আমরা তো অনেক নামী-দামী মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কিন্তু মেকআপ করার পর কতক্ষণ তা থাকে বলুন তো? যদি ধরুন আমাদের অনেক সময় ধরে বাইরে থাকতে হয় বা পার্টিতে কাটাতে হয়, আর ঠিক তখনই যদি যে আমাদের মেকআপ আর থাকছে না, মুছে যাচ্ছে, তাহলে আর মেকআপ করে কী লাভ! কিন্তু এই সমস্যা থাকবে না যদি আপনি একটা জিনিস ব্যবহার করেন, আর সেটা হল মেকআপ প্রাইমার। কী, আশ্চর্য হচ্ছেন তো! তাহলে আসুন আজ জেনে নিই কীভাবে প্রাইমার কাজ করে আর তা ব্যবহার করতে হয়।
প্রাইমার হল সেই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস যা আপনার মেকআপ অনেক ক্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রাইমার আপনার ত্বক আর মেকআপের মধ্যে একটা আস্তরণ তৈরি করে। আর সেইজন্যই গরমের সময়ে ঘাম খুব সহজে মেকআপের সংস্পর্শে আসতে পারে না। তাই মেকআপও থেকে যায় সুন্দর ভাবে। আর যেহেতু মেকআপ সরাসরি ত্বকের কাছে আসে না তাই ত্বকও ভালো থাকে। অর্থাৎ প্রাইমার একই সঙ্গে আপনাকে সুন্দর রাখে আর ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। যদি আপনার মুখে দাগ থাকে, ওপেন পোর্স থাকে, তাহলে সবই প্রাইমার দিয়ে আগে ঢেকে নেওয়া যায়।
প্রাইমার ব্যবহার করা খুবই সোজা। কিন্তু তা আপনাকে করতে হবে ধাপে ধাপে। আসুন দেখে নিই কীভাবে ব্যবহার করবেন প্রাইমার।
এটা খুবই দরকারী একটি ধাপ প্রাইমার ব্যবহার করার আগে। সবার আগে একটা ভালো ক্লিনসার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এবার মুখ মুছে একটা ময়েশ্চারাইজার মুখে মেখে নিন। তারপর ৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। দেখবেন ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বকে সুন্দর ভাবে মিশে গেছে। এবার প্রাইমার ব্যবহার করার জন্য আপনার ত্বক তৈরি।
প্রথমে আপনার হাতের তালুতে প্রাইমার নিন অল্প করে। এবার সেখান থেকে আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে সারা মুখে বিন্দু বিন্দু করে লাগিয়ে নিন। সারা মুখে তারপর মেখে নিন ভালো করে। নাকের ধার থেকে মুখের দিকে আঙ্গুল নিয়ে গিয়ে ভালো করে মুখে ব্লেন্ড করুন প্রাইমার। একবার মুখে ভালো করে মিশে গেলে দেখবেন আপনার ত্বক সত্যিই অন্য রকম লাগবে। আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এবার আপনি নিশ্চিন্তে ফাউন্ডেশন লাগাবার দিকে যেতে পারেন। আপনি দেখবেন প্রাইমার ব্যবহার করার পর একটা স্মুথ আবরণ পাবেন আপনার মুখের উপর।
আপনাকে শুধু প্রাইমার কেন, সব কিছুই ব্যবহার করতে হবে আপনার ত্বকের ধরণ দেখে। আপনার ত্বক যদি ড্রাই হয় তাহলে আপনি এমন প্রাইমার ব্যবহার করুন যা আপনার ত্বককে হাইড্রেট করবে। প্রাইমার কেনার সময়ে দেখুন তার কন্টেনারের গায়ে স্মুদিং, হাইড্রেটিং এই কথাগুলো আছে কিনা। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে এমন প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে যা অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করে। আর যদি আপনার ত্বক হয় সেনসিটিভ, তাহলে অ্যাকোয়া-বেস প্রাইমার ব্যবহার করুন।
কয়েকটি কথা সব সময়ে মনে রাখা উচিত প্রাইমার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।
প্রথম হল, প্রাইমার ব্যবহার করার আগে সব সময়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
যদি আপনার ত্বক তেমন উজ্জ্বল না হয়, তাহলে এমন প্রাইমার ব্যবহার করুন যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে। আর দেখবেন যেন ফাউন্ডেশন আর প্রাইমার ভালো করে মিশে যায়।
যেন দুটোর রঙ আলাদা আলাদা না হয়। অনেক সময়ে আপনাদের মনে হতে পারে যে চোখের চারদিকে প্রাইমার ব্যবহার করবেন না।
কিন্তু নিশ্চিন্তে প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন চোখের নিচে। এতে চোখের নিচের কালো দাগ মুছে যাবে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…