প্রথমেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জানাই বেস্ট অফ লাক। পরীক্ষায় সমস্ত বিষয়ের জন্য রেডি থাকলেও, অঙ্ক নিয়েই একটু টেনশন। যতই প্র্যাকটিস কর, ভয়ে সব ভুলেই যাও। কি এটাই সমস্যা তো? ভয় নেই। এই সমস্যা তোমার মত বেশীরভাগ স্টুডেন্টেরই রয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস কর, একটু চেষ্টা করলেই একমাত্র অঙ্কেই ১০০-তে ১০০ পাওয়া সম্ভব। তাই ভয়কে দূরে সরিয়ে নিজের চেষ্টাকে বাড়াও। তাই আজ রইল তোমাদের জন্য কিছু টিপস। কীভাবে জয় করবে এই ভয়কে।
প্র্যাকটিসের থেকে ভালো কিছু আর হতে পারে না। যত পার প্র্যাকটিস কর। প্র্যাকটিস করতে করতে যেখানে ভুল হচ্ছে সেই জায়গাগুলোর দিকে বেশী করে মন দাও। যে অঙ্কগুলো শক্ত, সেগুলো বেশী করে প্র্যাকটিস কর। যে জায়গাগুলোতে ভয় লাগছে সেগুলো বেশী করে কর। মনে রাখবে যত বেশী সমস্যার সমাধান করবে, তত বেশী সড়গড় হবে। এখন সামনেই পরীক্ষা, তাই অঙ্কের জন্য প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে রাখো।
প্রতিটা অঙ্কের সমস্যা যখন সমাধান করছ, সমস্যাগুলো ভালো করে বোঝো। প্রতিটা অঙ্কই কিন্তু এক নয়। প্রতিটা অঙ্কের কিন্তু নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তাই সমাধান করার ধরণও আলাদাই হবে। আসলে অঙ্কটাতে কি বলতে চেয়েছে, কী বার করতে হবে সেটা বোঝো। আর একটা অঙ্ককে বিভিন্নভাবে সমাধান করা যায়। সেই সমাধানের বিভিন্ন উপায়গুলো বুঝে নাও। একটা অঙ্ককে যত রকমভাবে সমাধান করা যায় ততরকম ভাবেই প্র্যাকটিস কর। তাহলে প্রশ্ন ঘুরিয়ে দিলেও তুমি তার সমাধান করতে পারবে।
অঙ্ক করতে গিয়ে ঠিক কোন অঙ্কগুলোয় সমস্যা হচ্ছে, ঠিক কোথায় সমস্যাটা হচ্ছে সেটা ভালো করে বোঝার চেষ্টা কর। তারপর সেটা আবার কর। ভুলটা কেন হচ্ছে সেটা বোঝো। যদি নিজে বুঝতে না পার, তাহলে শিক্ষককে বল তিনি বুঝিয়ে দেবেন। একটা অঙ্কের মেইন কনসেপ্টটা বুঝে নেওয়া দরকার। এইভাবে নিজের ভুলগুলো নিজেই বার বার প্র্যাকটিস কর। ভুল করতে করতে কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
মন দিয়ে অঙ্ক করার জন্য, আগে চারপাশের পরিবেশকে তৈরি করা দরকার। এমন কোন জায়গা বেছে নেবে না, যেখানে মন দিতে অসুবিধা হয়। এমনকি অঙ্ক করার সময় ফোন অফ করে দিতে পারো। তবেই ফোকাস করতে পারবে অঙ্কে। কারণ খুব ভালো ভাবে মন না দিলে কিন্তু অঙ্ক বুঝতেও পারবে না। তাই পড়ার সময় মনকে শান্ত রাখা খুব দরকার।
অনেকেই শিক্ষককে দু’বারের বেশী চারবার জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাও। কিন্তু শিক্ষক বরং খুশীই হবেন তোমার শেখার আগ্রহ দেখে। যেখানেই সামান্যতম সমস্যা হচ্ছে সেখানেই তাকে প্রশ্ন কর। মাঝে মাঝে এমন কোন বন্ধুর সাথে প্র্যাকটিস করতে বস, যে খুব ভালো অঙ্ক করতে পারে। সেও সাহায্য করতে পারবে। একটা অঙ্কে আসলে ঠিক কি চেয়েছে, এই অঙ্কটাকে কত রকমভাবে করা যেতে পারে। অঙ্কটা ঘুরিয়ে দিলে কী রকম ভাবে তোমার করা উচিত। এই সবকিছু একটা অঙ্ক সম্পর্কে শিক্ষকের থেকে বুঝে নাও।
শুধু একরকম বই থেকে অঙ্ক করলে, অঙ্কের বেসিক ধারণাটা ঠিকমত ক্লিয়ার হয় না। তাই দু তিন রকম বই থেকে অঙ্ক কর। একই রকম অঙ্ক বিভিন্ন ভাবে সমাধান করতে করতে, একটা অঙ্কের বেসিক ধারণাটা একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবে। তখন যতই ঘুরিয়ে অঙ্ক দিক কোন অসুবিধাই হবে না বুঝতে। আর মাধ্যমিকে ভালো নম্বর রাখতে, বিগত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান কর। ওগুলোই এদিক ওদিক করে দেওয়া থাকে। জ্যামিতির অংশটাও খুব ভালো করে প্র্যাকটিস করে রেখো। কারণ ওই অংশে নম্বর তোলা খুবই সহজ।
গৃহশিক্ষকের কাছে মূল পরীক্ষায় বসার আগে, বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিয়ে দাও। এই কয়েকদিনে অন্তত চার থেকে পাঁচবার অঙ্ক পরীক্ষা দিয়ে দাও। আর শিক্ষককে বিভিন্ন বার বিভিন্ন রকমভাবে প্রশ্ন করতে বল। এই বিভিন্ন ভাবে মক টেস্টগুলো দিতে দিতে পরীক্ষার ভয়টা কেটে যাবে।
অঙ্ক কিন্তু নম্বর তোলার জন্য সবথেকে ভালো বিষয়। একবার বুঝতে পেরে গেলেই ব্যাস নিজেরই দেখবে ভালো লাগবে।
কিন্তু অঙ্ককে মুখস্থ করে মনে রাখার চেষ্টা কর না । তাহলেই ভুলে যাবে ভয় লাগবে। জাস্ট কনসেপ্টটা বুঝে নাও। মাথায় মেইন কনসেপ্টটা ঢুকে গেলেই মনে থাকবে। ভয় পেও না। এখনো অনেকটা সময় আছে। এই টিপসগুলো মাথায় রেখে, প্র্যাকটিস করতে থাক। পরীক্ষা ভালো হবেই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…