যেকোনও শুভ কাজে মিষ্টি দইয়ের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও মিষ্টি দই স্বাদেও অতুলনীয়। শহর কলকাতাকে অনেকেই চেনেন মিষ্টি দইয়ের জন্য। বাড়িতে পাতা টকদই অনেকেই খান, তবে আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের শেখাবো বাড়িতেই মিষ্টি দই বানানোর সবচেয়ে সহজ ও চটজলদি উপায়।
সবার প্রথমে গ্যাসে একটি সসপ্যান বসিয়ে তাতে চিনি এবং জলটা দিয়ে হালকা করে ফুটিয়ে নিন। এবার চিনিটাকে ক্যারামেলাইজড করতে হবে। এর অর্থ হল ক্যারামেল যেমন বাদামী রঙের দেখতে হয়, তেমনই চিনিটাকে ফুটিয়ে এবং নাড়তে নাড়তে বাদামী করে নিন। চিনি ঘন হয়ে বাদামী রঙ ধরে গেলে তার মধ্যে দিয়ে দিন আধ কাপ পরিমাণে দুধটা। দুধটা মিশিয়ে দেওয়ার পর একটা হুইস্কারের সাহায্যে ভাল করে নাড়তে থাকুন।
তাড়াহুড়ো করবেন না, ধীরে ধীরে মিশিয়ে নিতে থাকুন, কারণ ক্যারামেল হওয়া চিনিটা খুবই ঘন হবে, যার ফলে হাতা কিংবা স্প্যাচুলার সাহায্যে করলে আপনার একটু সমস্যা হতে পারেন। তবে যার সাহায্যেই মিক্সিং করুন না কেন দুধের সঙ্গে ক্যারামেলাইজড চিনিটা ভালভাবে মিশে যাওয়া দরকার এবং খেয়াল রাখতে হবে এই মিশ্রণের মধ্যে যেন কোনও লাম্প না থাকে।
ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে তার মধ্যে দেড় লিটার পরিমাণে দুধটা মিশিয়ে দিন। দুধটা দেওয়ার পর একটি স্প্যাচুলার সাহায্যে আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলে দুধটা ১৫ মিনিটের ফুটতে দিন। দুধটা ফুটে ঘন হয়ে এলে তার মধ্যে ৩/৪ কাপ পরিমাণ চিনিটা মিশিয়ে দিন। আবারও ভালো করে মেশাতে থাকুন যতক্ষণ না চিনি গলে যাচ্ছে। হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটা ঠান্ডা হতে দিন।
এবার অন্য একটি পাত্রে আগে থেকে জল ঝড়িয়ে রাখা দইটা নিয়ে নিন। দইটাকে কিছু মিনিটের জন্য একটি হুইস্কার দিয়ে হুইস্ক করতে থাকুন। দইটা যখন ক্রিমের মতো হয়ে আসবে তখন তার মধ্যে আগে থেকে বানিয়ে রাখা দুই ও চিনির মিশ্রণটা দিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণটি ঈষদ উষ্ণ থাকতে থাকতেই তা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন। একেবার ঠান্ডা অবস্থায় মেশাবেন না। এবার মিশ্রণটি আবারাও ভালো করে মিক্স করে নিন।
এখন একটি মাটির হাঁড়ি নিয়ে তার মধ্যে মিশ্রণটি ঢেলে দিয়ে একটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের সাহায্যে হাঁড়ির মুখটা শক্ত করে বন্ধ করে দিন। এবার ওই মাটির হাড়িটিকে একটি পরিষ্কার টাওয়েল দিয়ে মুড়ে নিয়ে একটি ডিপ ফ্ল্যাট কড়াইতে ট্রান্সফার করুন এবং কড়াইয়ের লিড আটকে দিন। এইভাবে তোয়ালে মোড়ানো দইয়ের হাঁড়িটে ২ ঘণ্টা সবচেয়ে কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। ২ ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে সাবধানে হাঁড়িটি বের করে আনুন। এবার ঠান্ডা করে শেষপাতে পরিবেশন করুন ঘরে তৈরি মিষ্টি দই।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…