শুতে যাবার আগে মোবাইল চার্জে দিলেন। ভাবলেন এখন আপনি ঘুমোচ্ছেন, তাই সারারাত ফোন চার্জ হোক। তারপর কাল ওটার ওপর আবার সারাদিন চলুক অত্যাচার। কিন্তু এই ভাবনাতেই তো গলদ। ফোন সারারাত চার্জে দিয়ে শুতে যাওয়া খুব বাজে অভ্যেস। এতে কিন্তু আপনার ফোনেরই ক্ষতি হচ্ছে। তাই আপনাদের সচেতন করতেই ‘দাশবাস’ আজ এই লেখা নিয়ে হাজির।
হ্যাঁ, ফোন সারারাত চার্জে দেওয়ার কোনো দরকারই নেই। আমাদের এখনকার স্মার্ট ফোনের ব্যাটারী লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী। এই ব্যাটারী আগের ব্যাটারীর থেকে অনেক তাড়াতাড়ি চার্জ হয়ে যায়। আগেকার ব্যাটারী নিকেল দিয়ে তৈরি হত, যার চার্জ হতে অনেকক্ষণ সময় লাগত। কিন্তু এখন যখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী চার্জে দেবার এক ঘন্টার মধ্যেই চার্জ হয়ে যায় আর অনেকক্ষণ থাকেও, তাহলে কেন সারারাত চার্জ দেবেন? এতে তো কারেন্টও নষ্ট হয়।
সারারাত চার্জ দিয়ে রাখলে ব্যাটারী অত্যন্ত গরম হয়ে যায়। আগেই বলেছি যে আজকালকার স্মার্ট ফোনের ব্যাটারী তাড়াতাড়ি চার্জ হয়ে যায়। তাই বাকি সময়ে চার্জ হতে থাকলে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হচ্ছে, যা লাগছে না কাজে। আবার তার বেরিয়ে যাওয়ারও পথ নেই। তাই সেই তাপ সঞ্চিত হয়ে ব্যাটারীর সর্বনাশ করতে পারে। কারণ মনে রাখতে হবে সেই তাপ ব্যাটারীর সাধারণ ধারণ ক্ষমতার বাইরে। ৩২ডিগ্রি থেকে ১১৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপে চার্জ হয়। এর বেশী হলেই আপনার ফোনের বারোটা বাজল।
ব্যাটারী ছাড়া তো আমাদের ফোন একটা সাধারণ পেপার ওয়েটের মতো। ব্যাটারীই যদি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে আর ফোন কীভাবে কাজ করবে? আর আমাদের এখনকার সব ফোনই যেহেতু স্মার্ট ফোন বা ‘টাচ’ ফোন, তাই টাচ ফোনের যে প্রক্রিয়া, সেটায় ব্যাঘাত হতে পারে। এর ফলে যদি আপনার ফোন তিন বছর যেত, সেটা হয়তো যাবে দেড় বছর মতো। তাই আজ থেকেই ভাবুন নতুন করে।
হ্যাঁ, মজা করছি না। জানেন কি, অতিরিক্ত চার্জ হলে আপনার ফোন তো যাবেই, তার ওপর হঠাৎ করে বার্স্ট করতে পারে। এটা হয়তো আপনার ঘুমোনোর সময় হতে পারে। তাহলে ফোন গেলেও আপনি বেঁচে গেলেন। কিন্তু অনেকসময় কথা বলার সময়েও এই দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই এখনই সাবধান। তবে এই ঘটনা দিনের পর দিন রাতে চার্জ দেওয়ার ফলে হয়। অবশ্য আমরা তো রোজই চার্জ দিই। তাই ভাবুন পরিণাম কি মারাত্মক হতে পারে!
সবশেষে বলি, চেষ্টা করুন ০% হবার আগেই চার্জ দিতে। কখনই ৪০% এর নীচে চার্জ নামতে দেবেন না। তাহলেই আর সারারাত চার্জ দিতে হবে না, আর আপনার স্মার্ট ফোনও আপনার মতো স্মার্টলি চলবে!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…