আপনি কী ফ্যাশনেবল নারী? নিজের ফ্যাশন-স্টাইল নিজেই তৈরি করে নেন? তাহলে, আসুন আজ জেনে নেই মেয়েদের জন্য কয়েকটি প্রয়োজনীয় ফ্যাশন টিপস!
নিজেকে একটু ফ্যাশনেবল দেখাক, আজকের দিনে তা কে না চায়! ফ্যাশন কখনও নির্দিষ্ট গণ্ডিতে থেমে থাকে না, মানে না কোনো নির্দিষ্ট নিয়মও। নিজস্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর স্বকীয়তার পাশাপাশি ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে যে কেউই চান সমাজের চলতি বা হাল ফ্যাশনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে। আবার অনেকে হাল ফ্যাশনের বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী স্টাইল ধারণ করে যেন তৈরি করে নেন নিজের একটি ফ্যাশন।
আপনি যদি মেয়ে হয়ে থাকেন, তাহলে কোন ড্রেস পরলে আপনাকে ভালো মানাবে, কোন ড্রেসের সঙ্গে কোন ধরণের জুয়েলারি মানানসই হবে, কোন ড্রেসের সাথে কেমন হবে আপনার হেয়ার স্টাইল, দিনে বা রাতে কেমন মেকআপ মানাবে আপনাকে- এই সাধারণ প্রশ্নগুলো নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রায়ই ঘুরপাক খায়? তাই আপনার এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে এবং আপনাকে ফ্যাশনেবল রাখতে আজ আমরা জানবো মেয়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৬টি ফ্যাশন টিপস, যেগুলো হাল ফ্যাশনের রীতিতে চলা মেয়ে হোক, কিংবা নিজস্ব ফ্যাশনের রীতিতে চলা মেয়ে হোক- সবার জন্যই পালনীয়।
যে কোনো ফ্যাশন অনুসরণ করার আগে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে সেই ফ্যাশনের খুঁটিনাটি। কোন পোশাক আপনাকে মানাবে, কোন পোশাকে আপনি আরামবোধ করবেন, তা কেবলমাত্র আপনিই ভালো বলতে পারবেন। তাই কোনো পোশাক ক্রয় করার আগে অবশ্যই সেটি আপনাকে মানায় কিনা তা পরখ করে দেখবেন। নিজের শরীরের গড়ন অনুযায়ী বেছে নেয়া প্রয়োজন সঠিক লেন্থের জামাকাপড়। অতিরিক্ত আঁটসাঁট কিংবা অতিরিক্ত ঢিলেঢালা পোশাক কিনে পরার পর যদি আপনি আরামই না পান, তাহলে কিন্তু টাকা আর পছন্দের পোশাক দুটোই বৃথা যাবে। আবার সব ধরণের মুখের সাথে সব হেয়ার কাটিং মানায় না। তাই নিজের মুখের অবয়বের সাথে যে ধরণের হেয়ার কাটিং বেশি মানানসই, সেভাবেই চুল কাটিয়ে নিতে হবে। তাই ফ্যাশন করার আগে আপনাকে ফ্যাশনের এসব খুঁটিনাটি বিষয় জেনে নিতে হবে বৈ কী!
আপনি যদি গতানুগতিক একই ধরণের পোশাক পরতে পছন্দ করেন, তাহলে তার মধ্য থেকেই একটু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করুন। হোক না তা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, জিন্স-ফতুয়া বা কোনো কুর্তি। আপনার পরিধেয় পোশাকের ধরণে নতুনত্ব আনলে যেমনটি ভালো লাগবে আপনার নিজের কাছে, তেমনি অন্যদের
চোখেও আপনি হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়। আবার ঋতু অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাকও আপনাকে পরতে হবে। অর্থাৎ শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষাভেদে আপনার প্রিয় পোশাকটিও হবে সেই ঋতুতে পরার জন্য আরামদায়ক।
আপনি যতই ফ্যাশনেবল জামাকাপড় পড়ুন না কেন, সাজগোজের ক্ষেত্রে সিম্পল বা ন্যাচারাল লুক বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই প্রকৃত ফ্যাশনেবল হওয়ার ক্ষেত্রে। জমকালো মেকআপ আর সাজগোজ শুধুমাত্র পার্টিতেই মানানসই। বরং চমৎকার সাধাসিধে সাজগোজই মানিয়ে যায় আপনার দৈনন্দিন চলাফেরার ক্ষেত্রে।
আপনার নিজস্ব ফ্যাশন স্টাইল যাই হোক না কেন, আপনাকে সবসময় চলতি ফ্যাশন ট্রেন্ডের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে তা অবশ্যই আপনার স্বকীয়তা বজায় রেখে। অর্থাৎ ধরুন, যদি আপনি সালোয়ার কামিজ পরতে পছন্দ করেন, তাহলে কোন ধরণের বা ডিজাইনের সালোয়ার-কামিজ এখন ফ্যাশন বাজারে চলছে, বা কোন ধরণের কুর্তি, কোন শেপের জিন্স এখন বেশি চলে সেগুলোর দিকে খেয়াল রেখেই আপনাকে আপনার পছন্দের কাপড়টি বানিয়ে নিতে হবে।
আপনি যে ধরণের পোশাক পরিধান করবেন, তার রঙ ও ডিজাইনের সাথে মানানসই জুয়েলারি, ব্যাগ ও জুতা অবশ্যই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। নইলে শুধুমাত্র ফ্যাশনেবল ড্রেস পরে তার সাথে বেমানান কোনো এক্সেসরিজ নিয়ে বের হলে আপনার গোটা ফ্যাশনটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
নিজের ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে সবসময় মেকআপ করা উচিত। এবং মেকআপ হতে হবে অবশ্যই সময় ও ঋতুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণও। কোন ড্রেসের সাথে আপনি কী ধরণের মেকআপ করবেন, কিভাবে চুল বাঁধবেন তা অবশ্যই আপনার ফ্যাশনেবল লুকের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। তবে দিনের বেলায় হালকা মেকআপ করলেও রাতের বেলায় গাঢ় মেকআপ আপনার ফ্যাশনেবল লুককে করে তুলবে অনন্যময়।
তো এই থেকে আমরা আজ জেনে নিলাম, কিভাবে মেয়েরা নিজেদের ফ্যাশনেবল করে তুলতে পারে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাশন শুধু মানুষকে দেখানোর জন্যই না, বরং নিজস্ব বৈচিত্র ও স্বকীয়তাকে তুলে ধরার জন্যও বটে!
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…