প্রতি মানুষের শরীরে অন্তত একটি চিহ্ন থাকে যা তাকে বাকি সব মানুষের থেকে আলাদা প্রতিস্থাপন করে। আমরা এই চিহ্নকে তিল হিসেবে গণ্য করি। পুরোনো মুনিঋষিরা বলে গেছেন যে তিল থেকে একটি মানুষের ভাগ্য বা ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা যেতে পারে। হিন্দু জ্যোতিষ বিদ্যার মতে তিলের অস্তিত্ব এবং অবস্থান অনুযায়ী আমরা আমাদের সফলতা বা ব্যর্থতার মাপকাঠি চিন্নিত করতে পারি।
তিলের অবস্থান একটি গুরত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আমাদের ভাগ্যে। তিল যখন আমাদের ভাগ্য বা চারিত্রিক গুনকে কিছুটা হলেও নির্ণয় করতে পারে তখন তাহলে আমরা আজ কয়েকটি তিলের অবস্থান এবং তার তাৎপর্য জেনে নিই।
মাথার ডান দিকের তালুতে যদি তিল থাকে তাহলে তিনি রাজনীতিতে উন্নতি করতে পারেন। তার ব্যাবসাতে উচ্চ পদে স্থান পাওয়ারও খুবই সম্ভাবনা থেকে যায়।
মাথার বা দিকে তিল থাকলে বলা হয় যে তার খুব একটা অর্থ লাভের যোগ নেই। তাই তার অর্থ সঞ্চয়েরও খুবই কম সম্ভাবনা এবং সঞ্চয় করলেও তার সঞ্চয়ের থেকে বেশি ব্যায় করার প্রবণতা থাকে।
কপালের ডান দিকের তিল থাকলে এবং তার সাথে কপাল চওড়া হলে তার নাম,যশ, সম্পত্তি ইত্যাদি লাভ হতে পারে। তাদের মধ্যে লোকজনদের উপকার করার প্রবণতাও দেখা যায় এবং ভগবানের উপর ভক্তি এবং প্রবল বিশ্বাস থাকে।
যদি কারোর কপালের বা দিকে তিল থাকে এবং তার কপাল যদি ছোট হয় তাহলে সাধারণত তারা স্বার্থপর হয় এবং কারো সাহায্য করতে চায়না। তাদের এই স্বভাবের জন্য বাকি লোকেরাও তাদের সম্মান দেয়না।
ভুরুর একদম মাঝখানে তিল থাকা মানে তার অধিনায়কত্ব করার ক্ষমতা আছে এবং তার সাথে নাম,যশ ও লাভ হওয়ার সম্বাবনা আছে। ভুরুর বা দিকে তিল থাকা মানে সে হতভাগ্য এবং সে নিজের টাকা ঠিক করে খরচা করতে সক্ষম না। তিনি নিজের ব্যাবসা বা চাকরীতেও বাধা পেতে পারেন প্রতিপদে।
ডান চোখের পাতার উপর তিল যশ নিয়ে আসে। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় যে সে অহংকার বোধ করে নিজের সম্পত্তি এবং ভাগ্যের জন্য। বাঁ চোখের পাতার উপর তিল থাকলে সাধারণত তারা কম টাকার রোজগার করে থাকেন এবং অন্যদের হিংসার শিকার হয়ে থাকেন।
ডান দিকের চোখের নিচে তিল থাকা মানে বলা হয় যে তিনি খুবই ভাগ্যশালী এবং খুব একটা কাজ না করেই তিনি বিরাট ধন সম্পত্তির মালিক হতে পারেন। বাঁ দিকের চোখের নিচের তিল তাদের মধ্যে দেখা যায় যারা নারী সঙ্গ ছাড়তে পারেন না এবং অবৈধ সম্বন্ধের মধ্যেও জড়িয়ে পরেন।
সাধারণত কানে তিল থাকলে তা শুভ মানা হয়। খুবই প্রাচুর্যের সাথে তিনি নিজের জীবন কাটাতে সক্ষম হন। কানের পিছনে তিল থাকলে বলা হয় যে তিনি খুবই প্রথা বা রীতি মেনে চলা একজন ব্যক্তি। তিনি চান তার জীবনসঙ্গিনী একটি নামী পরিবারের মেয়ে হোক। কানের উপরের তিল থাকা মানে বলা হয় সে অতন্তই মেধাবী এবং বুদ্ধিমান।
