অনেক সময়েই আমরা একটা কথা শুনে এসেছি, সেটা হল কেউ কেউ নাকি মাঙ্গলিক। অর্থাৎ তাঁর নাকি জন্ম ছকে মাঙ্গলিক দোষ আছে। এর জন্য অনেকে অনেক কিছু প্রতিকার করেন।
মূলত নাকি বৈবাহিক জীবনের সঙ্গে এই মাঙ্গলিক যোগের সম্পর্ক বেশ বেশি। মাঙ্গলিক দোষ থাকলে বিবাহিত জীবন ভালো হয় না, শরীর খারাপ হয়, আরও কত কি! কিন্তু আমাদের ভালো করে জানা উচিৎ যে আসলে কাকে বলে এই মাঙ্গলিক দোষ আর তা থাকলে ঠিক কী করণীয়।
এই কথাটি মূলত জ্যোতিষ শাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে আমাদের জীবনের ভাল-মন্দ নির্ধারিত হয় গ্রহদের দ্বারা। আর এই মাঙ্গলিক দোষের নির্ধারণ কর্তা হলেন মঙ্গল গ্রহ।
আমাদের জন্মছককে ১২টি ভাগে ভাগ করে এক একটি ভাগকে এক একটি কারণের জন্য ঠিক করা হয়েছে। যেমন কোনও ঘর ভাগ্য, কোনও ঘর অর্থ, কোনও ঘর টাকা এই সব। এই ঘরে নির্দিষ্ট গ্রহের প্রভাবেই জাতক বা জাতিকার ভাগ্য ঠিক হয়।
জন্মকুণ্ডলীতে লগ্ন থেকে প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম আর দ্বাদশে মঙ্গলের প্রভাবে মাঙ্গলিক দোষ হয়। এর সঙ্গে আবার খারাপ গ্রহ যেমন কেতু যুক্ত হলে খারাপ ফলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর শুভ গ্রহ থাকলে সেই শুভত্ব খর্ব হয়।
প্রথম ভাবে মঙ্গলের দৃষ্টি থাকলে জাতকের স্বাস্থ্য ভালো যায় না, স্বভাবে উগ্রতা আসে। চতুর্থ ভাবে মঙ্গলের প্রভাবে মায়ের শরীর খারাপ, বাড়িতে অসুস্থতা লেগেই থাকে। সপ্তমে মঙ্গলের প্রভাবে বিবাহিত জীবন সুখের হয় না, অশান্তি লেগেই থাকে। ব্যবসায় উন্নতি হয় না আর। অষ্টমে মঙ্গলের প্রভাবে আইনি ঝামেলা বৃদ্ধি পায়। আর দ্বাদশে মঙ্গল থাকলে জাতক বা জাতিকার মানসিক দুশ্চিন্তা, টেনশন বেড়ে যায়।
যদি আপনার মাঙ্গলিক দোষ থাকে তাহলে নীচের এই কাজগুলো আপনি করতে পারেন। যেমন,
প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজীর পুজো করুন। এর সঙ্গে হনুমান চলিশা পাঠ করুন। হনুমান মন্দিরে গিয়ে মেটে সিঁদুর দিয়ে পুজো করুন। সঙ্গে জ্বালুন ঘি এর প্রদীপ। এতে আপনার মাঙ্গলিক দোষের প্রভাব অনেকটা কমবে বলে শাস্ত্রে বলে।
প্রতি মঙ্গলবার পশুদের খাওয়ান। পারলে হনুমানকে খাওয়ান। বিড়াল, কুকুর এদেরও খাওয়াতে পারেন। তাহলেও এই দোষ কেটে যায়। কুকুরকে ভাত না দিয়ে আটা দিয়ে রুটি বানিয়ে খাওয়ান।
যদি দু জন মাঙ্গলিকের মধ্যে বিবাহ হয় তাহলে এই দোষ কেটে যায়। একে আপনি বিষে বিষে বিষক্ষয় বলতে পারেন। অর্থাৎ দুই মাঙ্গলিকের বিবাহ হলে দু জনের মাঙ্গলিক দোষ খণ্ডিত হয়ে যায় দু জনের প্রভাবে।
এই মাঙ্গলিক দোষের প্রতিকার হিসেবে কুম্ভবিবাহ বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। এটি আর কিছুই নয়। মাঙ্গলিক জাতক বা জাতিকাকে একটি কলা বা পিপুল গাছের সঙ্গে আগে বিয়ে দেওয়া হয়। এতেও দোষ অনেকটা কমে।
প্রতি মঙ্গলবার উপোস করে আর অড়হর ডাল খেলে এই দোষ কেটে যায়। নিরামিষ খাবেন আর চেষ্টা করবেন মাছ-মাংস না খাওয়ার।
মঙ্গলবার নবগ্রহ মন্ত্র উচ্চারণ করুন। তাঁর সঙ্গে ১০৮ গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। এতে কিন্তু খুব ভালো কাজ দেয়। পুরোহিতের থেকে আপনি অনায়াসেই জেনে নিতে পারেন।
এই সবই জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে আপনার মাঙ্গলিক দোষ কাটানোর জন্য খুবই দরকারি। কিন্তু একটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখবেন। মাঙ্গলিক দোষ থাকা বা না থাকা সম্পূর্ণই বিশ্বাসের উপর। বিজ্ঞান বা যুক্তি একে স্বীকার করে না। অনেক দিন ধরেই এই বিশ্বাস আমাদের অনেকের মধ্যেই চলে আসছে। আমরা শুধু শাস্ত্র অনুযায়ী যা বলা হয়েছে তা আপনাদের জানালাম। বাকী মানা বা না মানার সিদ্ধান্ত একদমই আপনার উপর।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…