্ছে করে না। তাছাড়া এতে রেসিস্ট্যান্স স্টার্চ নামে একধরণের ফ্যাট বার্নিং কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি ন্যাশানাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভের করা পরীক্ষা থেকে জানা গেছে ব্ল্যাক বিনস বা এই জাতীয় ডাল যারা নিয়মিত খান, তাঁদের ওজন কম হয়, ভুঁড়িও কম হয়। তাছাড়া কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও এঁদের অনেক কম থাকে।
মুসুর ডাল কার না বাড়িতে রান্না হয় বলুন? তাই আপনার ওজন কমানোর বেস্ট অপশন হতেই পারে এটা। হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে ব্লাড সুগারের মাত্রা কমানো এবং ওজন কমানো—ইত্যাদি অনেক উপকারেই কিন্তু এই ডাল দারুণ কাজ দেয়।
ফিল্মস্টারদের মতো ফ্ল্যাট অ্যান্ড সেক্সি বেলি চান? তাহলে এবার থেকে রোজ রাতে মুসুর ডাল খান প্রাণ ভরে। কারণ মুসুর ডালে থাকা প্রোটিন আর দ্রবণীয় ফাইবার আপনার রক্তে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।আর শরীরে ইনসুলিন বেশী বেড়ে গেলে তা কিন্তু অত্যধিক ওজনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, ফলে মুসুর ডাল খেলে সেটার সম্ভাবনাও কমে।
তাই আপনার ফিগারকে যদি সেক্সি আর টোনড করতে চান, আর ভ্যাদভ্যাদে ভুঁড়ির পরিমাণ কমিয়ে যদি হয়ে উঠতে চান চিকন কোমরের অধিকারী, তাহলে রোজ রাতে এবার থেকে ডাল খান।দেখবেন এক্সট্রা মেদ ঝরে কেমন স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হয়ে উঠেছেন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…