বিউটি ব্লেন্ডার মেকআপ, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত একটি সৌন্দর্যর সরঞ্জাম। আর এই কারণেই প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্টদের কিট-এ, এটি একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে সস্তা বিউটি স্পঞ্জ বিক্রি হয়।
আপনাকে আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি, এগুলি ব্যবহার না করলে আপনি অসাধারণ কিছু বেনিফিটস মিস করবেন। এখন আপনি যদি বিউটি ব্লেন্ডার-এর মালিক হওয়ার কথা বিবেচনা করেন তবে এই অসাধারণ সরঞ্জামটি কীভাবে আপনাকে সবচেয়ে বেশি উপকার করতে পারে তা খুঁজে বের করতে, এই আর্টিকেলটির প্রতি মনোযোগ প্রদান করুন।
যদি আপনি এখনো বিউটি ব্লেন্ডার ব্যবহার না করেন অথবা মেকআপ-এর দুনিয়ায় নতুন নাম লেখান তাহলে বলবো বাইরের স্পঞ্জ ব্যবহার না করে কনসিলার ও ফাউন্ডেশন-এর ওপর ব্লেন্ডার ইউজ করতে, যা কিনা আপনার মেকআপ কে একটি নিউ লেভেলে পৌঁছে দেবে।
আপনার বিউটি ব্লেন্ডার সঠিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য এই টিপস এবং কৌশল অনুসরণ করুন। প্রত্যেকবার বিউটি ব্লেন্ডার ইউজ করার আগে জলে ভিজিয়ে নিন ব্যবহার করার আগে প্রথমেই ব্লেন্ডার-টিকে জলে ভিজিয়ে নিন।
যদি আপনি এই ইন্সট্রাকশন ফলো না করে ড্রাই ব্যবহার করেন, তাহলে বলবো আপনি ভুল পথে অগ্রসর হয়েছেন। এই ভিজে স্পঞ্জটি কেবলমাত্র আপনার মুখকে শিশিরাসক্তই করবে না, সঙ্গে দেবে একটি স্ট্রিক-ফ্রী ফিনিশ। আপনার ব্যবহৃত এক্সপেন্সিভ ফাউন্ডেশনএর ওয়েস্টেজও রোধ করবে।
যখন আপনি আপনার ব্লেন্ডারটিকে ভিজিয়ে নেবেন তখন জলএর কারণে এটির সাইজ ইনক্রিজ করবে। আর এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে এই নিশ্ছিদ্র যুক্ত স্পঞ্জের দ্বারা আপনার মেকআপ একদমই ঠিকঠাক থাকবে। পেশাগত মেকআপ শিল্পীরা প্রায়ই কাজ করার সময় তাদের স্পঞ্জগুলিকে আর্দ্র করার জন্য প্রায় এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখেন। এটি ইউজ এর ফলে খুব সহজেই মেকআপ, আপনার স্কিনের সঙ্গে মিশে যাবে।
ব্লেন্ডার কেবলমাত্র মেকআপ এর জন্যই ব্যবহার করা উচিত, এই কথাটি সম্পূর্ণরূপ মিথ্যে। যে কোন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টএর ফল ত্বরান্বিত করতে এটি ইউজ করা যায়। যে কোনো দামি অ্যান্টি-এজিং সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার আগে ব্লেন্ডার ইউজ করুন।
এই ভাবে আপনি যদি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ত্বককে “থ্যাংক ইউ” দিতেই হবে। এটি ত্বক-যত্ন পণ্য প্রয়োগ করার একটি শালীন উপায় এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত কৌশল।
আপনি কি জানেন, যে বিভিন্ন রঙের ব্লেন্ডার বিভিন্ন উদ্দেশ্য পরিবেশন করে? অরিজিনাল ব্লেন্ডারের কালার হিসাবে পিংক-কালারকেই ধরা হয়। এটি যে কোনো পণ্যর সঙ্গে বিস্ময়কর কাজ করে। যদি আপনি ডার্ক ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই ব্ল্যাক ব্লেন্ডার চুজ করবেন। হোয়াইট ব্লেন্ডার ইউজ হয় মূলত, বিভিন্ন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট এর সঙ্গে।
আপনি যে কোন বডি শ্যাম্পু ইউজ করে আপনার বিউটি ব্লেন্ডার টিকে ক্লিন করতে পারেন। ক্লিন এর ক্ষেত্রে ওয়ার্ম ওয়াটার ইউজ করা বাঞ্ছনীয় কারণ এতে ব্লেন্ডার পরিবেষ্টিত জার্ম অথবা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। এবং আপনি এটি ওভারটাইম ইউজ করতে পারবেন।
ব্লেন্ডার, মেকআপ অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব তৈরি করেছে। কে জানত, যে এই সামান্য স্পঞ্জ, সৌন্দর্য বিশ্বের উপর এত ব্যাপক প্রভাব ফেলবে? আপনি কি মনে করেন?
আপনার মুখের রোমকূপ বা পোরসগুলি কি খুবই বড় বড়? আপনি টেকনিক্যালি এইসমস্ত পোর্স ছোট করতে…
পরিষ্কার নিটোল মুখ, অথচ থুঁতনিতে কালো কালো ব্ল্যাকহেডস! কেমন লাগে বলুন তো! সৌন্দর্যটাই নষ্ট হয়ে…
আগেকার দিনে বলা হত, লজ্জা নাকি নারীর ভূষণ। না, আজকের দিনে আমরা ওইসব কথা বলব…
বাড়ির দেয়ালে রকমারী রঙের ছ্বটা অনেকেরই সাধ ও শখের পরিচয় বহন করে। কিন্তু কিছু বছর…
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত এই কথাটা আমরা সবাই জানি কম বেশি। কিন্তু কেন? কি উপকার…
প্রাচীনকালে যখন রূপচর্চার এত উপকরণ হাতের কাছে ছিল না, সেই সময় থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপকরণ…