মক্কা মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক অতি পবিত্র তীর্থস্থান। মুসলমান ধর্মের কথা মাথায় আসলেই আমাদের মক্কার কাবার কথা মনে পরতে বাধ্য। এই একটা জায়গা বোধহয় সব মুসলমানদের মিলনস্থল। হিন্দু ধর্মে এই রকম কেন্দ্রীয় কোন তীর্থস্থান নেই। হয়তো হিন্দুদের তেত্রিশ কোটি দেবতা বলেই নির্দিষ্ট কোন কেন্দ্রীয় স্থান নেই তীর্থের। কিন্তু, মুসলমানদের আছে, যেমন আছে খ্রিস্টানদের ভ্যাটিকান সিটি। আসুন, আজ আমরা কিছু কথা জেনে নি মক্কা সম্বন্ধে।
মক্কার ইতিহাস বেশ প্রাচীন। আরব দেশের মানুষদের মতে আদম ও ইভ যখন স্বর্গচ্যুত হন তখন আদম শ্রীলঙ্কায় ও ইভ আরবে পতিত হন। এইভাবে দু’শত বছর যাবার পর দু’জনের নিষ্ঠা ও পবিত্রতা দেখে তারা আবার যাতে মিলিত হতে পারেন সেই আশীর্বাদ দেন ঈশ্বর। তখন আদম ঈশ্বরের কাছে একটি আর্জি রাখেন যে তিনি স্বর্গে ঠিক যেমন মন্দিরে উপাসনা করতেন, ঠিক তেমন মন্দির বা উপাসনা স্থল যেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে নির্মিত হয়। সেই প্রার্থনা মেনে নিয়ে উপাসনাস্থল তৈরি হয়। যদিও কোরাণে এই কাহিনী বা এই উপাসনা স্থল নিয়ে কোন কথাই বলা নেই। শেষে এই মক্কাতেই আদমের নাকি কবর হয়। বোঝাই যাচ্ছে যে এই কাহিনী ইসলাম পূর্ব যুগের কাহিনী।
মক্কার কেন্দ্রে আছে কাবা ঘর। কাবার এক অর্থ হল কালো। ধূসর রঙের বড় বড় অসম আকারের পাথর দিয়ে তৈরি ঘনকের আকারে একটি ঘর। মক্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ আল-হারামের চত্বরে কাবা ঘরের অবস্থান। কাবা ঘরকে বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হয়। সারা পৃথিবীর মুসলমান ওই কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে। ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের পশ্চিম দিকে মুখ করে নামাজ পড়ার কারন সেটাই।
এবার আসুন আমরা জমজম সম্বন্ধে খানিক শুনে নেই। কাবার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মরুভূমির মধ্যে একটি স্বচ্ছ জলের কুন্ড। মুসলমানদের কাছে খুবই পবিত্র। প্রাচীন আরবি কবিতা থেকে জানা যায় যে প্রাচীন পারস্যবাসীরা এই কূপের সামনে নিচু স্বরে গুনগুন করে প্রার্থনা করত। তাই কূপটির নাম জমজম। এই কূপের জল পান করাটাও হজে এসে অবশ্য পালনীয়। গোটা বিশ্বে বহু মুসলিম বাড়িতে বোতলে করে জমজম কূপের জল রাখা হয়। অনেকে হজ করে এসে বোতলে করে এই জল বিক্রিও করে।
মরণাপন্ন রোগী বা প্রসব যন্ত্রণা নিরসনে এই জল ব্যবহার করা হয়। কথিত আছে, ইব্রাহিম আল্লাহর নির্দেশে তাঁর স্ত্রী হাজেরা ও পুত্র ইসমাইলকে কাবার কাছে মরুভূমিতে নির্বাসন দেন। তৃষ্ণা কাতর মা ও পুত্রকে ওই কূপের হদিস দেন একজন ফেরেশতা। শোনা যায় যে শিশু ইসমাইলের গোড়ালির আঘাতে মাটির নীচ থেকে জল উঠে আসে।
মক্কা এইরকমই আশ্চর্য নানা কাহিনীতে পরিপূর্ণ। অবশ্য সকল তীর্থস্থানেরই এইরকম কিছু অতিকথা থাকে। আজ আমরা সে রকমই কিছু কাহিনী জানলাম মক্কা সম্বন্ধে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…