ভিডিও দেখুন আর মন্দিরা বেদীর থেকে শিখুন ৯০ সেকেন্ডে শাড়ি পরার কৌশল
আজকাল শাড়ি পরা একটা ফ্যাশন, তাই বিশেষ উপলক্ষ্য ছাড়া শাড়ি খুব একটা পরা হয় না। তাই শাড়ি পরার পালা আসলে একটু নার্ভাস লাগে বইকি। তাও যদি একা একা পরার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আজ মন্দিরা বেদীর থেকে শিখে নিন মাত্র ৯০ সেকেন্ডে সুন্দর ভাবে শাড়ি পরার কৌশল।
প্রথম স্টেপ
যদি একা একা শাড়ি পরার পরিকল্পনা থাকে তাহলে বলব অবশ্যই সিল্ক বা শিফন শাড়ি পরুন।
তবে শাড়ি পরার আগে অবশ্যই জুতোটি দেখে নেবেন। জুতোর হিল কতখানি সেটা অবশ্যই দেখে নেবেন। কারণ জুতোর হিল অনুসারেই শাড়ির লেন্থ ঠিক রাখতে হবে।
এবার প্রথমে পেটিকোটের একদম ডান দিক ঘেঁষে শাড়ির শেষ প্রান্ত গুঁজে নিন। অনেকে অবশ্য মাঝ বরাবর গুঁজে নেয়। তবে মাঝখানে যেহেতু শাড়ির কুঁচি পড়বে তাই এক ধার থেকে করাই ভালো।
প্রান্তটি গুঁজে নেওয়ার পর বৃত্তাকারভাবে শাড়িটি জড়িয়ে নিন। প্রথম প্রান্তটি যেখানে গুঁজে নিয়েছিলেন সেখানেই ফের একবার গুঁজে নিন।
এরপর থেকে চলে আসবে কুঁচির অংশ। তবে প্রথমে কুঁচি না করে চলে যান আঁচলের অংশে। আঁচল প্লিট করে নিয়ে কাঁধের ওপর রেখে আঁচলের দৈর্ঘ্য স্থির করে নিন।
সবচেয়ে ভালো হয় যদি আঁচলের দৈর্ঘ্য খুব বড়ও হবে না আবার খুব ছোটও হবে না। তবে আপনি যদি আঁচল কাঁধের ওপর প্লিট করে রাখতে চান, তাহলে আঁচল একটু বড় করে বানিয়ে নিতে পারেন।
তবে আঁচল যদি হাতের ওপর ফেলে রাখতে চান তাহলে কিন্তু ছোট করে করাই ভাল।
এবার বুকের কাছের আঁচলের প্রথম প্লিটটি কোমর বরাবর পেটের কাছে নিয়ে আসুন। এবার নাভির মাঝ বরাবর কাপরটি একটি সেফটিপিন দিয়ে আটকে দিন।
দ্বিতীয় স্টেপ
এবার কুঁচির অংশের শাড়িটি একেবারে ডানদিক থেকে প্লিট বানাতে শুরু করুন। সত্যি বলতে শাড়ির কুঁচি বানানোর কোনও থাম্বরুল নেই।
শাড়ির কুঁচিতে ঠিক কতগুলি প্লিট পরবে তা নির্ভর করবে আপনার কোমরের মাপের ওপর। এবার কুঁচির সবকটা প্লিট বানিয়ে নেওয়ার পর দেখবেন যে অংশে সেফটিপিন লাগিয়েছিলেন তার পরেও কিছুটা অংশ কাপর অতিরিক্ত অবস্থায় রয়েছে।
কোনও চিন্তা নেই ওটাকে ওইভাবেই ছেড়ে দিন। এবার আঙুলের সাহায্যে কুঁচিগুলো একবার নাড়িয়ে নিন, যাতে ভেতরের দিকে কোনও ভাঁজ থাকলেও তা সহজে খুলে যায়।
এবার আস্তে করে কুঁচিটি কোমরে গুঁজে নিন। এবার পেটের সামনে অতিরিক্ত যে কাপড় ছিল, সেটি এবার ভেতর থেকে টেনে নিয়ে কোমরের কাছে গুঁজে নিন।
এবার শাড়ির কুঁচিগুলো যাতে একজায়গায় ঠিকভাবে থাকে সেজন্য কুঁচিগুলি একসঙ্গে নিয়ে একটা সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। এবার আবার চলে আসুন আঁচলের অংশে।
আঁচলকে নিজের জায়গায় ঠিক রাখতে কাঁধের কাছে ব্লাউজ ও ইনারের সঙ্গে একটা সেফটিপিন লাগিয়ে নিন।
অনেকে অবশ্য লাগান না। তবে কাঁধের কাছে সেফটিপিন লাগানো থাকলে আঁচল কাধ থেকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
এবার আপনি চাইলে শাড়ি প্লিট করে কাঁধের ওপর রাখতেও পারেন আবার স্টাইলিশ লুক পেতে হাতের ওপর খুলেও রাখতে পারেন।
যাই করুন খেয়াল রাখবেন, তা যেন কমফোর্টেবল হয়। কারণ কোনও অনুষ্ঠানে শাড়ি পরার হলে, কমফোর্টের বিষয়টা কিন্তু সবার আগে মাথায় রাখা দরকার।