মুখে নানারকম জিনিস তো প্রায়ই মাখা হয়। কিন্তু গলা, ঘাড়? গলা ও ঘাড় এই যত্ন থেকে প্রায়ই বাদ পড়ে যায়। আর সেই জন্যই মুখ ফর্সা কিন্তু গলা কালো। কি বাজেই না লাগে বলুন তো দেখতে। কিন্তু যদি মুখের সাথে গলার রঙও এক থাকত, তাহলে কি ভালোই না হত। গলায় এত মেকআপেরও দরকার হত না।
কিন্তু কীভাবে সম্ভব এটা? কিছুই না। জাস্ট বাড়িতে একটু যত্ন। এই একটু যত্নই, আপনার গলার ত্বককে মুখের মতই গ্লোয়িং করে তুলবে কিছুদিনেই। দেখুন কীভাবে নেবেন যত্ন।
শুধু মুখে-হাতে তেল ম্যাসাজ করলেই হবে না। গলায়ও অবশ্যই করতে হবে। তেল গলার স্কিনকে রিজুভিনেট করে ময়েশ্চারাইজড রাখে। তবে গলায় কখনওই সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করবেন না। নীচ থেকে ওপরে ম্যাসাজ করবেন।
এক্ষেত্রে কোনো হালকা তেল ভালো, যেমন অলিভ তেল, আমণ্ড তেল। না হলে নারকেল তেল একটু অল্প পরিমাণে নিয়ে একটু জল মিশিয়ে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। যেহেতু নারকেল তেল একটু ঘন। এটা সারাবছরই করবেন। সারাবছরই স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখা দরকার।
সপ্তাহে একদিন ডিমের প্যাক গলার স্কিনকে ব্রাইট তো করবেই। সাথে গলার স্কিনকে টাইট রাখবে। গলার স্কিনের কুঁচকে যাওয়া রোধ করবে। স্কিনকে ভেতর থেকে নারিশ করবে ও ফর্সা করে তুলবে।
উপকরণ
১ টা ডিম, ১ চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস।
পদ্ধতি
একটা ডিমের সাদা অংশটা নিয়ে নিন। কুসুম আলাদা করে রাখুন। এবার এতে মধু ও লেবুর রস মেশান। ভালো করে সব উপকরণগুলো মেশান। এটা এবার গলায় লাগান। এছাড়াও ঘাড়ে ও পিঠে লাগাতেই পারেন। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার পরই ইনস্ট্যান্ট গ্লো লক্ষ করবেন। স্কিন খুব অয়েলি হলে ডিমের সাথে জাস্ট ওটমিল মিশিয়ে একইভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
মুখ ও গায়ের মত গলাও প্রতিদিন পরিষ্কার করা অবশ্যই দরকার। তবে এক্ষেত্রে কোন সাবান নয়, ব্যবহার করুন ফেস ওয়াশ। বা যারা লিকুইড বডি ওয়াশ ব্যবহার করেন, তারা সেটা দিয়েও করতে পারেন। না হলে মুখের ফেস ওয়াশ দিয়েই গলা পরিষ্কার করবেন। মনে রাখবেন গলার ত্বক কিন্তু বেশী নরম, কোমল। বয়স হলে গলার ত্বকই আগে তার জানান দেয়। কুঁচকে যায়। তাই এর দরকার একটু স্পেশাল যত্ন।
সপ্তাহে এক থেকে দু’দিন স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করাও খুব দরকার যেটা প্রায় করি না বললেই চলে। এতে ত্বকের ওপর জমে থাকা মরা কোষ সরে যায়। স্কিন হয় হেলদি, গ্লোয়িং ও সতেজ। শুধু গলা নয়, এর সাথে পুরো বডিকেই এক্সফোলিয়েট করা দরকার।
উপকরণ
১ চামচ চিনি, ১ চামচ মধু ও হাফ চামচ লেবুর রস।
পদ্ধতি
চিনি মধু ও লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। ব্রাউন সুগার হলে বেশী ভালো। এই মিশ্রণ এবার গলায় লাগান। ঘাড়েও লাগাতে পারেন। লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। তারপর এটা আরও ৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’দিন করুন দেখবেন স্কিন কেমন গ্লোয়িং হচ্ছে।
গলার ত্বককে হাইড্রেটেড, হেলদি রাখতে ভিটামিন ই ভীষণ ভালো। এটা স্কিনের ঝুলে যাওয়া, রিঙ্কেল, কুঁচকে যাওয়া দাগ অসাধারণ প্রতিরোধ করে। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল ম্যাসাজ করুন গলায়। শুধু গলা নয়, মুখের স্কিনকে ভালো রাখতেও এটা করতেই পারেন। এছাড়াও ডিমের প্যাকের মতই কখনও কখনও লাগাতে পারেন ফ্রুট প্যাক।
উপকরণ
১ টা ছোট কলা ও ১ টি ডিম।
পদ্ধতি
কলা ব্লেণ্ড করে নিন। এবার এর সাথে ডিমের সাদা অংশ মেশান। ভালো করে মিশিয়ে গলায় লাগান। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার গলার ত্বককে অনেক বেশী ইয়ং লুকিং করে তুলবে।
দেখলেন তো জাস্ট এই একটু যত্নই চায় স্কিন আপনার থেকে। তাহলেই স্কিন আপনাকে দেবে একটা গ্লোয়িং হেলদি লুক।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…