কি, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকেই কেমন বেঢপ লাগছে তো? বাড়তি ওজন তো কমাতেই হবে। এদিকে হেঁইয়ো হেঁইয়ো করে ব্যায়াম করার কথা ভাবলেই তো গায়ে জ্বর আসছে! অথচ ওজন না কমালেই নয়! কি করবেন? স্পেশাল টিপস ফলো করুন, আর ওজন কমান ১৪ কিলো মতো। তাও আবার ব্যায়াম না করেই।
লোভে পড়ে বেশী খেয়ে নিলেন, ঠিক আছে। কিন্তু জাঙ্ক ফুড? খবরদার! বেশী খেয়ে আপনার ওজন যত না বাড়ে, জাঙ্ক ফুড খেয়ে ওজন কিন্তু তার থেকে হাজার গুণ বেশী বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
জাঙ্ক ফুড মানে যাকে সোজা ভাষায় বলি রাস্তার খাবার বা ফাস্ট ফুড, খাওয়া মানেই কিন্তু শরীরে একগাদা বাজে ক্যালোরি ঢোকা-আর আপনার মোটা হওয়ার পথ এক্কেবারে প্রশস্ত! তাই আজ থেকে জাঙ্ক ফুডকে পাকাপাকি ভাবে টাটা বলুন।
আর আপনার ডায়েট চার্টে হেলদি খাবার যোগ করুন। তেলতেলে কষা মাংস এবার অলিভ অয়েলে রাঁধুন আর সবজিগুলোকে মিক্স করে স্যুপ বানিয়ে ফেলুন। দেখবেন খেয়েও আর ওজন বাড়ছে না!
তবে খাবার সময় যেন ঠিকঠাক হয়। সকাল এগারোটায় ব্রেকফাস্ট, দুপুর তিনটেয় লাঞ্চ আর রাত বারোটায় ডিনার করলে ওজন কোনোদিনই কমবে না।
ওজন কমাবেন, অথচ ব্যায়াম করার কষ্ট করবেন না-আপনার এটুকু আবদার আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বাবুর মতো বসে থাকবেন, আর ওজন আপনিই কমে যাবে-এ তো আর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া নয়!
ওজন কমাতে গেলে একটু পরিশ্রম আপনাকে করতেই হবে। ফ্ল্যাট, অফিস, যেখানেই যান, যদি সিঁড়ি আর লিফট দু’টোই থাকে, সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সুখী শরীরকে ব্যতিব্যস্ত করলে একটু-আধটু কষ্ট হবে মানছি। কিন্তু ওটুকু কষ্ট করাই যায়।
মানছি আপনি চিনি খেতে খুব ভালবাসেন। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, আয়নায় নিজের স্লিম ফিগারটা দেখতে কি তার থেকেও বেশী ভালবাসেন না? চিনিতে কিন্তু গুচ্ছ ক্যালোরি থাকে, তাই খাবারে চিনি অ্যাড করা মানেই কিন্তু ওজনের দফারফা! এবার ডায়েট থেকে চিনিকে ছাটাই করুন, আর মধু যোগ করুন।
জল যদি কম খান, তাহলে কিন্তু ওজন বাড়া থেকে স্বয়ং ভগবানও আপনাকে বাঁচাতে পারবেন না। তাই জল বেশী করে খান। দেখবেন ব্লোটিং-এর সমস্যাও হচ্ছে না আর শরীরের সব টক্সিনও বেরিয়ে যাচ্ছে। আপনিও ফিট থাকছেন।
চা খেতে ভালবাসেন নাকি? ব্যাস! তাহলে তো ‘হাতের নাড়ু’টি পেয়েই গেলেন! দুধ-চায়ের বদলে এবার শুধু গ্রিন টি খান। গ্রিন টি আপনার শরীরের মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে ক্যালোরি তাড়াতাড়ি বার্ন হয়। মাসখানেক দিনে কাপ চারেক খেয়ে ফেলতে পারলেই কেল্লা ফতে! দেখবেন গ্রিন টিও হিট, আর আপনিও ফিট!
