আপনার ছোট্ট সোনা সাজতে খুব ভালোবাসে। তাই সময় পেলেই সে নিজেকে সাজাতে বসে পড়ে। এই নিয়ে আপনার মাথায় হাত! এই বয়স থেকেই মেকআপ কি ঠিক হবে? অত চিন্তা না করে জেনে নিন মেকআপ করার সঠিক বয়স।
আসলে মেকআপ শুরু করার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। তবে হ্যাঁ, খুব ছোট বয়সে মেকআপ করা স্কিনের জন্য ঠিক নয়। মেকআপ সব মেয়েই ভালবাসে। কিন্তু বয়স ৯ বা ১০ থেকেই মেকআপ করা ভালো নয়। কারণ অনেকেই মেকআপের গুণমান যাচাই করার পরিবর্তে, যেটা দেখতে বেশী ভালো লাগবে সেটা কিনে ফেলে। আর মায়েদের এই মেকআপ মেয়েরা কখনও কখনও ব্যবহার করে ফেলে। আর তাতেই হয় সমস্যা।
কারণ এই সময় ত্বক সব কিছু সহ্য করার মত প্রাপ্ত বয়স্ক হয় না। স্কিন আস্তে আস্তে তৈরি হয়। তাই ওই সময় স্কিন খুব নমনীয় আর কোমল হয়। আর অনেক মেকআপের মধ্যেই চকচকে পাথরের গুঁড়োও থাকে। এছাড়াও থাকে আরও নানারকম ক্ষতিকর উপাদান। যা খুব বেশী ব্যবহার করা স্কিনের জন্য ক্ষতিকর। আর স্কিন তৈরি হবার আগেই স্কিনের ওপর এসব লাগালে ক্ষতি তো হবেই।
খুব অল্প বয়সে, মানে ওই ৯ বা ১০ বছর বয়সে বেশী মেকআপ করলে, ব্রণ ছাড়াও স্কিনের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা চলে যেতে পারে। তাই মোটামুটি ১৭ বা ১৮-র পর থেকে পুরোপুরি মেকআপ করা যায়। তবে তার আগে হালকা মেকআপ করা যায়। তাতে কোন অসুবিধা নেই।
হালকা মেকআপ বলতে, যেমন ৯ বা ১০ বছর বয়সে হালকা করে লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগালেই যথেষ্ট। এরপর ১২ বা ১৩-তে হালকা করে ফাউণ্ডেশন, লিপস্টিক এসব চলতে পারে। বা ফাউণ্ডশনের বদলে জাস্ট ফেস পাওডারটা হালকা পাফ করে, লিপস্টিক লাগান। ব্যাস এতেই ভালো লাগবে।
আর বয়স যখন বয়স ১৫ থেকে ১৭ এর মধ্যে, আইলাইনার, মাস্কারা, আই শ্যাডো অর্থাৎ আই মেকআপ শুরু করতে পারে। কিন্তু তার আগে আই মেকআপ ঠিক নয়। এরপর ১৮-র পর থেকে পুরোপুরি মেকআপ করা যায়। অর্থাৎ মেকআপের সব কিছুই সে ব্যবহার করতে পারবে। আর ১৮-র পর মোটামুটি মেকআপ করার কনসেপ্টটা তার মধ্যে তৈরি হয়ে যায়।
খুব ছোট বয়সে কোনো মেকআপের দরকার নেই। জাস্ট মুখ জল দিয়ে পরিষ্কার করে হালকা লিপস্টিক লাগান। কিন্তু বয়স বাড়লে তো মেকআপ করতে ইচ্ছা করবেই, তাহলে উপায়? উপায় আছে। মোটামুটি ১৩ বা ১৪তে কিছু নিয়ম মেনে মেকআপ করলে কোন সমস্যা নেই।
যেমন, প্রথমে মুখ কোনো হালকা ফেস ওয়াশ বা জল দিয়ে পরিষ্কার করে নাও। তারপর মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগাও। কারণ মেকআপ করার পর স্কিন শুকিয়ে গেলে ভালো লাগবে না। তাই মেকআপ লাগানোর আগে ময়েশ্চারাইজার লাগানো দরকার। এরপর দিনের বেলা সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগাতে হবে। বয়স অল্প। তাই এস.পি.এফ. ১৫ থেকে ২০ যথেষ্ট। এরপর ফেস পাওডারটা পাফ করে দাও। আর ঠোঁটে লিপগ্লস লাগিয়ে নাও। ব্যাস, হালকা মেকআপ রেডি।
কিন্তু কোনো বড় অনুষ্ঠান থাকলে এইটুকু সাজে মন ভরবে না। তাই ফাউণ্ডেশন লাগাতে পার। তার ওপর ফেস পাওডার বা হালকা করে ব্লাশ অন। চোখে মাস্কারা ও হালকা করে কাজল চলতে পারে। তবে লাইনার ভালো লাগবে না। আর আই ব্রো পেনসিল ব্যবহার করার দরকার নেই। আর ঠোঁটে হালকা লিপগ্লস। ব্যাস মেকআপ রেডি। অল্প বয়সে এই হালকা মেকআপই ভালো। চড়া মেকআপ স্কিনের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি দেখতেও ভালো লাগে না।
তাহলে এবার আপনার ছোট্ট মামনিকে অত বকাবকি করার দরকার নেই। তাকে বোঝান, এখন থেকেই চড়া মেকআপ, পরবর্তীকালে তার স্কিন আর দেখতে ভালো লাগবে না। আর এই টিপস অনুযায়ী আপনিই তাকে সাজিয়ে দিন। ব্যাস তাহলে আপনিও নিশ্চিন্ত আর আপনার সোনাও খুশী।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…