এখন মেকআপের জগতে একটা নতুন কনসেপ্ট হল ন্যুড মেকআপ, যেটা কোন দিনই পুরনো হবার নয়। খুব ক্লাসি একটা লুক। সবসময় চড়া মেকআপ একদমই ভালো লাগে না। কিন্তু মেকআপ না করেও থাকা যায় না।
একটু মেকআপ তো করতেই হয়। আর এই একটু মেকআপের কনসেপ্ট থেকেই এসেছে ন্যুড মেকআপের কনসেপ্ট, যেখানে মেকআপ হবে একদম হালকা। দেখে মনে হবে না, আলাদা করে মেকআপ করা হয়েছে। কিন্তু মেকআপ তো করা হয়ছে।
ন্যুড মেকআপ মানেই এখানে ব্যবহার করা হবে হালকা শেডস। লিপস্টিক থেকে শুরু করে,আইশ্যাডো সবই ব্যবহার করা হয় হালকা শেডসের, যাতে সেই ক্লাসি লুকটা ফুটে ওঠে। এটাই ন্যুড মেকআপের বিশেষত্ব। কীভাবে করবেন এই ক্লাসি ন্যুড মেকআপ দেখে নিন।
মুখ রেডি করা কিন্তু খুব দরকার। মুখের সমস্ত ময়লা, পুরনো মেকআপ পরিষ্কার করা কিন্তু খুবই দরকার। না হলে সেই লুকটা কিন্তু পাওয়া যাবে না। কারণ এখানে ফাউণ্ডেশন দিয়ে মুখকে খুব বেশী ঢাকা যাবে না। ন্যাচারাল লুকটাই এখানে ইম্পরট্যান্ট। তাই মুখ পরিষ্কার না থাকলে কিন্তু মুখ কালো লাগবে।
মুখ পরিষ্কার করার পর অবশ্যই কিন্তু মুখকে ময়েশ্চারাইজড করা খুব দরকার। না হলে স্কিন শুকিয়ে, সেই রেডিয়েন্ট লুকটাই কিন্তু আসে না। আর ময়েশ্চারাইজার লাগানো মানে মেকআপের বেস তৈরি করা, যাতে মেকআপটা বসতে পারে। আর অনেকক্ষণ থাকে। যে কোনো মেকআপের শুরুতেই কিন্তু এই দুটি স্টেপ গুরুত্বপূর্ণ।তাই পারফেক্ট মেকআপ লুক পেতে, এই স্টেপগুলো কিন্তু মেনে চলতেই হবে।
ন্যুড ফেস মেকআপ
অনেক বিউটি এক্সপার্টই একদম ন্যুড লুকের জন্য ফাউণ্ডেশনকে স্কিপ করতে বলেন। কিন্তু আবার অনেকেই ফাউণ্ডেশন লাগান। কিন্তু সেটা হালকা করে যাতে বোঝা না যায়। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন মুস ফাউণ্ডেশন, যেটা বেশী লাগালেও একদম হালকা ন্যাচারাল লুক দেয়।
কিন্তু যদি অন্য ফাউণ্ডেশন ব্যবহার করেন তাহলে একদম অল্প লাগাবেন। যাই হোক ফাউণ্ডেশন আপনি লাগাতেও পারেন আবার নাও লাগাতে পারেন। কিন্তু তার আগে কন্সিলার কিন্তু অবশ্যই লাগাতে হবে। কারণ ন্যাচারাল লুকে চোখের তলায় কালি বা মুখে অন্যান্য দাগ দেখা গেলে কিন্তু একদমই ভালো লাগবে না। তাই কন্সিলার দিয়ে অবশ্যই ওগুলো কভার করে নিতে হবে।
ব্লাশ
ন্যুড লুকেও কিন্তু ব্লাশ করা জরুরী। তবে এক্ষেত্রে একদম হালকা শেড ব্যবহার করবেন। ব্লাশনের একদম ন্যাচারাল হালকা যে শেডসগুলো থাকে এবং আপনার স্কিন টোনের সাথে যেটা ভালো লাগবে সেটাই দিন। যেমন ফর্সা টোনের ক্ষেত্রে হালকা পিঙ্ক, পিচ আর ডার্ক স্কিন টোনের ক্ষেত্রে হালকা করে ব্রাউন ভালো লাগবে।
ন্যুড আই
প্রথমে আইব্রো হাইলাইট করে নিন। যেহেতু এখানে আই মেকআপ একদম হালকা হবে, তাই আইব্রো হাইলাইট করলে ভালো লাগবে। আইশ্যাডো প্যালেটে যে ব্ল্যাক বা ব্রাউন আইশ্যাডো রয়েছে সেটা দিয়ে হাইলাইট করতে পারেন। মানে আইশ্যাডো বক্সে যে ব্রাশটা থাকে, সেটা দিয়েই আইব্রো হাইলাইট করে নিন।
এবার চোখের পালা। ন্যুড লুকে কখনই অত ভারী আই মেকআপ হবে না। তাই অনেকেই লাইনার স্কিপ করে যায়। প্রথমে শুধু আইশ্যাডো দিয়ে চোখকে হাইলাইট করে নিন। এরপর মোটা করে জাস্ট মাস্কারা লাগান। ফলস চোখের পাতাও ব্যবহার করতেই পারেন, মোটা করে মাস্কারাই চোখকে সুন্দর করে তুলবে।
ন্যুড লিপ
ন্যুড লিপসের জন্য ব্যবহার করতে হবে ন্যুড লিপ কালার, ন্যুড লিপ গ্লস বা একদম হালকা ন্যাচারাল কালার। প্রথমে লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। ন্যুড লুকের ক্ষেত্রে ম্যাট ভালো লাগে। এমন কালার লাগাবেন যাতে দূর থেকে দেখে মনে হয় ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানো হয়নি। একদম হালকা রঙ এটাই ন্যুড লুকের বৈশিষ্ট্য। তবে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর আগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নেবেন। আর ন্যুড লুকের ক্ষেত্রে লিপ লাইনার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
তাহলে দেখে নিলেন তো আপনার বোল্ড লুকের জন্য পারফেক্ট ন্যুড মেকআপ।এবার অর্ডার দিয়ে জলদি কিনে আনুন আর তারিফ পেতে থাকুন।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…