যাদের ডান কানের লতিতে তিল থাকে তাঁরা নিজের পরিবার এবং সংসারের উপর খুবই সমর্পিত হয়ে থাকেন। সব সময় পরিবারের প্রয়োজনের উপর খেয়াল রাখেন। বাঁ কানের লতিতে তিল থাকা মানে সেই মহিলা খুবই ভালো স্বামী পেতে পারেন।
নাকের ঠিক উপরে তিল থাকা মানে তিনি খুব তাড়াতাড়ি রায় নিয়ে নেন এবং বদরাগী হন। নাকের ডান দিকে তিল থাকা মানে তার খুব কম খাটুনি করে। বেশি টাকা আয় করার ভাগ্য আছে। সাধারণত নাকের বাঁ দিকে তিল থাকলে তা দুর্ভাগ্য এনে দেয়।
ঠোঁটের নিচে তিল থাকা মানে এমন সম্বাবনা আছে যে তিনি যমজ বাচ্চাকে জন্ম দেবেন। তিলটি যদি আমাদের ঠোঁটের বাঁ দিক বা ডান দিকে থাকে তার মানে এই হতে পারে যে তিনি হীনমন্যতায় ভোগেন এবং নিজের কাজ বা অস্থিত্বের সম্পর্কে খুব একটা গর্বিত নন।
জিভে তিল থাকলে বলা হয় যে তিনি পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা অনুভব করতে পারেন। তার অনর্গল কথা বলতে অসুবিধা হতে পারে এবং একটু আটকে কথা বলতে পারেন। ঠোঁটের ডগাতে তিল থাকে মানে তিনি দক্ষ বাগ্মীতা এবং খুব সহজেই তার কথা দিয়ে অন্যসকল লোকজনদের মানিয়ে নিতে পারেন।
ঘাড়ের সামনের দিকে তিল থাকা মানে তিনি হঠাৎ ভাগ্যলাভ করতে পারেন। ঘাড়ের দুদিকে তিল থাকা মানে কিন্তু যে তিনি কিছুটা হলেও অবুঝ বা অযৌক্তিক ধরণের ব্যক্তি । যদি আমাদের ঘাড়ের পিছনে তিল থাকে তাহলে বলা যায় যে তিনি একটি সাধারণ জীবন যাপন করতে চান।
যাদের হাতে তিল থাকে বেশির ভাগ সময় তাঁরা খুব শান্ত প্রকৃতির মানুষ হয়ে থাকেন। হাতের কনুইতে তিল থাকা মানে তিনি ঘুরে বেড়াতে খুবই পছন্দ করেন। আবার হাতের কব্জিতে তিল থাকা মানে তিনি খুব বিশ্বাসী এবং মিতব্যয়ী স্বভাবের ব্যক্তি।
তাহলে আজ আমরা বেশ কয়েকটি তিলের অবস্থান এবং তার তাৎপর্য জেনে নিলাম। তিল যেকোনো শরীরের অংশেই হতে পারে। আজ আমি শুধু কয়েকটা মাত্র জায়গাকে তুলে ধরলাম যা সচরাচর আমাদের চোখে পড়ে। অন্যদের শরীরে তিল দেখলে আপনারা কিছুটা হলেও সহজেই বুঝতে পারবেন তিনি কেমন স্বভাবের মানুষ। এইটাও সত্যি যে তিল দেখে একটি মানুষের চরিত্র পুরোপুরি আচ করা যায়না কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে তিলের অবস্থান অনুযায়ী যা চরিত্র হওয়ার কথা তার সাথে সেই মানুষটির চরিত্র একেবারে মিলে গেছে তাই তিল কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার জিনিস নয়।তাই সময় পেলে তিল নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন। তাহলে আজ এই পর্যন্তই থাক আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আবার ফিরে আসবো।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…