নিমপাতা নিয়ে নতুন করে আর কিই বা বলার আছে! আমাদের ত্বকের হাজারো সমস্যার সমাধান যে এই এক পাতার কাছে আছে তা তো অজানা নেই।শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আমাদের রূপচর্চায় নিমপাতা কত্ত উপকারী তা আর নতুন করে আমাদের জানাবার নেই। আমরা আজ জানাবো বিশেষত আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে আর ব্রণ দূর করতে নিম কীভাবে আমাদের সাহায্য করে।আজ জেনে নিন পাঁচটি ফেসপ্যাকের সন্ধান।
আমরা যে ফেস ওয়াশ ব্যবহার করি,তাতে নিশ্চয়ই নিম আছে কিনা আপনি দেখে নেন।নিম আমাদের ত্বককে খুব ভেতর থেকে পরিষ্কার করে।আর নিমে আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।আমরা জানি যে ব্রণ হয় মূলত ব্যাকটেরিয়া থেকেই।আর অতিরিক্ত তেল-ময়লা জমে থাকলে।নিম তেল-ময়লাও পরিষ্কার করে দেয়,আর ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ থেকেও বাঁচায়।তাই নিমপাতা ব্যবহার কিন্তু করতেই হবে আমাদের।
যেখানে নিমপাতা মুখ পরিষ্কার করে ভেতর থেকে,সেখানে চন্দন আমাদের ব্রণকে ভেতর থেকে সারিয়ে তোলে।তাই এই দুটি উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে আপনার গ্ল্যামার যে এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।
উপকরণ
১০-১২ টা নিমপাতা পেস্ট করা,২ চামচ চন্দন গুঁড়ো।
পদ্ধতি
প্রথমে নিমপাতা পেস্ট করে নিন।এবার এতে চন্দন গুঁড়ো মেশান।একটা ঘন মিশ্রণ বানান।এই মিশ্রণ এবার মুখে মাখিয়ে রাখুন ২০ মিনিট মতো।তারপর অল্প গরম জল দিয়ে আস্তে আস্তে হাল্কা হাতে ঘষে তুলে ফেলুন। পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।সপ্তাহে তিন দিন মতো করুন।
লেবুর রস যে একটা প্রাকৃতিক ব্লিচ তা তো আপনারা জানেনই।এর সাথে নিমপাতা মেশান।তারপর দেখুন কামাল।
উপকরণ
নিমপাতা গুঁড়ো ৪ চামচ,লেবুর রস ৩ চামচ।
পদ্ধতি
দুটি উপকরণ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন।এর সঙ্গে নিমপাতা অল্প কুচিয়ে দিয়ে দিন।এবার এই মিশ্রণ মুখে মেখে রাখুন ৫ মিনিট মতো। তারপর হাল্কা হাতে জল নিয়ে নিয়ে মুখ ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। তারপর দেখুন কী সুন্দর ভাবেই না মুখ পরিষ্কার হয়।
শুধু মুখ পরিষ্কার কেন,মুখে আলাদা ঔজ্জ্বল্য দিতেও যে বেসন খুবই কার্যকরী তা তো আপনারা জানেনই।নিমের সঙ্গে এবার তাহলে বেসন নিয়ে নিন।
উপকরণ
বেসন ৪ চামচ,নিমপাতা ৫-৬ টা।
পদ্ধতি
নিমপাতা আগে একটু কুচিয়ে নিন।চাইলে পেস্টও করে নিতে পারেন।এবার এর সঙ্গে বেসন মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণ দিয়ে এবার মুখ ঘষুন কয়েক মিনিট।তারপর ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা জলে।দেখবেন একটা ইন্সট্যান্ট গ্লো পাচ্ছেন।
➡ ইন্সট্যান্ট গ্লো পেতে কেয়া শেঠের টিপস।
নিম আর মধু মুখ পরিষ্কার করবে আর সঙ্গে গোলাপজল মুখকে টোন করবে।
উপকরণ
৬-৭ টা নিমপাতার পেস্ট,৩ চামচ মধু,৪ চামচ গোলাপজল।
পদ্ধতি
নিমপাতা আগে পেস্ট করে নিন।এর সঙ্গে এবার মেশান মধু আর গোলাপজল।গোলাপজল বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন।এই মিশ্রণ মুখে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো।তারপর ঘষে তোলার দরকার নেই।এমনি ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।সপ্তাহে দু’দিন করতে পারেন।এটা কিন্তু ব্রণর জন্যও বেশ কার্যকর।
কাঁচা হলুদের উপকারিতা নিয়ে আর আলাদা করে কিই বা বলার আছে।’দাশবাসে’র সৌজন্যে আপনারা এতোদিনে জেনে গেছেন কাঁচা হলুদ আমাদের জন্য কত্ত উপকারী।তাহলে নিমপাতার সঙ্গেও ব্যবহার করুন না হয় কাঁচা হলুদ।
উপকরণ
৭-৮ টা নিমপাতা বাটা,২ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা,পরিমাণ মতো দুধ।
পদ্ধতি
আগে নিমপাতা আর কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে নিন।জল দেওয়ার দরকার নেই।দুধ দিয়ে মেশান।এই মিশ্রণ এবার মুখে মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মতো।ব্রণ হওয়া জায়গায় একটু বেশী করে লাগিয়ে রাখুন।তারপর ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে এক দিন করুন।তাহলেই হবে।
এবার তাহলে নিমপাতা আর শুধু খেয়ে নয়,মুখে মেখেও আপনি সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন।তেঁতো জিনিসের এমন মিঠা উপকার কিন্তু হয় না।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…