অ্যাপল সিডার ভিনিগারের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই? এই মহান বস্তুটি কিন্তু আপনার ওজন কমানোর বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। কীভাবে? খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে খানিকটা খেয়ে নিন।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার আপনার মেটাবলিজমের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেবে। দেখবেন এর ফলে আপনার ফ্যাট কোষগুলো যেমন সহজে বার্ন হচ্ছে, আর তেমনই তাড়াতাড়ি আপনার মেদও কমছে! তাছাড়া অ্যাপল সিডার ভিনিগার কিন্তু খিদে মরিয়ে দেয়। তাই খাবার দেখলেই যদি আপনার খাই খাই করে, তাহলে বাজারে গিয়ে এবার বিস্কুটের বদলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার কিনে আনুন। কাজে দেবে।
আজ্ঞে হ্যাঁ। ঝটপট ওজন কমাতে চাইলে গুচ্ছ ডায়েট চার্ট না করলেও চলবে। তার থেকে এবার দিনে কত ক্যালোরি খাচ্ছেন, তার হিশেব রাখুন। কি করে? চাপের কিচ্ছু নেই। আপনাদের সব্বার কাছেই স্মার্টফোন আছে, জানি। এবার ফটাফট একটা ভালো দেখে ক্যালোরি ট্র্যাকার অ্যাপ নামিয়ে ফেলুন। নিজের ওজন আর হাইট ইনপুট করে দেখে নিন দিনে আপনার কত ক্যালোরি খাওয়া প্রয়োজন। আর সেই মতো খেতে শুরু করুন।
যা যা খাচ্ছেন, তা ইনপুট করুন। দিনের শেষে আপনার অ্যাপ আপনাকে জানিয়ে দেবে কত ক্যালোরি বেশী বা কম খাওয়া হল। পরের দিন সেই বুঝে মেনুটাকে একটু অ্যাডজাস্ট করে নিন।
ভাবছেন এ আবার কি রসিকতা করা শুরু করলাম? বুড়ো বয়সে নাহয় ওজন কমাতেই শখ হয়েছে। তাই বলে এসব খেলা-টেলা আবার কি! নাহ। মজা করছি না মোটেই। খেলে আপনাকে কেউ বিরাট কোহলি বা মেসি হতে বলছে না। জাস্ট খেলুন।
আপনি ব্যায়াম তো করবেন না। কিন্তু একটু ফিজিক্যাল এক্সসারসাইজ না করলে তো হবে না! হালকা করে ফুটবল খেলুন, বা যা আপনার প্রিয় খেলা—ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, খেলুন, অল্প সময়ের জন্য হলেও। আর একান্তই যদি না খেলতে পারেন? তাহলে আর কি! কষ্ট করে হাঁটাহাঁটিটা অন্তত করুন।
ওজন কমাবো, ওজন কমাবো বলে মাথা খারাপ করে ফেলছেন, কঠিন ডায়েটের ঠেলায় বাড়ির লোককে পাগল করে দিচ্ছেন, অথচ কোনো খাটা-খাটনিই করছেন না—এর’ম করলে কিন্তু মোটে চলবে না! ঘরের কাজকম্ম অন্তত করুন। ছুটির দিনে নিজের ঘর পরিষ্কার করুন, বা ঝুল ঝাড়ুন, জানলা-দরজা পরিষ্কার করুন—দেখবেন ওতেও যথেষ্ট কাজ হচ্ছে।
তাহলে এবার আর চিন্তা নেই। ‘দাশবাসে’র মুশকিল আসান টিপস পেয়েই গেলেন। শুধু চোখ বুজে কষ্ট করে একটু ফলো করে যান। দেখবেন ব্যায়ামও করতে হল না, আর আপনিও আপনার স্বপ্নের সুন্দর ফিগারটা পেয়ে গেলেন!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…