মুসা বিন শামসের বা প্রিন্স মুসা বাংলাদেশের ধনকুবের ও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। জন্ম ১৯৪৫ সালে ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরে। বর্তমানে বয়স একাত্তর বছর। বাবা শামসের আলি মোল্লা ছিলেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী। মুসা বিন ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ক্যালিফর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পি.এইচ.ডি করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ফতেমা চৌধুরী। তিনি ডাটকো কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা। এটি একটি ম্যানপাওয়ার এক্সপোর্ট কোম্পানী। পরবর্তীতে তিনি অস্ত্র নির্মাণ ব্যবসায় নামেন যা তাকে আরও সমৃদ্ধিশালী করে। ১৯৯৮ সালে লন্ডনের Sunday Telegraph তাঁর সম্বন্ধে বলেন ‘Man with the Golden Gun’। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী আর্মির দ্বারা গ্রেপ্তার হন। তাকে নিয়ে নানা গালগল্প চালু আছে। আসুন সেই গল্পের শরিক হই আমরাও।
মুসার বিলাসব্যসনের কথা শুনলে আপনারা আশ্চর্য হয়ে যাবেন। জানেন কি উনি যে পেনটি ব্যবহার করেন তার দাম কত! ১০ মিলিয়ন ডলার। এটি দিয়ে উনি সই করেন। ২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি। ৭৫০০০ হীরের টুকরো আছে ওতে। এটি সযত্নে স্যুইস ব্যাঙ্কে রাখা আছে। মুসা যে ঘরিটি ব্যবহার করেন সেটি রোলেক্স কোম্পানির। ৫ মিলিয়ন ডলার খরচা করে ২৭ মাস ধরে এটা বানানো হয়। এটি ওই কোম্পানি ওনার জন্যই বানান ও এটা বিশ্বে একটাই। আরও শুনুন বন্ধুরা। উনি সবচেয়ে দামী স্যুট ব্যবহার করেন ও একই স্যুট দু’বার পড়েন না। ওনার এক জোড়া জুতোর দাম ৮০ লাখ টাকা।
এখানেই শেষ নয় বন্ধুগণ। আসুন একবার ওনার ব্যক্তিগত সম্পত্তির দিকে তাকানো যাক। স্যুইস ব্যাঙ্কে জমা আছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। ব্যাঙ্কের ভোল্টে ৭০০ কোটি মূল্যমানের অলঙ্কার। গুলসানে ‘দ্য প্যালেস’ নামে প্রাসাদ। গাজীপুরে ও সাভারে ১২ শ’ বিঘা জমি। ওনার গোসল করতে ব্যয় হয় ৫ হাজার ডলার। ৪০ জন দেহরক্ষী ও ৪ জন মহিলা দেহরক্ষী আছে। ওনার বাড়ীতে রোজ রাতে ২০ থেকে ২৫ রকমের রান্না হয় কম করে। সবচেয়ে মজার কথা, উনি নিজের হাতে খান না। ওনাকে ওনার স্ত্রী খাইয়ে দেন। এতেই নাকি উনি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
খাবার শেষে ওনার কোন এক পরিচারিকা ওনার মুখ মুছিয়ে দেন ও চুল আচড়ে দেন।
উনি মিডিয়ার সামনে আসেন যখন Anti-Corruption Committee ওনাকে ডেকে পাঠান আয়ব্যয়ের হিসাব মেলানোর জন্য। তিনি ৫ মিলিয়ন পাউন্ড দান করতে চান Labour Party কে ১৯৯৭ সালে সাধারণ নির্বাচনের সময়। তখন তিনি বিশ্বে আরও চর্চিত হন।
মোটামুটি এই হল মুসা বিন শামসেরের আশ্চর্য কাহিনী। ওনার মতে রাস্তার লোক যারা ভালোভাবে থাকতে পারে না, ভালোভাবে খেতে পারে না, তারা আসলে ইডিয়ট। তাদের কোন লক্ষ্য নেই জীবনে। সে যাই হোক, আমরা আজ যে মানুষটির কথা জানলাম তিনি যে তার বিলাসব্যসনের লক্ষ্যে স্থির সে বিষয়ে সন্দেহ নেই, কি বলেন!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…