ঘণ্টার পর ঘণ্টা আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখেন? কতটা সুন্দর লাগছে আজ দেখতে? নিশ্চয়ই দেখেন। মেকাপ করেও মন ভরে না। দরকার নেই সময় ও পয়সা খরচ করার। সহজ প্রাকৃতিক উপায়ের সাহায্যে নিজেকে সুন্দর ও সতেজ রাখুন। মেকাপ ছাড়াই আপনার আসল সৌন্দর্যয়ের প্রকাশ ঘটবে। সারাদিনের ব্যস্ত সময়ের মধ্যে থেকে নিজেকে অল্প সময় দিন তাহলেই হবে। কিভাবে? জেনে নিন আজকের লেখা থেকে।
আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ও যদি ঠিক থাকে তাহলে ভিতর থেকে গ্লো করবেন। আর এর ঝলক আপনার মুখে ফুটে উঠতে বাধ্য। জিম, সাঁতার, যোগাসন যেটা করতে আপনার ভালো লাগে তা নিয়ম করে সকাল বেলায় ১ ঘণ্টা করে করুন। এরফলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। হজমের সমস্যাও হবে না। টক্সিন কমবে। ভিতর থেকে ফ্রেশ অনুভব করবেন। যা খুবই জরুরি।
সান স্ক্রিন ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে, কারন রোদের তাপে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাই ত্বকের সুরক্ষার জন্য সান স্ক্রিনের ব্যবহার মাস্ট। বাইরে যেতে হলে সান স্ক্রিন ছাড়া যাবেন না। তাছাড়া ছাতা সব সময় ব্যবহার করবেন।
স্কিনকে গ্লোয়িং ও হেলদি রাখার প্রথম শর্তই হল স্কিনকে পরিষ্কার রাখা। সারাদিন কত ধুলো ধোঁয়া, বাইরের দূষণ স্কিনে জমে যায়। সেগুলো তো অবশ্যই স্কিন থেকে পরিষ্কার করা দরকার। সেগুলো স্কিন থেকে ঠিকমত পরিষ্কার না হলে, স্কিন হয়ে পড়ে শুষ্ক, প্রাণহীন। স্কিন ভেতর থেকে পরিষ্কার থাকলে তবেই কিন্তু তার উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে। এবং স্কিন পরিষ্কার থাকলে, তবেই স্কিন হেলদি রাখার পরবর্তী ধাপ গুলো স্কিন নিতে পারবে। তাই প্রতিদিন বাড়ি ফিরে অবশ্যই স্কিনকে পরিষ্কার করুণ।
ক্লিঞ্জিং এর পরের ধাপ হল টোনিং। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, রোজ স্কিন পরিষ্কার করে, ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পরও কি টোনিং এর দরকার আছে? হ্যাঁ অবশ্যই দরকার। আপনি যখন ক্লিঞ্জার দিয়ে স্কিন পরিষ্কার করছেন, ক্লিঞ্জার স্কিন পরস গুলো ওপেন করে স্কিনের ভেতরে জমে থাকা ময়লা ধুলো পরিষ্কার করে। স্কিন পরস কিন্তু ওপেনই থাকে। এরপর টোনার সেই ওপেন পরস গুলো বন্ধ করে। নাহলে কিন্তু ওপেন পরসের সমস্যা হবে। এবং টোনার স্কিনের পিএইচ ব্যাল্যান্সকে ঠিক রাখে। স্কিনকে হাইড্রেটেড রাখে। এককথায় টোনার স্কিনের ক্লিঞ্জিং প্রসেসকে সম্পূর্ণ করে।
অয়েলি স্কিন মানেই কিন্তু চ্যাটচ্যাটে, অতিরিক্ত তেল যন্ত্রণা নয়। যদি সঠিক ভাবে একে মেইনটেইন করা যায়, তাহলে আপনার এই স্কিন টোন দিতে পারে একটা সাইনি লুক। অয়েলি স্কিনের চ্যাটচ্যাটে সমস্যা ছাড়াও, ওপেন পরস, ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস, ডার্ক স্পট এবং ব্রনর সমস্যা তো আছেই।
ড্রাই স্কিনের প্রধান সমস্যা হল মুখ খুব শুকনো লাগে। আর এই অতিরিক্ত শুষ্কতার জন্য যতই সুন্দর মেকআপ করা হোক না কেন, মুখ সেই কালো লাগে। বিশেষ করে শীতে। স্কিন একদম শুকিয়ে কাঠ। তাই এর সঠিক কেয়ার নেওয়া খুব দরকার। নাহলে ফেটে যাওয়া স্কিন থেকে তাড়াতাড়ি স্কিন এজিং, রিঙ্কেল চলে আসে। তখন আপনাকে দেখে নয়, আপনার স্কিন দেখে আপনাকে সবাই বুড়ি বলবে।
হেলদি স্কিন পেতে স্কিনকে হাইড্রেড রাখাও খুব জরুরী। নেট সার্চ করে দেখুন তো , স্কিনের গ্ল ধরে রাখতে আপনার প্রিয় সেলিব্রেটিরা কতটা জল খান দিনে। আপনাকেও রোজ ২ থেকে ৩লিটার জল খেতেই হবে। যদি মেকআপ ছাড়া ন্যাচারাল গ্ল চান। তবে শুধু জল নয়। সাথে খেতে হবে বেশী করে শাকসবজি ও ফল। ভাজাভুজি যতটা কম পারেন।
রোজ রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম মাস্ট। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কিন্তু শরীর তো খারাপ লাগেই। সাথে স্কিনও নিস্প্রান লাগে দেখতে। চোখের তলায় কালি। ন্যাচারাল বিউটির একেবারে দফারফা। আর পর্যাপ্ত ঘুম হলে সকালে ঠিক ততোটাই ফ্রেশ লুকিং লাগে।
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…