ছোট্ট শিশু জন্মানোর পর তাকে নিয়ে সবার আনন্দের সীমা থাকে না। সবাই কত স্বপ্ন দেখতে থাকে তাকে নিয়ে। কত ভাবনা শুরু হয় ওই একরত্তি প্রাণকে কেন্দ্র করে। সবার আগে যে ভাবনা মাথায় আসে সেটা হল কী নাম দেওয়া যায়। আসুন আমরা মেয়েদের দেওয়ার মত কিছু সুন্দর নাম ও তার অর্থ জেনে নি।
১. মারিষা – কন্ডুঋষির কন্যা। বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী ইন্দ্র কণ্ডু মুনির তপস্যা ভঙ্গের জন্য এক অপ্সরাকে পাঠান। অপ্সরা তপস্যা ভঙ্গে সমর্থ হন। তাঁরা একসঙ্গে ৯৭০ বছর ৬ মাস থাকেন। তাদের এক কন্যা সন্তান হয়, নাম মারিষা।
২. সাম্পান – ছোট্ট নৌকা। প্রাচীন বাংলায় ছোট্ট নৌকাকে বলা হত।
৩. সংমিত্রা – অকপট বন্ধু, যাকে সব কথা বিনা বাধায় বলা যায়।
৪. হ্লাদিনী – কৃষ্ণের আনন্দদায়িনী শক্তি। বৈষ্ণব শাস্ত্র মতে কৃষ্ণ তাঁর তিন শক্তি দ্বারা এই বিশ্বকে চালনা করেন। যে শক্তিতে সব কিছু অস্তিত্বশীল হয় সেই শক্তির নাম সন্ধিনী। যে শক্তির দ্বারা কৃষ্ণ নিজেও জানেন ও অন্যকেও জানান সেই শক্তির নাম সম্বিত। আর যে শক্তি দিয়ে কৃষ্ণ নিজেও আনন্দ পান ও অন্যদেরও আনন্দ দেন সেই শক্তির নাম হল হ্লাদিনী। রাধাকে এই হ্লাদিনী শক্তির প্রতীক ধরা হয়।
৫. ঐলেশা – সবকিছুর প্রভু। ঈশ শব্দটা এর মধ্যে ধরা আছে, যার মানে ঈশ্বর।
৬. নীলূফার – পদ্ম। এটি একটি আরবী শব্দ।
৭. শাকিলা – রূপবতী। এটিও একটি আরবী শব্দ।
৮. ঊহিনী – সমষ্টি। আমরা অক্ষৌহিনী শব্দটা সবাই জানি। পূর্বকালে কোন রাজার কত অক্ষৌহিনী সেনা আছে তাঁর ওপর সেই রাজার সম্মান ও প্রতিপত্তি নির্ভর করত। পদাতিক, অশ্বারোহী ইত্যাদি সকলের সমষ্টিই হল এই নামের অর্থ।
৯. দেহালী – গৃহ, মন্দির। এই নামটি খুবই মিষ্টি নাম। নামটার মধ্যে একটা প্রাচীনত্বের ছোঁয়া আছে।
১০. বিয়াস – এক নদীর নাম। এটি উত্তর ভারতের একটি নদী। এই নদীর উৎপত্তি হিমাচল প্রদেশে। ৪৭০ কিমি অতিক্রম করে এই নদী পাঞ্জাবের সাতলেজ বা শতদ্রু নদীতে মিশেছে।
১১. অক্ষিতা – সীমাহীন।
১২. পাপড়ি – ফুলের পাপড়ি। আমরা তো সচরাচর শব্দটা ব্যবহার করেই থাকি। কিন্তু নাম হিসাবে এটা খুবই মিষ্টি ও সুন্দর।
১৩. মঞ্জিমা – শোভনভাব। নামটার মধ্যে এক অদ্ভূত লালিত্য আছে।
১৪. ধৃতিরূপা – যার সাহস অনেক। দুর্গার মন্ত্রে ‘ধৃতিরূপেন সংস্থিতা’ কথাটা পাই।
১৫. সংহতি – সমষ্টির বোধ। আমরা জাতীয় সংহতি কথাটা শুনেই থাকি।
১৬. হিতৈষী – হিত আকাঙ্ক্ষা করে যে। ঐশী বা এষণা মানে হল ইচ্ছা। হিত করার, ভালো করার ইচ্ছা যার সেই হিতৈষী।
১৭. অর্চিশা – আলোর রশ্মি। আমরা সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে অর্চিস্মান নামটা শুনে থাকি। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই নামটা দেওয়াই যায়।
১৮. মধুরমীনাক্ষী – মীনাক্ষী মানে মাছের চোখ। তার সঙ্গে মধুর শব্দটা যুক্ত হয়ে নামটার মধ্যে আলাদা লালিত্য এনেছে।
১৯. সম্প্রীতি – সদ্ভাব। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এটি বজায় রাখা খুবই প্রয়োজন। আমরা সচরাচর শুনেই থাকি উৎসবের দিনে সম্প্রীতি বজায় রাখুন। এবার নাম হিসাবে ভেবে ফেলুন শব্দটা।
২০. বহ্নিশিখা – আগুনের শিখা। আগুনের একটি সমার্থক শব্দ হল বহ্নি।
এইখানে কয়েকটি নাম দেওয়া হল। আশা করা যায় আপনাদের ভাল লাগবে। বলা হয় যে নামের সঙ্গে নাকি অনেকসময় শিশুর ভাগ্য জড়িয়ে থাকে। তাহলে চটপট আপনার ছোট্ট সোনার নাম রেখে ফেলুন ও এমনভাবে তাকে বড় করে তুলুন যাতে সে তার নাম সার্থক করতে পারে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…